ঢাকা-১৮ আসনে খসরু চৌধুরীকে এমপি হিসেবে দেখতে চান উত্তরখান ও দক্ষিণখানবাসী

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৫ পিএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৫ পিএম

ঢাকা-১৮ আসনের উত্তরখান ও দক্ষিণখান ইউনিয়ন দুটি সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়ার্ডগুলোতে উন্নয়নের দৃশ্যমান ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। অফিসগামী মানুষ, অসুস্থ রোগী ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। সু-পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় পানি দীর্ঘক্ষণ জমে থাকার কারণে বর্ষাকালে অধিকাংশ রাস্তা মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। আজমপুর রেললাইন-উত্তরখান মাজার ও কসাইবাড়ি-দক্ষিণখান বাজার যাওয়ার রাস্তা বছরের অধিকাংশ সময় থাকে পানির নিচে। খানাখন্দ ভরা ভাঙা সড়কগুলো মানুষের চরম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই নতুন নতুন দুর্ভোগ পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ৭টি (৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লার রাস্তাগুলো বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়েছে, বেশিরভাগ কাঁচারাস্তায় ইটের সলিং ভেঙে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এই সমস্যাগুলোর মধ্যেই প্রতিদিন পথ চলতে হচ্ছে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার নতুন ৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে জয়নাল মার্কেট, গণকবরস্থান থেকে দক্ষিণখান থানা রোড, বাবুর্চী বাড়ি রোড, হলান অটোস্ট্যান্ড থেকে নর্দাপাড়া আশকোনা প্রাইমারি স্কুল, উচ্চারটেক মেডিক্যাল রোড, দক্ষিণখান থেকে নগইরাবাড়ী রোড, পণ্ডিতপাড়া থেকে সোনার খোলা, সিটি কমপ্লেক্স রোড, দক্ষিণখান বাজার থেকে মাজার রোড, মাস্টারপাড়া হতে বালু মাঠ, শাহ কবির মাজার থেকে দক্ষিণখান, চামুরখান থেকে উত্তরখান থানা রোড, দোবাইদা থেকে সাইনবোর্ড, আটিপাড়া থেকে রাজাবাড়ী, কাঁচকুড়া বাজার থেকে বাওথার, মুন্ডা মাউসাইদ, রাজাবাড়ি ও কাওলার সড়কগুলো একেবারেই বেহাল দশা। এছাড়াও অভ্যন্তীরণ রাস্তাগুলোর এতোটাই খারাপ অবস্থা পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

দক্ষিণখানের স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকা-১৮ আসনে একাধিক ব্যক্তি এমপি নির্বাচিত হলেও এই এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমাদের এলাকা বরাবরই থেকেছে অবহেলিত। আমাদের দেখার কেউ নেই। তাই আমরা চাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এমন একজনকে এমপি নির্বাচিত করা হোক যিনি হবেন আমাদের উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা। যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা বুঝবেন। উত্তরখান এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, আমরা চাই রেল লাইনের পূর্ব পাশের কেউ এমপি হোক। তাহলে নিজের স্বার্থে হলেও উত্তরখান ও দক্ষিণখানের উন্নয়নে তিনি কাজ করবেন। কারণ এই আসনের প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোটার রেল লাইনের পূর্ব পাশে বাস করে।

এদিকে, দক্ষিণখানের স্থায়ী বাসিন্দা খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসন থেকে এমপি প্রার্থী হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, ক্লাব-চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনা তাকে ঘিরে। তিনি প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা উচ্ছ্বসিত। অবহেলিত এই অঞ্চলের মানুষ তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। তাকে বিজয়ী করতে কাজ শুরু করেছেন আপন তাগিদে।

জানাগেছে ঢাকা-১৮ আসনের দক্ষিণখানে খসরু চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত কে সি হাসপাতালে প্রতিবছর লাখো রোগী স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। দক্ষিণখানে তার প্রতিষ্ঠিত কে সি স্কুল এন্ড কলেজও ছড়িয়ে যাচ্ছে শিক্ষার আলো। কে সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা-১৮ আসনের জনগণকে। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান হচ্ছে লাখো মানুষের। অপরদিকে গরীব, দুস্থ, অভাবিদের দুহাতে দান করে যাচ্ছেন এই কর্মবীর। বহু ঘটনা এমন আছে যেখানে অভাবিরা এসেছেন তাঁর কাছে একটু সাহায্যের জন্য, কিন্তু খসরু চৌধুরী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে শুধু তাদের অভাবটুকু দূর করে দেননি, বরং বিভিন্নভাবে তাদের জীবনের উপায় ও স্বাবলম্বী করে দিয়েছেন।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিএনপির দু গ্রুপের সভা হয়নি গোটা উপজেলার পরিবেশ শান্ত

মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিএনপির দু গ্রুপের সভা হয়নি গোটা উপজেলার পরিবেশ শান্ত

সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন  - ডা. মাজহার

সংস্কারের ৩১দফায় তারেক রহমান শিক্ষকদের অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন - ডা. মাজহার

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম জয়ন্ত ও মধুমেলা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম

রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আয়নায় তামিম

আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম

আমরা বিগত ১৮ বছর আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগ পার করেছি- মাওলানা এ টি এম মা’ছুম

টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

টঙ্গীতে নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা

ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে: প্রফেসর ড. মাছুমা

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নিলো শহীদ নূর আলী কলেজ

ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা

ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা

ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া

ডনবাসের তিনটি এলাকা মুক্ত করেছে রাশিয়া

মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা

মার্চের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে: পরিবহন উপদেষ্টা

খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা

খনন ফিল্ডে প্রত্নতাত্ত্বিক তারিখ নির্ধারন সংক্রান্ত মাঠ কর্মশালা

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুরে যুব সমাবেশ

ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!

ফ্যাসিস্ট দোসর তাপসকে হঠাৎ হিরো বানানোর চেষ্টা!

আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি

আ’লীগের নিবন্ধন থাকবে কি না সময় বলে দিবে: সিইসি

সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১

সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪ নিহত ১

দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই

দিনাজপুরের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও সাঁওতাল লোকসংস্কৃতিবিদ গণেশ সরেন আর নেই