মানুষের আবেগের চাবিকাঠি যেখানে
২৯ মে ২০২৪, ১১:৩৪ এএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
আমাদের শরীর, মন-মেজাজ, আবেগের পেছনে হরমোনের ভূমিকা কম নয়। নির্দিষ্ট কিছু ‘সুইচ' নির্দিষ্ট হরমোনের নিঃসরণ ঘটিয়ে সুখ, আনন্দ, সুরক্ষা, আত্মতুষ্টি ইত্যাদি নানা অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারে।
সব কিছুই সহজ হতো, যদি না এই সুইচটা থাকতো। আনন্দের সুইচ। একবার তাতে চাপ দিলেই দুঃখ এবং উদ্বেগ উধাও হয়ে যায়। সারা শরীর জুড়ে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে। সত্যি কিন্তু এমন সুইচ রয়েছে, অন্তত জীববিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তো বটেই। সেই সুইচ চালু করার একাধিক উপায় রয়েছে।
মিষ্টি ও নোনতা, সাফল্য ও যৌনক্রিয়া, অ্যালকোহল ও মাদকের পাশাপাশি অনলাইন ও জুয়া খেলাও মনে আনন্দ দিতে পারে। এই সব পদক্ষেপ মস্তিষ্কের পুরস্কার কেন্দ্র বলে পরিচিত অংশে ডোপামিন নিঃসরণ করে। সেই মেসোলিম্বিক সিস্টেমের মধ্যে নিউরোট্রান্সমিটার থাকে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সে ক্ষেত্রে কি আমরা সত্যি আনন্দ অনুভব করি? বহুকাল ধরে ডোপামিন ‘সুখের হরমোন' বলে পরিচিত ছিল। বাস্তবে কিন্তু সেই হরমোন আমাদের মধ্যে চাহিদা আরো বাড়িয়ে তোলে, অর্থাৎ মনে অভাবের অনুভূতি জেগে ওঠে। মুখে চকোলেট ঢোকানোর আগেই ডোপামিনের সুইচ টেপা হয়ে যায়। প্রথম চকোলেট খাওয়ার আগেই দ্বিতীয়টির দিকে আমাদের হাত চলে যায়।
আরো একটি সমস্যা রয়েছে। ঘনঘন সেই সুইচ টিপলে তার প্রভাব অনেক দুর্বল হয়ে ওঠে। কোনো এক সময়ে গভীর সুখের অভিজ্ঞতা উধাও হয়ে যায় এবং শুধু কিছুটা স্বাভাবিক বোধ করার তাগিদেই আমরা সেই সুইচ টিপতে থাকি। তাই আসক্তিজনিত রোগের ক্ষেত্রে ডোপামিন যে বড় ভূমিকা পালন করে, তা নিয়ে বিস্ময়ের কোনো কারণ নেই।
কিন্তু এ ছাড়া অন্য সুইচও রয়েছে। যেমন অনেক খেলাধুলা করলে এন্ডরফিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। এর ফলে আমরা প্রাণবন্ত ও উচ্ছাসিত হয়ে উঠি। সেইসঙ্গে এন্ডোক্যানাবাইনোড শরীরের পেশির ব্যথাও দূর করে।
অন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিশেষ করে স্পর্শ অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। সেটা আমাদের সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও বজায় রাখতে সাহায্য করে। জীবনসঙ্গী বা সদ্যোজাত সন্তানের ক্ষেত্রে এমনটা বেশি দেখা যায়। এর ফলে আমরা সুরক্ষা ও আশ্রয়ের অনুভূতি পাই।
নির্দিষ্ট কিছু খাদ্য, খেলাধুলা ও সূর্যের আলো সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই হরমোন আমাদের মধ্যে সন্তুষ্টি ও নিজের সঙ্গে একাত্মতার বোধ জাগিয়ে তোলে। তবে সেই সব সুইচ স্বয়ংক্রিয় নয়। খেলাধুলার জন্য আত্মশৃঙ্খলার প্রয়োজন। অন্য মানুষের সঙ্গে আলাপ করতে হলে আমাদেরই সক্রিয় হতে হয়। একমাত্র সঠিক প্রেরণাই লক্ষ্য পূরণের পথ। সেই প্রেরণার জন্য আমাদের এক পরিচিত সুইচের আশ্রয় নিতে হয়। আর সেটা হলো ডোপামিন। কারণ অন্য কিছুই আমাদের এত বেশি উদ্বুদ্ধ করতে পারে না।
মোদ্দা কথা হলো, প্রলোভন সত্ত্বেও সুখের অনুভূতির জন্য একটি সুইচের সন্ধানে তেমন ফল পাওয়া যায় না। একাধিক সুইচ চালু করলে তবেই সুখ ও আনন্দের পথে অগ্রসর হওয়া যায়।
বিভাগ : লাইফস্টাইল
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সুইমিং পুলে প্রস্রাব করে নতুন বিতর্কে আল্লু অর্জুন, হয়েছে মামলা
কুড়িগ্রামে নসিমন খাদে পড়ে চালক নিহত
ভারত সীমান্তে চিন প্রদেশও মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের দখলে
বাংলাদেশিদের অবদান শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্ব স্বীকৃত
গাজায় যুদ্ধের প্রভাবে বেথেলহেমে খ্রিস্টানদের বড়দিনে হতাশা, নেই আনন্দ উৎসব
গণধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এক যুগ পর গ্রেপ্তার
ভূঞাপুরে শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত
আমরা নির্বাচন নিয়ে ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত: জামায়াত আমির
ভূরুঙ্গামারীতে নিজ ভটভটি উল্টে যুবকের মৃত্যু
মিজানুর রহমান আজাহারীর আগমনে পেকুয়ায় দশ লক্ষ মুসল্লি সমাগমের সম্ভাবনা
ক্ষমতা ছাড়ার আগে রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা বাইডেনের
আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
চট্টগ্রাম বোর্ডের নূরানি কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ : পাশের হার ৯৭.৮৮%
বিপিএলের সূচি
পিআইবির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন ডঃ মানোয়ার হোসেন মোল্লা
বিজয় দিবস হ্যান্ডবল আজ শুরু
শান্তি ও মানবতার জয়গানেই খুলনায় বড়দিন উদযাপন
চুয়াডাঙ্গায় সারাবাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সপ্তাহ ব্যাপী কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু
কালিগঞ্জে বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ডাম্পার
রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে জামির আলী মার্কেট দখলের পাঁয়তারা