রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে যারা জঞ্জাল বলে তারাই নিজেরাই জঞ্জাল
০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৬ পিএম
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে যারা জঞ্জাল বলছে তারা নিজেরাই দেশের জন্য জঞ্জাল। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোনো সফলতা আসবে না। ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জাতীয় সংসদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও মদিনার সনদের বিরুদ্ধে বিষোদগারের প্রতিবাদে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায় নয়। রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুরাই বাংলাদেশের জন্য জঞ্জাল। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে ইসলামপ্রিয় মানুষের মাঝে সংঘাত লাগিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তারা। এই জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা সংসদে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। তাদের স্বপ্ন বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হবে না। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সংগ্রামী মহাসচিব শাইখুল হাদিস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম এসব কথা বলেন। তিনি রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুর ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সিয়াম সাধনার মাস রমজান মাসে মহান সংসদে দাঁড়িয়ে ইসলাম বিদ্বেষী বক্তৃতা দেয়ার সাহস তারা কোথায় থেকে পেয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আছে এবং থাকবে। তাদের ইসলামের বিরুদ্ধে এত চুলকানি। সংসদে আর কোন বক্তব্য দেওয়ার মতো পায়নি। ইসলামের বিরোধিতা করে অতীতে কেউ টিকেনি এবং ভবিষ্যতে টিকবে না। ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দেয়ার জন্য তাদেরকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম। মহান সংসদে ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কওমি পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ও পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী। ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ : মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে জঞ্জাল বলা সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননই এদেশের জন্য জঞ্জাল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির। আজ রোববার এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন,ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো ইসলাম ও দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জন জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে জঞ্জাল বলার অর্থ ধর্মপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধাদের ধর্মবিশ্বাসকে অসম্মানিত করা। শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া যে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র পাশে রেখে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য নামাজ আদায় করেছেন সে মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে জঞ্জাল বলা অন্যায় ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশে যখন দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্কট চলছে তখন এসব বিষয়ে কথা না বলে স্বভাবসুলভভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে রাশেদ খান মেনন সাহেব তার ইসলাম বিরোধী মানুষিকতার মুখোশ উন্মোচন করেছেন। ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে ছিলো থাকবে। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত দেশের জনগণ কোনভাবেই মেনে নিবে না। ইসলামী ঐক্য জোট : ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি স্বীকৃত বিষয়। এটা নিয়ে যারা মাহে রমজানে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের চক্রান্ত সফল হবে না। ৯০% মুসলমানের দেশে জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ নিয়ে যারা সংসদে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছে তারা ইহুদি নাসারাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, অন্ধজ্ঞানী ছারা জাতীয় সংসদে মদিনার সনদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। দেশবাসী এসব নাস্তিক্যবাদী চিন্তা চেতনার সুবিধাবাদীদের বহু আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ নিয়ে যাদের গাত্রদাহ তাদের উচিৎ হিন্দু দেশে চলে যাওয়া। এদেশের জনগণ ইসলামের ধারক বাহক হিসেবেই বেচে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। কোনো নাস্তিক-মুরতাদদের দেশ বিরোধী ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রধর্ম ও বিসমিল্লাহ নিয়ে বিষোদগারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও মদিনার সনদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নাস্তিক-মুরতাদদের দোসরদের শেষ রক্ষা হবে না। এদেশের ভাষা আন্দোলনে মুসলমানরাই জীবন দিয়েছেন। কোনো সংখ্যাগরিষ্ট ব্যক্তিরা ভাষা আন্দোলনে রক্ত দেয়নি। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা হয়। তিনি বলেন, এদেশে একজন মুসলমান বেচে থাকতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বাতিলের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না। তিনি মাহে রমজানে ইসলাম বিদ্বেষীদের তওবাহ করে ঈমানদারদের কাতারে শামিল হবার আহবান জানান। অন্যথায় আগামীতে এসব চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও