বান্দরবান অঞ্চলে সশস্ত্র তৎপরতা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক সভা মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অফিসে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বান্দরবানের সশস্ত্র তৎপরতার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, বান্দরবানে কুকি -চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র তৎপরতা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাংলাদেশীদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়েও আশংকা তৈরী করেছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি'র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ মিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তারা ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, বান্দরবনে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে একদিকে যখন শান্তি আলোচনা চলছে অন্যদিকে তখন কুকি- চিন- কেএনএফ সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করেছে, দিনে দুপুরে ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছে, মানুষকে অপহরণ করছে। তারা বলেন, এটা স্পষ্ট যে, বান্দরবান অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দূর্বলতা রয়েছে, সরকারের কার্যকরি গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষেত্রে রয়েছে বড় ঘাটতি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সভায় নেতৃবৃন্দ আসন্ন স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বৃদ্ধি করে এক লক্ষ ও পঁচাত্তর হাজার টাকা করার সিদ্ধান্তকে চরম খামখেয়ালী ও স্বেচ্ছাচারীতা হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন কালো টাকার মালিক ও দূর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধা দেয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সৎ জনবান্ধব নেতা কর্মীদের পক্ষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। তারা বলেন, একদিকে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বসে পড়েছে তখন উপজেলা নির্বাচনে ১০ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান