ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
গাজার খাদ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষের শঙ্কা

ফিলিস্তিনের সমর্থনে দেশে দেশে বিক্ষোভ

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৪ এএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৪ এএম

রোগীদের ছেড়ে যেতে অস্বীকারকারী ডাক্তার সপরিবারে শহীদ ষ ইসরাইলে গাজা যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট : হামাসের হামলায় ইসরাইলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি : গাজার হাসপাতালে পানি ও অক্সিজেন নেই, এক জিম্মির মৃতদেহ পেয়েছে ইসরাইল : আরো লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ : স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান নরওয়ের পার্লামেন্টের
ইনকিলাব ডেস্ক
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার সাথে যুক্ত ডা. হামামুল্লা রোগীদের ছেড়ে যেতে অস্বীকার করে ইসরাইলি বোমা হামলায় পরিবারসহ শহীদ হয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী ডা. হামামুল্লা ইসরাইলের কাছ থেকে উত্তর গাজা থেকে সরে যাওয়ার হুমকির পরোয়া না করে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। শহীদ ডা. হামামুল্লা তার শেষ সাক্ষাৎকারে তার শহীদ সহকর্মী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমি এখান থেকে নিরাপদ স্থানে গেলে আমার রোগীদের চিকিৎসা কে করবে? তারা পশু নয়, তাদের সঠিক পরিচর্যা দরকার, এটা তাদের অধিকার।

তিনি সাক্ষাৎকারের সময় আরো বলেছিলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, আমি ১৪ বছর মেডিকেল স্কুলে বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কাটিয়েছি যাতে আজ আমি আমার রোগীদের পরিবর্তে নিজের সম্পর্কে চিন্তা করি?’ শহীদ ডা. হামামুল্লাহ তার বক্তৃতা অব্যাহত রেখে সংবাদ উপস্থাপককে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনি কি সত্যিই মনে করেন যে, এজন্য আমি মেডিকেল স্কুলে গিয়েছিলাম, শুধু আমার জীবনের কথা ভাবতে এবং আমার রোগীদের কথা ভুলে যেতে? না, সেজন্য আমি ডাক্তার হইনি।

গত সপ্তাহে হাসপাতালের কাছে তাদের বাসভবনে বোমা হামলার ফলে ডা. হামামুল্লাসহ তার বাবা, শ্বশুর এবং শ্যালক ইসরাইলি বোমা হামলায় শহীদ হন। তার স্ত্রী এবং ২ সন্তান নিরাপদ ছিলেন। ডক্টর হামামুল্লার শাহাদাতের পর তার সাক্ষাৎকারের একটি ছোট ও শক্তিশালী ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের সমর্থনে দেশে দেশে বিক্ষোভ : ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানায়, আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহরে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সান ফ্রান্সিসকো বে ব্রিজও অবরোধ করে। এসময় পুলিশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। বিক্ষোভকারীরা তাদের গাড়িতে করে বে ব্রিজে পৌঁছে, যেখানে তারা ফিলিস্তিনি শহীদদের লাশ প্রতীকীভাবে জাহির করে প্রতিবাদ করেছিল।

দক্ষিণ কোরিয়াও ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভে ফিলিস্তিনি শহীদদের ২ হাজার জুতা প্রতীকীভাবে প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে লন্ডনে সমাবেশ করেছে স্কুলের শিশুরা। টাওয়ার হ্যামলেটে স্কুলের শিশুরা ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশ করেছে। এ উপলক্ষে গাজায় বোমাবর্ষণ ও অবরোধ বন্ধের দাবি জানায় শিশুরা।

ইসরাইলে গাজা যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট : ইসরাইলের উপর গাজা যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব ফুটে উঠতে শুরু করে। ইসরাইলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, যুদ্ধের কারণে ইসরাইলি অর্থনীতি প্রতিদিন ২৬ কোটি ডলার হারাচ্ছে এবং গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইলি অর্থনীতি ৫০ বিলিয়ন ডলার হারাতে পারে। ইসরাইলের জনশক্তি মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা যুদ্ধে কর্মী সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। ব্রিটিশ মিডিয়ার মতে, যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের শেকেল ২০১২ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের মতে, যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইসরাইলি মুদ্রার ০.৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।

হামাসের হামলায় ইসরাইলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি : ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস অধিকৃত জেরুজালেমে সামরিক চৌকিতে হামলা এবং বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা ও আহত করার দায় স্বীকার করেছে। আরব মিডিয়া বলছে, আল-কাসাম ব্রিগেড গাজার শহীদদের প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালিয়েছে। হামাসের মতে, আল-কাসাম ব্রিগেড বেথলেহেম ও অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের মধ্যবর্তী চেকপয়েন্টে হামলা চালিয়েছে। অধিকৃত জেরুজালেমে একটি সামরিক তল্লাশি চৌকিতে হামলায় এক ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা ৪২তম দিনেও অব্যাহত রয়েছে।

