শতাধিক ব্যক্তিকে সউদীতে ঝোলানো হয়েছে ফাঁসিতে

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম

বিভিন্ন অপরাধে একের পর এক মৃত্যুদ- কার্যকর করছে সউদী আরব। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই শতাধিক ব্যক্তিকে ঝোলানো হয়েছে ফাঁসিতে। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-র এমন রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে এ সংস্থা। সউদীতে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে মানবাধিকার লংঘনের তথ্য। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় সরকারি বিরোধী পোস্ট বা খুব অল্প পরিমাণে মাদক পাচারের মতো অপরাধেও মৃত্যুদ- কার্যকর করেছে সউদী প্রশাসন। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ‘সউদী প্রশাসন যেভাবে গণহারে ফাঁসি দিচ্ছে, তাতে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যুব সমাজ বিশেষত ১৮ বছরের নীচে যাদের বয়স, তারা ভয় ভয় দিন কাটাচ্ছেন,’ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু উদাহরণ দিয়েছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ওই বেসরকারি সংস্থা। তাদের দাবি, গত অগাস্টে মোহাম্মদ বিন নাসের অল-ঘামদি নামের এক অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। চার্জশিটে মোহাম্মদ বিন নাসেরের বিরুদ্ধে ধর্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা ও সমাজে অশান্তি তৈরির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ঘন ঘন মৃত্যুদ- কার্যকর করার নেপথ্যে রয়েছে সউদীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত। এইভাবে সমস্ত বিরুদ্ধ কণ্ঠকে নির্মূল করতে চাইছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে কার্যত সউদী শাসন করছেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান। নিজেকে আধুনিকীকরণের কান্ডারি হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সউদীকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিপন্ন করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগে মৃত্যুদ- কার্যকর করার সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন সউদীর যুবরাজ। যে অপরাধে কোনও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি, সেখানে ফাঁসি দেয়া হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। উলটে তার আমলে মৃত্যুদ-ের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে বলে মিলেছে তথ্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-য় মোহাম্মদ বিন সালমান শাসনভার হাতে তুলে নেয়ার পর থেকে সউদীতে বছরে গড়ে ১২৯ জনের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। গত বছর এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১৯৬-তে। গত ৩০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।


বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

২২ মে থেকে বাজারে নওগাঁর আম, সবশেষে আম্রপালি

২২ মে থেকে বাজারে নওগাঁর আম, সবশেষে আম্রপালি

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

৬৪ বছর বয়সে বিমান চালনার স্বপ্ন-পূরণ

৬৪ বছর বয়সে বিমান চালনার স্বপ্ন-পূরণ

টঙ্গীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

টঙ্গীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

ইসরায়েলি অভিযান, রাফা ছেড়েছেন ৬ লাখ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি অভিযান, রাফা ছেড়েছেন ৬ লাখ ফিলিস্তিনি

র‍্যাব-১১ হাতে ২২ বছর পর স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার

র‍্যাব-১১ হাতে ২২ বছর পর স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আরও দেশের প্রতি আহ্বান এরদোয়ানের

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আরও দেশের প্রতি আহ্বান এরদোয়ানের

বাগেরহাটে সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

বাগেরহাটে সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

এই ট্রেনে চড়েই চলে যাবেন বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তের… কোথায় জানেন

এই ট্রেনে চড়েই চলে যাবেন বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তের… কোথায় জানেন

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

হংকং-সিঙ্গাপুরের পর এবার নেপালে নিষিদ্ধ হলো ভারতীয় মশলা

হংকং-সিঙ্গাপুরের পর এবার নেপালে নিষিদ্ধ হলো ভারতীয় মশলা

চবি ঝর্ণা দেখতে এসে ঝরে গেল আরও একটি প্রাণ

চবি ঝর্ণা দেখতে এসে ঝরে গেল আরও একটি প্রাণ

ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?

ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?

নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১

নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫

ফিলিপাইনের জাহাজের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে চীনা কোস্টগার্ড

ফিলিপাইনের জাহাজের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে চীনা কোস্টগার্ড

গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

আর‌ও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা

আর‌ও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা

‘অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা’ তত্ত্ব একেবারে ভিত্তিহীন: চীন

‘অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা’ তত্ত্ব একেবারে ভিত্তিহীন: চীন

উখিয়া টেকনাফের সীমান্ত এলাকা অবৈধ অস্ত্র, মাদক চোরাচালানের রোডম্যাপে পরিণত হচ্ছে

উখিয়া টেকনাফের সীমান্ত এলাকা অবৈধ অস্ত্র, মাদক চোরাচালানের রোডম্যাপে পরিণত হচ্ছে