বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দিলো ছাত্রলীগ
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ সভাপতির প্রবেশ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে এবার বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এসময় তাদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ফুল দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা সেখানে থেকে চলে যান। এসময় বুয়েটের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলগুলোর ফটক ও প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে এদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কতৃক গৃহীত সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও শিক্ষাবিরোধী উল্লেখ করে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এসময় "আমার সোনার বাংলায় মৌলবাদের ঠাঁই নাি, আমার সোনার বাংলায় জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই", "শিবিরের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও", "জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীর। ছাত্রলীগ সভাপতির সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রায় সহস্র নেতাকর্মী।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে তবে সে একা হলেও আমরা তার পাশে দাঁড়াব। রাব্বী যদি একা হয় আর মৌলবাদী স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যতজনই হোক না কেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে রাব্বীর পাশে থাকবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমি বুয়েটে প্রবেশ করায় আমাকে বলা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী। আমি বলতে চাই শুধু বুয়েট কেন, পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা আমার সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের প্রতিটি পাতায় পাতায় বাকস্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে, নিজ মতবাদ প্রকাশের অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সংগঠন করার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং এটা যদি কোনো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তও হয় তবুও তা সংবিধান বিরোধী।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা এখানে লড়াই করছে মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকার বিরোধী এবং একই সঙ্গে সুস্পষ্ট খোলামেলা শিক্ষাবিরাধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা শহীদ মিনারে দাঁড়িয়েছি।
সাদ্দাম আরো বলেন, কী অপরাধ করেছে আমাদের রাব্বী? তার অপরাধ ১৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে যাদের জন্য তিনি লড়াই করেছেন তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এটাই রাব্বীর অপরাধ। এই দেশের পতাকা, এই দেশের মানচিত্র ও দেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে যে সংগঠন, যে সংগঠনের রক্ত লেগে আছে পাকিস্তানের হাতে, সেই সংগঠনের কর্মী হওয়ার কারণ কাউকে যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আমরা ঘোষণা করে দিতে চাই- মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেছে। এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৌলবাদী রাজনীতির বীজ বপন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা দেখেছি বুয়েটের নৈরাজ্যকর অবস্থা। ছাত্রদলের ক্যাডারদের দুই গ্রুপের মারামারিতে প্রাণ হারিয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থী সনি। তারপর রাতের আঁধারে সেই সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় ভাবে বিদেশে পাঠিয়েছে ঘসেটি বেগম বেগম খালেদা জিয়া। আজো সনি হত্যার বিচার হয়নি। আমরা যখন দেখতে পাই সুনামগঞ্জে বুয়েটে মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয় তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এসব থেকে স্পটভাবে প্রতিয়মান হয় যে, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে বুয়েটে নিষিদ্ধ রাজনীতির চর্চা হচ্ছে।
ইনান বলেন, আমরা বুয়েট প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব প্রণীত সংবিধান। এই সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে বুয়েটের সকল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে লড়ব, টকশোতে লড়ব, আইনি অঙ্গনে লড়ব।
সমাবেশে যোগ দিয়ে বুয়েটের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বী বলেন, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। আজকের এই দিনে সেই সকল বুয়েটের লড়াকু সৈনিকদের স্মরণ করতে চাই, যারা এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে। রাজনীতি করা একজন শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো শিক্ষার্থী যদি চায় সে রাজনীতি করবে তবে সে তা করবেই। এতে বুয়েট প্রশাসনের কোনো অধিকার নেই তাকে বাধা দেওয়ার। তারা কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই আমার সেকেন্ড হোম তিতুমীর হল থেকে আমাকে বের করে দিয়েছে। তা অবশ্যই কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে
অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ
জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম
মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ
গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম
মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী
নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?
মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক
প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম
অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন
ময়মনসিংহে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত
পাঠ্যবইয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ভুল তারিখ সংশোধন, জড়িতদের শোকজ
টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা
স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে: আশরাফুল
কুয়েট ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বিরলে বিরল প্রজাতির লক্ষীপেঁচা উদ্ধার
সাগর-রুনি হত্যা: সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলকে ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
অবিশ্বাস্য নতুন চুক্তিতে প্রতি মিনিটে রোনালদোর আয় ৪৩ হাজার টাকা!