দরজায় ধাক্কা-লাথি দিলে রাগ কমে যায় কেন?

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৯ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৬ পিএম

দরজা বন্ধ করলে রাগ কমে যাওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। দরজা থেকে আসা শব্দ মনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর থেকে অপরাধবোধ তৈরি হয়, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সম্ভবত আপনার দ্বারাও একটি সামান্য ভুল হয়ে যেতে পারে। সাধারণত, কিশোরদের মধ্যে রাগ করে দরজা লাগানোর প্রবণতা বেশি।

রাগ হয়েছে আর কখনো দরজায় জোরে ধাক্কা দেননি— এমনটা খুব কমজনের জীবনেই ঘটেছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ক্রোধের সম্মুখীন হওয়া আসবাব হলো ঘরের দরজা। খেয়াল করলে দেখবেন, বেশিরভাগ মানুষই রেগে গেলে জোরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাগ প্রকাশ করে, আবার অনেকে লাথিও মারেন। মজার ব্যাপার হলো, এই কাজটি করার কিছুক্ষণ পর রাগ কমতেও শুরু করে।

কখনো কি ভেবেছেন এই কাজটি কেন করে মানুষ? জানলে অবাক হবেন এর পেছনে কাজ করে মনোবিজ্ঞান। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

রাগ হলে দরজায় জোরে আঘাত করার বিষয়টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ডোরওয়ে ইফেক্ট’। বিজ্ঞানের মতে, এটি এক ধরনের রাগের বহিঃপ্রকাশ এবং এটি রাগ কমায়। রাগ কমার পেছনে বলা হয়, আমরা যখন এক দরজা থেকে অন্য দরজায় গিয়ে পৌঁছাই তখন রাগের কারণটি দুর্বল হতে শুরু করে এবং এটি রাগের উপরেও প্রভাব ফেলে।

অর্থাৎ যখনই একজন মানুষ ঘরের ভেতর পেরিয়ে দরজার কাছে পৌঁছে যায়, তখন পুরনো জিনিসটি ভুলে যান। খুব অল্প সময়ের জন্য এটি ঘটে। কিন্তু রাগ কমার জন্য এই সময়ই যথেষ্ট।

২০০৬ সালে গ্যাব্রিয়েল এ. রাডভেনেস্কি প্রাথমিকভাবে ডোরওয়ে এফেক্ট নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। যেখানে প্রথমে ৩০০ জনের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা যায়, যখন মানুষ দরজা পেরিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে আসে তখন আগের ঘরের স্মৃতি কিছুটা সময়ের জন্য ঝাপসা হয়ে যায়। আসলে, রাগ একই থাকে, কেবল জায়গা পরিবর্তন করার কারণে তা হালকা হয়ে যায়। এই কারণেই বিষণ্ণতার রোগীদের প্রায়ই ঘুরে বেড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।


বিভাগ : লাইফস্টাইল


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ইফতারে খেজুর না বরই, কী খাবেন
দেখ কেমন লাগে, ‘পিরিয়ডসের ব্যথা’য় ছটফট করলেন পুরুষরা!
হঠাৎ ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া লিভার সিরোসিসের লক্ষণ!
এক চামচ মধু তৈরি করতে ঠিক কতটা পরিশ্রম করে মৌমাছির দল?
চোখ ধাঁধিয়ে দেয় ১১০ ক্যারেট হিরা বসানো বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি
আরও

আরও পড়ুন

এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব

এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করলো গণস্বাক্ষরতা অভিযান

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করলো গণস্বাক্ষরতা অভিযান

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী

আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে  রুখে দিতে হবে

আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক

টাকার বিছানায় ঘুম

টাকার বিছানায় ঘুম

চশমার যাদুঘর

চশমার যাদুঘর

শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে

বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে

গ্রেফতার সেই কুমির

গ্রেফতার সেই কুমির

লেভেল ক্রসিং স্থাপন প্রয়োজন

লেভেল ক্রসিং স্থাপন প্রয়োজন

রাজধানীতে বেড়েছে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজি

রাজধানীতে বেড়েছে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজি

হাফিজ আহমেদ মজুমদার : যার তুলনা তিনি নিজে

হাফিজ আহমেদ মজুমদার : যার তুলনা তিনি নিজে

গরিব হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ

গরিব হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ

সীমান্তে আর কত হত্যা করবে বিএসএফ?

সীমান্তে আর কত হত্যা করবে বিএসএফ?