গাজার খাদ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষের শঙ্কা : জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইসরাইলি আগ্রাসনের শুরু থেকে গাজায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের মাত্র ১০ শতাংশ প্রবেশ করায় গাজা একটি বিশাল খাদ্য ঘাটতি এবং ব্যাপক ক্ষুধার মুখোমুখি। প্রায় সমগ্র জনসংখ্যার জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

এই সপ্তাহের শুরুতে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জ্বালানি সংকটের কারণে সংস্থাটির সাথে অংশীদারিত্বে পরিচালিত শেষ বেকারি বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জ্বালানির ঘাটতির কারণে গাজার ১৩০টি বেকারিতে রুটি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। রুটি, গাজানদের প্রধান খাদ্য, দুষ্প্রাপ্য বা অস্তিত্বহীন। জ্বালানির ঘাটতি মানবিক সহায়তা বিতরণ এবং খাদ্য সহায়তা বিতরণসহ কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করছে। এমনকি যখন ট্রাকগুলো মিসর থেকে এসে মঙ্গলবার গাজায় সরবরাহ আনলোড করে, বিতরণ যানবাহনের জন্য অপর্যাপ্ত জ্বালানির কারণে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে বেসামরিক লোকদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
২১ অক্টোবর রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খোলার পর থেকে গাজায় প্রবেশ করা ১ হাজার ১২৯টি ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৪৪৭টি ট্রাক খাদ্যসামগ্রী বহন করে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গাজায় ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানালেও চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম: গাজায় প্রবেশ করা খাদ্য জনসংখ্যার দৈনিক ন্যূনতম ক্যালোরির চাহিদার ৭ শতাংশ মেটাতে যথেষ্ট’।

গাজার খাদ্য অবকাঠামো আর কার্যকর নয়; ডব্লিউএফপির চুক্তিবদ্ধ দোকানগুলোর মাত্র ২৫ শতাংশ খোলা থাকে, অন্যদের মধ্যে মৌলিক খাদ্য সামগ্রী ফুরিয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। অল্প পরিমাণে যে খাবার পাওয়া যায় তা উদ্বেগজনকভাবে স্ফীত দামে বিক্রি হয় এবং রান্না করার ক্ষমতা ছাড়াই খুব একটা কাজে লাগে না, যার ফলে কেউ কেউ দিনে এক খাবারে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়।
ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর সামের আবদেল জাবের বলেছেন, ‘খাদ্য সরবরাহ চেইনের পতন ইতোমধ্যেই একটি কঠিন পরিস্থিতিতে একটি বিপর্যয়কর মোড়, যেখানে মানুষ মৌলিক প্রয়োজনীয়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’

গাজার হাসপাতালে পানি ও অক্সিজেন নেই, এক জিম্মির মৃতদেহ পেয়েছে ইসরাইল : ইসরাইল জানিয়েছে তাদের সৈন্যরা গাজায় এক জিম্মির লাশ পেয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী ইয়েহুডিত ওয়েইসকে গত সাতই অক্টোবর অপহরণ করে নিয়ে এসেছিলো সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আল শিফা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি জায়গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ইসরাইল সেখানে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং তারা হামাসের একটি টানেলের সংযোগস্থলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে।

ওদিকে আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন সেখানে এখন পানি ও অক্সিজেন নেই এবং রোগীরা তৃষ্ণায় চিৎকার করছে। ইসরাইলি ট্যাংক হাসপাতালটি ঘিরে আছে আর ওপরে ঘুরছে ড্রোন। হাসপাতালের ভেতরে দ্বিতীয় দিনের মতো তল্লাশি চালিয়েছে সৈন্যরা। হাসপাতালের ভেতরে আটকে পড়া একজন সাংবাদিক বিবিসি’র রুশদি আবু আলৌফকে ফোনে জানিয়েছেন যে, ‘ইসরাইলি সৈন্যদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং তারা সব দিক থেকে গুলি করছে’।

হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছে আল শিফার অবস্থা ‘ভয়াবহ’, যেখানে এখনো সাড়ে ছয়শ রোগী, পাঁচশ চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং পাঁচ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছে। গত বুধবার থেকে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী এবং বৃহস্পতিবার তারা সেখানে হামাসের টানেলের একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়ার দাবি করে। একই সাথে অস্ত্র বোঝাই একটি গাড়ি পাওয়ার কথাও জানায় তারা।

হাসপাতালটির পরিচালক জানান ইসরাইলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান পানির সংযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। অভিযান চলছে। কেউ এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যেতে পারছে না। আমরা আমাদের সহকর্মীদের সাথেও কোন যোগাযোগ করতে পারছি না -তিনি বলছিলেন। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে পুরো মেডিকেল কমপ্লেক্সটির দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথে একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সেনারা।

আরো লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ : গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরে লিফলেট ফেলে লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় শিবিরের দিকে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেখানে অন্তত চারটি শহরে এ ধরনের লিফলেট ফেলা হচ্ছে।

