ঢাকা   শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীরেও, ২ ফিলিস্তিনি নিহত

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম

ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেম থেকে ৪৯ কিলোমিটার উত্তরে পশ্চিম তীরের নাবলুস শহর। বুধবার এই শহরে ইসরাইলি বসতিস্থাপনকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ইব্রাহিম ওয়াদি (৬২) এবং তার ছেলে আহমাদ (২৪)। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ইব্রাহিম ওয়াদির চার আত্মীয়। তাদের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন ইব্রাহিম ওয়াদি ও আহমাদ। যাত্রাপথে নাবালুস শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রাম কুসরায় চলন্ত গাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে পিতা-পুত্রের। গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সংগে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চলমান যুদ্ধের আঁচ পৌঁছেছে পশ্চিম তীরেও। গত ১২ দিনে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী ও বসতি স্থাপনকরীদের গুলিতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৫০ জন ফিলিস্তিনি। বুধবার সেই নিহতের তালিকায় যুক্ত হলো ইব্রাহিম ওয়াদি ও তার ছেলে আহমাদের নামও। মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে গত ১২ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে হামাস ও আইডিএফের মধ্য। গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরাইলে হামাসের অতর্কিত হামলা ও সীমান্ত বেড়া ভেঙ্গে অনুপ্রবেশের মধ্যে দিয়ে এই যুদ্ধের সুত্রপাত। প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্য ও প্রস্তুতির অভাবে যুদ্ধের শুরুর দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণ শক্তি নিয়ে ময়দানে নামে ইসরাইল এবং হামাসের এই হামলার জবাবে শনিবার থেকেই গাজা উপত্যকায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরাইল থেকে দেড় শতাধিক বেসামরিক ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গেছে হামাস। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও অজানা। অন্যদিকে, গত ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণে গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজা উপত্যকার এই সংঘাতের সংবাদ পশ্চিম তীরে পৌঁছালে স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা এবং তাদের এই বিক্ষোভ দমন করতে ইসরাইলের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাশপাশি তৎপর হয়ে ওঠে বসতি স্থাপনকারীরাও। নাবলুস শহরে বিক্ষোভের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে কুসরা গ্রামটি। ওই গ্রামের মেয়র হানি ওদেহ সিএনএনকে বলেন, বুধবার তার গাড়িতেও হামলা হয়েছে এবং সে সময় গাড়িতে ছিলেন তিনি। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে কুসরায় বসতি স্থাপনকারীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই সশস্ত্র। ইসরাইলি পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’ একটি বিশেষ কাজে আমার কুসরার বাইরে যাওয়ার দরকার ছিল। আমি কোগাটকে (ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের কর্তৃপক্ষ কো অর্ডিনেশন অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটোরিজ) এ ব্যাপারে অবহিত করলাম এবং জবাবে তারাও সবুজ সংকেত দিলো।’ ‘কিন্তু নিজ গাড়িতে যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলো। আমি গাড়ি থামিয়ে সড়কে টহলরত ইসরাইলি সেনাদের এ ব্যাপারে জানালাম, কিন্তু তারা আমাকে পাত্তাই দিতে চাইল না।’ এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানতে কোগাট ও আইডিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিএনএন, তবে এই দুই সংস্থার কোনো কর্মকর্তাই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। সিএনএন।


বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ইরানের প্রযুক্তিগত প্রকৌশল পরিষেবা রপ্তানিতে আয় ৩৫ বিলিয়ন ডলার
আসাদের পতনের পর তুরস্ক থেকে ২৫ হাজার সিরিয়ান দেশে ফিরেছে
ইরানের আলোচিত গবষকদের মধ্যে নারীদের অবদান বাড়ছে
তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ সৌদি আরবে এবার মিললো 'হোয়াইট গোল্ড'
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
আরও

আরও পড়ুন

শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা

নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস

আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