ইফতারে খেজুর না বরই, কী খাবেন
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও চলছে তুমুল সমালোচনা।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই, পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপেল লাগে কেন? আঙুর লাগে কেন? আর কিছু নেই আমাদের। ইফতারে বরই খান, পেয়ারা খান, আমাদের যা আছে সেগুলো ব্যবহার করুন। ইফতারের প্লেট সেভাবে সাজান।
তবে গত রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি খেজুরের পরিবর্তে বড়ই খেতে বলিনি। এগুলো সাংবাদিকদের সৃষ্টি।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘বরই, খেজুর বিতর্ক সাংবাদিকদের তৈরি। কোনো মহল নিজেদের স্বার্থে এসব করছে। আমি বলেছি, ইফতারের থালায় দেশি ফল রাখুন। খেজুর নিয়ে কিছু বলিনি।’
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রেশ এখনও কাটেনি। এখনও অনেকেই বলছেন ইফতারে খেজুর না বরই, কী খাবেন। এ নিয়ে তো এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ হইচই চলছে।
তবে আবার অনেকেই বলেছেন মন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, সবাই বরই খেলে খেজুরের ক্রেতা কমে যাবে। ফলে দাম কমাতে বাধ্য হবে বিক্রেতারা।
প্রিন্স আবির নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, যিনি এই কথা বলেছেন, তিনি তো ইফতারের সময় দামি খেজুর খাবে।
তাসলিমা শিকদার নামে একজন লিখেছেন, যিনি খেজুরের পরিবর্তে বরই খেতে বলছেন খোঁজ নিলে দেখা যাবে তার ডায়নিং টেবিলে দামি-দামি ফলমূল ও বিভিন্ন খাবার দিয়ে সজ্জিত থাকবে। আর উনি হয়ত জানেন না খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। যদি জানতেন তাহলে এত কঠিন কথা বলা থেকে বিরত থাকতেন।
তিনি আরও লিখেন, তিনি এই কথা না বলে কীভাবে খেজুরের দাম কমানো যায় তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার উচিত ছিল। অথচ মন্ত্রী এ কথা বলে খেজুর বিক্রেতাদের উৎসাহিত করেছেন।
সুপ্রাজিৎ চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, সমাজের মুখপাত্রদের রমজানে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলতে কখনও দেখা যায় না। অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশে রমজান এলে সবকিছুর দাম শীতল হয়। অথচ আমাদের দেশে রমজান এলে উল্টো দাম বাড়ে।
সিদ্দিক আলী নামে একজন লিখেছেন, মুসলমানদের খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত, যে মন্ত্রী বলেছে বরই দিয়া ইফতার করতে, তিনি মনে হয় রোজা রাখেন না।
হাজী মাহাবুব আলম নামে একজন লিখেছেন, বরই দিয়ে ইফতার করলে বরইয়ের দামও বেড়ে যাবে। তখন কি বলবেন মন্ত্রী মহোদয়। আপনার এ কথা না বলে কীভাবে খেজুরের দাম কমানো যায় তার পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল।
মো. মানিকুজ্জামান নামে একজন লিখেছেন, এ কথা বলা মানে খেজুরের দাম আরেকদফা বাড়ানোর পায়তারা।
মাজহারুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, সবার কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। মন্ত্রীরা হলো জাতীর বিবেক। তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। বরং জনদুর্ভোগ কীভাবে কমে তার পদক্ষেপ মন্ত্রীদের নিতে হবে।
বিভাগ : লাইফস্টাইল
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত রাখতে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই -মাও:সাইফুল্লাহ মুনির
জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির উপর লেখা 'জয় বাংলা’, 'জয় বঙ্গবন্ধু', শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনা, উদ্ধার অভিযান চলছে
শ্বশুরবাড়ির অদূরেই মিললো যুবকের মরদেহ
নাজিরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু
সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রশাসন ক্যাডারদের সভা
সুইমিং পুলে প্রস্রাব করে নতুন বিতর্কে আল্লু অর্জুন, হয়েছে মামলা
কুড়িগ্রামে নসিমন খাদে পড়ে চালক নিহত
ভারত সীমান্তে চিন প্রদেশও মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের দখলে
বাংলাদেশিদের অবদান শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্ব স্বীকৃত
গাজায় যুদ্ধের প্রভাবে বেথেলহেমে খ্রিস্টানদের বড়দিনে হতাশা, নেই আনন্দ উৎসব
চিকিৎসকদের আরও মানবিক হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
গণধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এক যুগ পর গ্রেপ্তার
ভূঞাপুরে শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত
আমরা নির্বাচন নিয়ে ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত: জামায়াত আমির
ভূরুঙ্গামারীতে নিজ ভটভটি উল্টে যুবকের মৃত্যু
মিজানুর রহমান আজাহারীর আগমনে পেকুয়ায় দশ লক্ষ মুসল্লি সমাগমের সম্ভাবনা
ক্ষমতা ছাড়ার আগে রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা বাইডেনের
আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
চট্টগ্রাম বোর্ডের নূরানি কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ : পাশের হার ৯৭.৮৮%