মির্জা ফখরুলেরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে ভয় পায়-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসবাদ ও দেশ বিরোধী কোন চোক্রের কাছে আপোষ করবে না। আর আপোষ করবেনা বলেই শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হয়েছে। মির্জা ফখরুলেরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে ভয় পায়। কারণ তারা জানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদের মূল উদপাটন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কুখ্যাত রাজাকার সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীদের বিচার হয়েছে বলে মির্জা ফখরুলেরা ভয় পায়। আর তাই তারা মিথ্যা কথা বলে আমেরিকা ও পশ্চিমাদেশ গুলিতে গিয়ে বিচার দেয়। আজ শনিবার বিকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৪তলা একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন শেষে এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রজন্মকে আগামী ৪১ সালের স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে। এক সময় মানুষ সিঙ্গাপুর দেখতে লাভ ইন সিঙ্গাাপুর সিনেমা দেখতো। এখন সিঙ্গাপুর দেখার জন্য লাভ ইন সিঙ্গাপুর সিনেমা দেখতে হয়না বা সিঙ্গাপুরে যেতে হয়না। ঢাকা শহরের গেলেই সিঙ্গাপুরকে দেখতে পাওয়া যায়। কি অপরুপ দৃশ্যতে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ৩ বছর আগেও যারা ঢাকা শহরে গেছেন। এখন ঢাকা শহরে গেলে ঢাকা শহর সহজে তারা চিনতে পারবেন না। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কি হয়েছিলো। সেটা এই প্রজন্মকে জানতে হবে। কেন আওয়ামীলীগের নেতারা বেদনা কষ্ট নিয়ে রাজনীতি করে। কেন আমরা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি। কেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমাদের যে অকুতভয় সাহস নিয়ে কেন আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। কেন আমরা দেশের প্রশ্নে আমেরিকা ও পশ্চিমাদের সাথে আপোষ করছিনা। সেটা এই প্রজন্মকে জানতে হবে। কারণ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের আখড়া তৈরী করা হয়েছিলো। বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসীরা ইসলামের মদদ দিয়ে শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই তৈরী করে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করেছিলো। এই নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে আহসানুল্লাহ মাষ্টারেরৎমত একজন বিশ্বের অন্যতম শ্রমিক নেতাকে কারা গুলি করে হত্যা করেছে। বিশ্বের অন্যতম অর্থনীতিবিদ শাহ এসএম কিবরিয়াকে কারা গ্রেনেড মেরে হত্যা করেছে। মমতাজ উদ্দীনকে কুপিয়ে কুপিয়ে কারা হত্যা করেছিলো। অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মহুরীকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মাথার খুলি উড়িয়ে দিয়ে কারা হত্যা করেছিলো। কারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালীন সময় গ্রেনেড মেরে সকল নেতৃত্বকে শুন্য করার মহাপরিকল্পনা করেছিলো। ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট দেশের ৫শ’ জায়গায় একই সাথে কারা সিরিজ বোমা হামলা করেছিলো। এসব এই প্রজন্মকে জানতে হবে। কারণ এসব কথা যদি এই প্রজন্ম না জানে। তাহলে আমরা যে আওয়ামীলীগের প্রগতিশীল চিন্তা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলছি। সেটা তাদের বুঝে আসবে না। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে এই বিষয়গুলি জেনে এই প্রজন্মকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মঙ্গলপুর মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোপেন্দ্র নাথ দেবশর্মার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা।

বিভাগ : মহানগর