সদরঘাটে ৫ প্রাণহানি: গ্রেফতার ৫ জন তিন দিনের রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক

১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম

সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার ও ম্যানেজার, বাকি দুজন এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের মাস্টার।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ আসামিকে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নকীব অয়জুল হক। শুনানি শেষে বিচারক আরিফা চৌধুরী হিমেল রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, গ্রেফতার পাঁচজনকে আজ (শুক্রবার) দুপুর ১টার দিকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। শুনানি নিয়ে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ঈদুল ফিতরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দিন পন্টুনে নোঙর করা ছিল এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি টিপু-১৩। এ সময় এমভি ফারহান-৬ নোঙর করতে গিয়ে এমভি টিপুকে ধাক্কা দেয়। এরই জেরে ধাক্কা লাগে এমভি তাসরিফে। এতে তাসরিফের দড়ি ছিঁড়ে প্রবল বেগে আঘাত করে পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচজনকে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ দুর্ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই লঞ্চের পাঁচজনকে আটক করে নৌ পুলিশ। তারা হলেন- এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খাঁন (৭৬)।

পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ওই পাঁচজনকেই আসামি করা হয়। মামলায় অবহেলাজনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

বিভাগ : মহানগর