ক্ষতিকর গাছ থেকে তৈরি হচ্ছে প্রসাধনীর কাঁচামাল
২০ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৩ এএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৩ এএম
বিভিন্ন কারণে এক দেশ বা অঞ্চলের গাছ অন্য কোথাও গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এগুলোকে বলে ইনভেসিভ প্ল্যান্ট। বিভিন্ন দেশের মানুষ এসব গাছকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজছে। যেমন, ভারতে ল্যান্টানা গাছ দিয়ে হাতির ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে। আফ্রিকা, বিশেষ করে ঘানায় কচুরিপানা দিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার হয় এমন পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। অন্য জায়গায় এমন গাছ দিয়ে অর্গানিক সার তৈরি হচ্ছে।
ফ্রান্সের এক বিজ্ঞানী এমন এক গাছ থেকে ক্যাটালিস্ট তৈরি করেছেন যেটা কসমেটিক ও ওষুধ গবেষণায় ব্যবহার হতে পারে। দক্ষিণ ফ্রান্সের রন নদী এলাকায় জন্মানো ইনভেসিভ প্ল্যান্ট জাপানিজ নটউইড। রসায়নবিদ ক্লদ গ্রিসঁ এই গাছের সন্ধান পেয়েছেন। নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এটি অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। গ্রিসঁ বলেন, ‘‘অন্যান্য গাছের তুলনায় এটা তিন থেকে চার গুন দ্রুত বাড়ে। ফলে এই এলাকার জীববৈচিত্র্যে চাপ তৈরি হয়। পরিবেশের কথা বিবেচনা করলে এটা একটা বিপর্যয়। অর্থনীতির কথা ভাবলেও তাই, কারণ এগুলো একটা উপনদীকে ধ্বংস করে, যার রন নদীর অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার কথা ছিল।''
এই গাছ সমূলে উৎপাটন করে ফেলা যেত, কিন্তু গ্রিসঁ একে ভালো কাজে ব্যবহারের একটি উপায় বের করেছেন। তিনি ঐ গাছ থেকে প্রাকৃতিক ক্যাটালিস্ট বের করেছেন, যেটা ওষুধ নিয়ে গবেষণা ও কসমেটিক তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। কারণ, এই গাছ নতুন মলিকিউল তৈরির জন্য যে জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তার গতি অনেক দ্রুত করতে পারে। ক্লদ গ্রিসঁ অনেকদিন ধরেই গাছের অবিশ্বাস্য ক্ষমতা নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ১০ বছরেরও বেশি সময় আগে তিনি ফ্রান্সের ওভারসিজ টেরিটরি নিউ ক্যালেডোনিয়ার স্থানীয় প্রজাতির গাছ নিয়ে একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে গবেষণা করেছিলেন।
গ্রিসঁ বলেন, ‘‘নিউ ক্যালেডোনিয়ায় আমি বেশ কিছু প্রজাতির গাছ খুঁজে পেয়েছিলাম যেগুলো দূষণ সহ্য করতে পারে। এমনকি তারা তাদের আশপাশ থেকে ক্ষতিকর ধাতু সংগ্রহ করে নিজেদের পাতায় জমা করে রাখতে পারে। ফলে এসব গাছ দিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া মাটির গুণ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।'' গ্রিসঁ ফ্রান্সে ইনভেসিভ প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করছেন। কিছু প্রজাতির গাছ আছে যেগুলো দিয়ে দূষিত পানি বিশুদ্ধ করা যায়। আর জাপানিজ নটউডের মতো গাছকে এখন গবেষণাগারে প্রক্রিয়াজাত করে শিল্পখাতে ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : লাইফস্টাইল
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা