ঢাবির হলে ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতন, ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম

বাসা থেকে দুজনকে তুলে নিয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক মোনতাছির হোসাইন, একই হলের উপত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ ওরফে তানসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদি। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা মোনতাছিরের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন মো. আব্দুল জলিল ও হেফাজ উদ্দীন। তারা দুজন বন্ধু বলে জানা গেছে। গত শনিবার রাতে শাহবাগ থানা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম হলের ৫৪৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী জলিলের কাছে কিছু টাকা পান মোনতাছিরের আত্মীয় পরিচয় দেওয়া শাহাবুদ্দিন নামে ওই ব্যক্তি। ব্যবসার জন্য তার থেকে টাকা নেন জলিল এবং ফেরত চাইলে দেননি। টাকা ফেরত দিতে দেরি করায় শাহাবুদ্দিন ঢাবির তিন-চারজন শিক্ষার্থীসহ ১০-১২ জনকে নিয়ে জলিল ও হেফাজকে হাতিরঝিলের হাজীপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে অপহরণ করেন।
অপহৃত জলিল ও হেফাজকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। পরে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৫৪৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটকে রেখে তাদের নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার এসআই আলামিন বলেন, নির্যাতনের আলামত হিসেবে পুলিশ ওই কক্ষ থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার করেছে এবং ভুক্তভোগীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন আমার কাছে কিছু টাকা পান। কিন্তু মাঝখানে উনার সাথে আমার যোগাযোগ হয় না। তাই ভুল বোঝাবুঝির একপর্যায়ে আমাকে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ২টায় বাসা থেকে তারা ১০-১২ জন মিলে তুলে আনেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে হলে আটকে রাখেন। প্রথমে বিজয় একাত্তর হলে এবং পরে মুহসীন হলে আটকে রাখেন। গত তিন দিন ধরে আমাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করা হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথমে পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম, মুহসীন হলের পাঁচ তলায় আমাদের কয়েকজন ছাত্রের সহযোগিতায় একজনকে তুলে আনা হয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য তাকে মারধরও করা হয়েছে। পরে শাহবাগ থানা ও হল প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা ওই দুজনকে উদ্ধার করি। তাদেরকে একত্রিত করে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। এতে সকল ঘটনা বেরিয়ে আসে। আমরা তাদের পুলিশে হস্তান্তর করেছি। ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার আগেই একটি জিডি করেছে। তার ভিত্তিতে এখন তা মামলায় যাবে।’
অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিচার হবে। তাদের বিরুদ্ধে থানায়ও অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।’
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

চকরিয়ায় একেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একেএস ফার্মেসি উদ্বোধন

সখিপুরে আ.লীগ দোসরদের দুর্নীতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক

কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদে জব্দকৃত প্রাইভেট কারের যন্ত্রপাতি বিক্রি!

ইবিতে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সম্পন্ন

গ্রীলিশকে নিয়ে সিদ্ধান্ত মৌসুম শেষে: গুয়ার্দিওলা

গণমাধ্যমকর্মীদের দলীয়করণ থেকে বেরিয়ে এসে অপসাংবাদিকতা পরিহার করতে হবে : প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

ফকিরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

বকশীগঞ্জে ইঞ্জিন চালিত ভটভটি উল্টে যুবক মৃত্যু

উদ্যোক্তা উন্নয়নে তারুণ্য ও আগামীর সম্ভাবনায় যুব সমাবেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত

মেসিই সর্বকালের সেরা, চারে রোনালদো

জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন চেষ্টায় বিএসএফ: সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

বীরগঞ্জে পথচারীদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয় সোনালু ফুল

১১২ টাকা খরচ করে, শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মানিকগঞ্জ ডিসি অফিসে চাকরি পেলেন ২২ জন

আওয়ামী লীগ নেতাদের সত্যিই কি তাড়িয়ে দিচ্ছে ভারত?

শার্শায় তক্ষকসহ দুই পাচারকারী আটক

গাজায় ইসরাইলি সেনা নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫৭

ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মহিপুরে হঠাৎ বিকট শব্দে সেতু ভেঙ্গে খালে, ভোগান্তিতে ১৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ

ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নামে শতাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি বন্ধ করতে নোটিশ

উচ্চ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক প্রশ্ন সম্পর্কিত মামলার শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করতে রুল জারি