আবারো মুসল্লিদের আগমনে মুখরিত মসজিদুল আকসা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ এএম

 ১৩৩ দিন পর ফের যেন প্রাণ ফিরে পেল ফিলিস্তিনের পবিত্র মসজিদুল আকসা। গত শুক্রবার জুমার নামাজে অন্তত ২৫ হাজার মুসল্লির সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এ মসজিদ। ওই দিন ইসরাইলি পুলিশের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করেন তারা। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর এটিই ছিল সর্ববৃহৎ জুমার জামাত। যারা মসজিদে প্রবেশ করতে পারেননি, তারা শহরের আশপাশের রাস্তায় নামাজ পড়েন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জেরুসালেমের ইসলামিক আওকাফ বিভাগ। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ‘আমাদের পরিসংখ্যান অনুসারে ইসরাইলের কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও ২৫ হাজার মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়েছেন। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর এবারই সর্বোচ্চসংখ্যক মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়তে সক্ষম হন। পাশাপাশি সাড়ে চার মাস ধরে জেরুসালেম নগরীসহ পবিত্র মসজিদুল আকসার প্রবেশপথে ইসরাইলি পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে রেখেছে। এর মাধ্যমে তরুণদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের আনাচে-কানাচে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা।’ এদিন জুমার নামাজের পর শহীদদের জন্য গায়েবি জানাজা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। গাজায় ইসরাইলি হামলার শুরু থেকে মসজিদে প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এতে শুধু চার-পাঁচ হাজারের মতো মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়তে পারতেন। অন্যদের আশপাশের রাস্তায় নামাজ পড়তে হতো। গত সপ্তাহ থেকে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। অবশ্য অনেকের মতে, পবিত্র রমজান মাস অতি সন্নিকটে হওয়ায় মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এ হামলায় গত ১৩৪ দিনে ২৮ হাজার ৭৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬৮ হাজার ৫৫২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আনাদোলু এজেন্সি।


বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি, ঋণের ঝুঁকি ও প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি

অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি, ঋণের ঝুঁকি ও প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

লক্ষ্যটা নাগালেই রাখল বাংলাদেশ

লক্ষ্যটা নাগালেই রাখল বাংলাদেশ

ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যে কোন দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যে কোন দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে পীর সাহেব চরমোনাই

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে: কুষ্টিয়ায় হানিফ

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে: কুষ্টিয়ায় হানিফ

উখিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে জবাই করে হত্যা

উখিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে জবাই করে হত্যা

ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করুন

ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করুন

শাহজালালে তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

শাহজালালে তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

মুস্তাফিজকে ছাড়াই চেন্নাইয়ের বড় জয়

মুস্তাফিজকে ছাড়াই চেন্নাইয়ের বড় জয়

সুদহার শিগগিরই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে: গভর্নর

সুদহার শিগগিরই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে: গভর্নর

মোদির মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণায় এবার উপজীব্য ভোট জিহাদ, তারপর কী?

মোদির মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণায় এবার উপজীব্য ভোট জিহাদ, তারপর কী?

‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত

দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

এসআই পদে বয়সসীমা ৩০ করা হোক

এসআই পদে বয়সসীমা ৩০ করা হোক

ইউরোপীয় রাজনীতিতে শরণার্থী প্রসঙ্গ

ইউরোপীয় রাজনীতিতে শরণার্থী প্রসঙ্গ

হিন্দুত্ববাদের কবলে আমাদের পাঠ্যবই

হিন্দুত্ববাদের কবলে আমাদের পাঠ্যবই

রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব কী?

রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব কী?

দরকারী কাগজে নাপাকি লাগলে কী করণীয় প্রসঙ্গে।

দরকারী কাগজে নাপাকি লাগলে কী করণীয় প্রসঙ্গে।

প্রভাবিত হবে ইসরাইলের লোহা ইস্পাত পরিবহন ও ইলেকট্রনিক খাত

প্রভাবিত হবে ইসরাইলের লোহা ইস্পাত পরিবহন ও ইলেকট্রনিক খাত