ওদিকে দিনের বেশিরভাগ সময়েই গাজায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা কাজ করছে না। টেলিকম কোম্পানিগুলো জানিয়েছে জ্বালানির অভাবে তারা তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছে না। এমনকি জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে ত্রাণ কার্যক্রমেও সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে শুক্রবার থেকে মিসর সীমান্ত থেকে ত্রাণসামগ্রী আনার জন্য ট্রাক পাঠানো সম্ভব হবে না।

ইসরাইল জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী তিন বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এসব বন্দুকধারীরা পশ্চিম তীর থেকে জেরুসালেমের দিকে যাওয়ার একটি চেকপয়েন্টে গুলি শুরু করেছিলো। এ ঘটনায় ইসরাইলের একজন সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। হামাসের সামরিক শাখা দাবি করেছে, তারাই ওই হামলা চালিয়েছে। এছাড়া জেনিন শহরেও আবারও ইসরাইলি অভিযানের খবর পাওয়া গেছে।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান নরওয়ের পার্লামেন্টের : নরওয়ের পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যা সরকারকে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন জোটের আনা এই রেজুলেশনে পার্লামেন্টে ১০টি দলের মধ্যে ৮টি দল পক্ষে ভোট দেওয়ার পর পাস হয়।
এটি ‘সরকারকে একটি চূড়ান্ত শান্তি চুক্তির শর্ত ছাড়াই ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত থাকতে বলে’।

পূর্বের প্রস্তাবে শান্তিকে স্বীকৃতির শর্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। রেজোলিউশনটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বারা অনুমোদিত হয়, শুধুমাত্র খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট এবং রক্ষণশীল প্রগ্রেস পার্টি এর বিপক্ষে ভোট দেয়। যে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে তাদের মধ্যে নরওয়ে অন্যতম।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় লাগাতার বিমান ও স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, অন্তত ১১ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭ হাজার ৮শ’ জনেরও বেশি নারী ও শিশু এবং ২৯,২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ইসরাইলি মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,২০০। সূত্র : ওয়াফা নিউজ, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, বিবিসি বাংলা, রয়টার্স।

 

 


বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সামরিক আদালতকে ‘কসাইখানা’ বললেন পিপিপি নেতা
অন্ধকারে তলিয়ে গেছে আল-শিফা হাসপাতাল
অধিকৃত কাশ্মীরে দমিয়ে রাখা হয়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
একদিনে গাজা ছেড়েছে ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি
সরকারি কাজে ইংরেজি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করবে সউদি আরব
আরও

আরও পড়ুন

রাজবাড়ীতে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ১২ জনের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ১২ জনের মৃত্যু

অবরোধের সমর্থনে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং

অবরোধের সমর্থনে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং

পূর্ব শত্রুতার জের ডাসারে ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ

পূর্ব শত্রুতার জের ডাসারে ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রেসিডেন্টের কাছে চার দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

প্রেসিডেন্টের কাছে চার দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে নাহিদা ও ফারজানা

আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে নাহিদা ও ফারজানা

এবার ইসির অনুমোদন পেলো ১১০ ইউএনও বদলির প্রস্তাব

এবার ইসির অনুমোদন পেলো ১১০ ইউএনও বদলির প্রস্তাব

রায়গঞ্জে নবাগত ইউএনওর যোগদান

রায়গঞ্জে নবাগত ইউএনওর যোগদান

যোগ্যদের ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ : তথ্যমন্ত্রী

যোগ্যদের ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ : তথ্যমন্ত্রী

রাজবাড়ীতে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ১২ জনের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ১২ জনের মৃত্যু

নির্বাচনী হলফনামায় দুদকের কঠোর নজরদারি

নির্বাচনী হলফনামায় দুদকের কঠোর নজরদারি

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

মেরামত কাজ না হওয়ায় বিশ্বনাথে-রামপাশা-লামাকাজি সড়ক এখন মরন ফাঁদ

মেরামত কাজ না হওয়ায় বিশ্বনাথে-রামপাশা-লামাকাজি সড়ক এখন মরন ফাঁদ

সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু

দৌলতখানে গভীর রাতে মাইক্রোবাসে আগুন

দৌলতখানে গভীর রাতে মাইক্রোবাসে আগুন

এবার ১১০ ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন ইসির

এবার ১১০ ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন ইসির

বাগেরহাটে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

বাগেরহাটে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

বৃষ্টির মধ্যেই শাহবাগে বাসে আগুন

বৃষ্টির মধ্যেই শাহবাগে বাসে আগুন

রুশপন্থী সাবেক ইউক্রেনীয় এমপিকে   গুলি করে হত্যা করল  ইউক্রেন

রুশপন্থী সাবেক ইউক্রেনীয় এমপিকে গুলি করে হত্যা করল ইউক্রেন

উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে একতরফা নির্বাচন করাচ্ছে সিইসি : সমমনা জোট

উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে একতরফা নির্বাচন করাচ্ছে সিইসি : সমমনা জোট

হলফনামা বিশ্লেষন: রাজশাহীর মন্ত্রী এমপিরা এখন সম্পদের পাহাড়ে

হলফনামা বিশ্লেষন: রাজশাহীর মন্ত্রী এমপিরা এখন সম্পদের পাহাড়ে