অস্ট্রিয়ায় ইসলাম ধর্মের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
২৭ জুন ২০২৩, ০৮:২২ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ১১:৪২ পিএম

ভিয়েনা, ওয়াইন এবং অসাধারণ সব দৃশ্য। একশ বছর আগে নিজেদের প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। দেশটিতে দিন দিন ইসলাম ধর্মের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। চলুন দেশটি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক। অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এই দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে সেøাভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে সেøাভেনিয়া ও ইতালি, এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশ্টেন্ষ্টাইন। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকা পর্বতময়। এটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। বার্গেনল্যান্ড থেকে লেক কন্সটান্সের মধ্যকার দেশটির নয়টি রাজ্যে বিভক্ত। অস্ট্রিয়ায় ৮.৮ মিলিয়ন (৮৮ লাখ) মানুষের বাস। দেশটির অধিকাংশ অংশই আসলে পাহাড়ি অঞ্চল। পুরো দেশের মতো পূর্বাঞ্চলের ফোরার্লব্যার্গ রাজ্যও ছবির মতো সুন্দর। ভিয়েনায় শ্যোনবর্ন প্যালেসের মতো অস্ট্রিয়ান এম্পায়ারের আর কোনো বড় প্রতীক নেই। ১৯১৮ সাল অবধি এটা ছিল হাবর্সবর্গ শাসকদের গ্রীষ্মকালীন আবাস। পরবর্তীতে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করা করে ইউনেস্কো। বর্তমানে বছরে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটক এই স্থাপনাটি দেখতে আসেন। গ্রীষ্মে ভিয়েনার বাসিন্দারা শহরের বাইরে দেশটির সবুজ গ্রামাঞ্চলে ছুটে যান। লোয়ার অস্ট্রিয়ার ভাইনফিয়ার্টেল ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অনেকেই এই অঞ্চলে যান সরাসরি ওয়াইন উৎপাদকের কাছ থেকে ওয়াইন পানের আশায়। অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে নিম্নাঞ্চল হচ্ছে বার্গেনল্যান্ড। সেখানে লেখ নয়েসিডলের অবস্থান, যেখানে দুর্লভ সব পাখির দেখা মেলে। এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত ইলেক্ট্রো-পপ উৎসব লেক অব লাভ এর জন্যও বিখ্যাত। সেই উৎসবের সংগীত সবাই একত্রে শুনলেও কানে পৌঁছায় আলাদা আলাদা হেডফোনে। অস্ট্রিয়াতে প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্ম প্রধান। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৭৩.৬% লোক এই ধর্মে বিশ্বাসী। প্রায় ১১.৫% লোক প্রতি রোববারে গির্জায় যান। তবে গির্জায় যাওয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। লুথেরান খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা ২০০৬ সালে জনসংখ্যার ৪.৭% ছিল; এরা বেশির ভাগই দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার কের্নটেন অঙ্গরাজ্যে বাস করে। অস্ট্রিয়াতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে এরা জনসংখ্যার ৪.২%। এছাড়াও অস্ট্রিয়াতে স্বল্পসংখ্যক হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও ইহুদীবাস করেন। ডয়চে ভেলে, উইকিপিডিয়া।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

কেন গান গাইবেন না মাহফুজুর রহমান?

ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের সাথে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী জাতীয় মহাসড়কটি যানজটে বেহাল অবস্থায়

এনজেএফের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দুর্নীতি-অপচয় রেলওয়ের লোকসানের বড় কারণ: রেলপথ উপদেষ্টা

তুরস্কে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত

গোয়ালন্দে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শঙ্কা নিয়েই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি

সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না : নাহিদ

রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে নিহত ১৮, বিপর্যস্ত ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য

কাশিয়ানীতে ‘খেলনা দেওয়ার’ কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ

একাত্তরের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান- আসিফ মাহমুদ

মানবিক চিকিৎসক আবু সাফিয়াকে বিনা বিচারে আটক, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই ব্যাপক বিক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের

২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা যুবদলের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

ইসরাইলি সেনাদের হাতে অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতা অপহরণ

ঈদের পর হবে ইমরান-বুশরার মামলার শুনানি

মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার