খতনা করতে গিয়ে মৃত্যু, সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৯ এএম | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৯ এএম
রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) নামের আরেক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আহনাফের স্বজনদের অভিযোগ, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিশু আহনাফের মৃত্যু হওয়া জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের লাইসেন্স থাকলেও হাসপাতাল পরিচালনার কোনো অনুমতি ছিল না। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন থাকলেও হাসপাতাল পরিচালনার অনুমোদন ছিল না। আমরা তাদের সব কার্যক্রম বাতিল করেছি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সও বাতিল করা হচ্ছে। এমন কাজের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘আহনাফের মৃত্যুর কারণ কী ছিল?’- প্রশ্নের জবাবে ওই পরিচালক বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে কাউকে পাইনি, এজন্য শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আব্দুল কাইউম নামে একজন লিখেছেন, কোনো ঘটনা ঘটে গেলে জানা যায় হসপিটালটির লাইসেন্স নাই। তাহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি করে এদের ধরতে পারে না কেন?
আবু নাঈম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, যখন কোনো ঘটনা ঘটে তখনই লাইসেন্স ছিল না। এই সমেস্যা অই সমেস্যা লেগেই থাকে। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিসাররা কি করে। লাইসেন্স যাচাই বাচাই কেন করে না। বসে বসে বেতন নেওয়ার জন্য এদেরকে সরকার রেখেছে নাকি?
আব্দুল বাকি চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, বছরের পর বছর এরা প্রশাসনের নাকের ডগায় বিজনেস করে। আর কিছু একটা হলেই প্রশাসন বলবে অনুমোদন নেই। অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।
সাখাওয়াত হোসেন নামে একজন লিখেছেন, অনুমোদন ছাড়া কিভাবে এসব হাসপাতাল গড়ে উঠে এটি বাংলাদেশেই সম্ভব।
জাকির হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, কারো মৃত্যু হলেই শোনা যায় হাসপাতালের লাইসেন্স ছিল না, অধিদপ্তরের অনুমতি ছিল না, তাহলে এতদিন হাসপাতালগুলো কিভাবে চলছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঘুষ দিয়ে, না প্রশাসনকে ঘুষ দিয়ে, না হয় সরকারকে ঘুষ দিয়ে। এখন সব দোষ হাসপাতালের। সব দ্বায় নিতে হবে সরকারকে। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সে কর্মকর্তাদের বেতন হয় তারা কী করে।
ইমরুল হাসান নামে একজন লিখেছেন, আহ! কি অপূর্ব সুন্দর ছেলেটি, অপচিকিৎসায় মারা গেল। জড়িতদের শাস্তি হবে কি? খতনা করতে গিয়েও একবিংশ শতাব্দীতে মৃত্যু, কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
সাফায়েত জান্নাত নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এ রকম অহরহ ক্লিনিক হাসপাতাল আছে যাদের কোনো অনুমোদন নাই।
রতন দাস নামে একজন লিখেছেন, অঘটনের পরে জানা যায় এটা ওটা ছিল না। আগে বা যথাসময়ে জানার কোনো উপায় নেই। ঠিক আজও যেমন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। ক্ষয়ক্ষতির পরে জানা যায় ওটা কত মাত্রার ছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। এভাবেই চলছে, চলবে এটাই নিয়তি। কতশত সংস্থা, অথচ দেখার কেউ নেই।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা