ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গণরুম-গেস্টরুমে ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ, প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট নিশ্চিত এবং সারাদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাবি শাখার উদ্যোগে একটি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সেখানেই এসব দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে, এর একমাত্র কারণ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য বৈধ সিট পায় না। ফলে গেস্টরুম-গণরুমে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে তাদের নির্যাতিত হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীকে বাইরে থাকতে হয়। গেস্ট রুমের নির্যাতনের ফলে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গণরুমে বসবাস করে, গেস্টরুম করে এবং এমন অখাদ্য খেয়ে দেশের মেধার বিকাশ সম্ভব না। গেস্টরুম-গণরুমের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

বক্তারা বলেন, প্রশাসন বাজেটের টাকায় মনুমেন্ট বানাচ্ছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। একটি রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি হলের গেস্টরুমে ম্যানার শেখানো হয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন- একজন শিক্ষার্থী ১৫ বছর ধরে পড়াশোনা করে আসছে তারা কি এত দিন ম্যানার শেখেনি? এসময় বক্তারা প্রতিটি হলের গেস্টরুম ও গণরুম বন্ধ ও প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করলেও ঢাবি একটি রাষ্ট্র তৈরি করেছে। কিন্তু, কষ্টের কথা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকে বস্তির চেয়েও নিকৃষ্ট জায়গায়। তাদের খাবার বস্তির দরিদ্র মানুষের চেয়েও নিম্নমানের। গেস্টরুমে তাদের সঙ্গে দাসের মতো ব্যবহার করা হয়।

কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাহবুব নাহিয়ান বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পার হলেও সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি। মানুষের স্বাধীনতার জন্য যেই লড়াই চালিয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল এখন সেই স্বাধীনতা নেই। সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এজন্য শুধু ঢাবি নয় সারাদেশের সকল ছাত্র জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মারজানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, ঢাবি শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর
বিমানবন্দর থানায় যোগ দিলেন নারী ওসি
নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই দেশে পরিপূর্ণ সংস্কার হবে: আমিনুল হক
ঢাবি ও বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে ৮ম নন-ফিকশন বইমেলা শুরু আগামীকাল
উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের
আরও

আরও পড়ুন

কুলাউড়ায় পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনতাই

কুলাউড়ায় পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনতাই

রোববার থেকে নগর ভবনে দাপ্তরিক কাজ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

রোববার থেকে নগর ভবনে দাপ্তরিক কাজ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

কনস্টাস কাণ্ডে কোহলির দোষ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড প্রধান

কনস্টাস কাণ্ডে কোহলির দোষ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড প্রধান

চরমোনাই মাদরাসা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্প: মাসুম বিল্লাহ

চরমোনাই মাদরাসা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্প: মাসুম বিল্লাহ

বগুড়ায় বালু ব্যবসায়ী হত্যা, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

বগুড়ায় বালু ব্যবসায়ী হত্যা, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

মাগুরার শ্রীপুরে জোড়া শিশুর জন্ম

মাগুরার শ্রীপুরে জোড়া শিশুর জন্ম

রিক্সা ভ্যানে চলন্ত ট্রাকের ধাক্কায় বাবা মেয়ে সহ নিহত ৩

রিক্সা ভ্যানে চলন্ত ট্রাকের ধাক্কায় বাবা মেয়ে সহ নিহত ৩

পদ্মা নদীর ভয়ঙ্কর আগ্রাসনে হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়ক

পদ্মা নদীর ভয়ঙ্কর আগ্রাসনে হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়ক

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা: চালকসহ গ্রেপ্তার ২

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা: চালকসহ গ্রেপ্তার ২

গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেডের আরএমও জেল -হাজতে

গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেডের আরএমও জেল -হাজতে

বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, প্রয়োজনে আবারও মাঠে নামতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, প্রয়োজনে আবারও মাঠে নামতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

সাংবাদিক আনিসুর রহমানের মৃত্যু

সাংবাদিক আনিসুর রহমানের মৃত্যু

নিউজিল্যান্ডের কাছে শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য পরাজয়

নিউজিল্যান্ডের কাছে শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য পরাজয়

রাশিয়ার উপর আজারবাইজানের বিমান ভূপাতিতের অভিযোগ : যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত

রাশিয়ার উপর আজারবাইজানের বিমান ভূপাতিতের অভিযোগ : যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত

ফিরে দেখা ২০২৪: সংস্কারের বছরে মাঠের ক্রিকেটে হতাশা

ফিরে দেখা ২০২৪: সংস্কারের বছরে মাঠের ক্রিকেটে হতাশা

মানুষ সুন্দর ও কল্যাণের অপেক্ষায় আছে : হাজী ইয়াছিন

মানুষ সুন্দর ও কল্যাণের অপেক্ষায় আছে : হাজী ইয়াছিন

সিএনজি স্টেশন খোলা রাখার সময় বাড়ছে

সিএনজি স্টেশন খোলা রাখার সময় বাড়ছে

সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ দেশে ফিরেছেন

সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ দেশে ফিরেছেন

ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০তম শাখার উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০তম শাখার উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর