শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে আন্দোলনের হুমকি, যা বলছেন নেটিজেনরা
০৪ মে ২০২৪, ০৯:৩২ এএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৩২ এএম
আজ (৪ মে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্তে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতারা। ছুটি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সমিতির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এক ধরনের টালবাহানা চলছে, যা হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, যথারীতি আজ শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের। যদিও পরে কয়েকটি জেলায় মাধ্যমিকে ক্লাস বন্ধ থাকার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
শনিবার ক্লাস চালুর বিষয়ে শিক্ষকরা বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও এমন হয়েছে। এ কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তারা আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত ছাড়া কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠ-সংশ্লিষ্ট ‘বাড়ির কাজ’ সম্পন্ন করতে পারেন।
নেতারা অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখা এবং বিগত দিনের কেড়ে নেওয়া নির্ধারিত ছুটিগুলো সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। বেশিরভাগ নেটিজেনরা শিক্ষকদের সমালোচনা করেছেন। অনেকেই বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দরকার নাই। প্রতি মাসে তাদের একাউন্টে বেতন ডুকে গেলেই চলবে।
সেলিম আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, রমজানে ক্লাস করতে সমস্যা। শনিবারও সমস্যা। তাহলে ক্লাস করবে কোনদিন?
সাখাওয়াত হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, সপ্তাহে দুইদিন ছুটির পরিবর্তে একদিন বন্ধ করে শিক্ষার মানকে গতিশীল করা হোক। শিক্ষার মান এত খারাপ যে এশিয়ার ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের একটিও নেই। লজ্জা করে না নির্লজ্জের মতো আন্দোলন করতে। শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য কিছু করতে পারেন না।
মাহফুজুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, অবশ্যই শনিবার স্কুল খোলা রাখা হোক। এত বন্ধ থাকলে পড়াশোনা হবে কখন। শিক্ষকরা এই বন্ধের সুযোগ নিয়ে নিজেদের কোচিং আর প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে এখন।
আরিফ ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, বসে বসে মাস্টারদের টাকা দেওয়া হোক। পরিশ্রম ছাড়াই শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হোক। প্রতিদিন স্কুল বন্ধ রাখা হোক, এটিই চায় তারা।
হাবিবুর নামে একজন লিখেছেন, আজীবন স্কুল কলেজ বন্ধ করে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হোক। শিক্ষক আমাদের শিক্ষাগুরু, কিন্তু বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে বেশিরভাগ হলো নকলগুরু। যার কারণে এখন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চায়।
তবে, হাতে গোনা দুয়েকজন শনিবার বন্ধ চায় তারা। তারা বলেছেন, এদিন তারা পারিবারিক সাপ্তাহিক কাজ করতে পারে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গৌরনদীতে দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে শিশু খুনের ঘটনায় ২ নারীসহ গ্রেফতার ৪
কম্বোডিয়ার পরিবর্তে অনৈতিক কাজে সউদী পাঠানোর প্রস্তাব পাসপোর্ট আটকে রেখে টাকা দাবি
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় আবু সাঈদকে নিয়ে প্রশ্ন
কুষ্টিয়ায় দুষ্কৃতকারীদের হুমকিতে গড়াই খননকাজ বন্ধ,থানায় অভিযোগ
কাপ্তাই জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়ন সিবিএ কর্তৃক শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ
মুক্তা বাতাসে বাবরের জুমার নামাজ আদায়
তারুণ্যের উৎসবে আনন্দের ঢেউ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ
বিরলে ৫ দিন ব্যাপি চতুর্থ উপজেলা কাব ক্যাম্পুরীর শুভ উদ্বোধন
আটঘরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট
আ.লীগকে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মত নিষিদ্ধ করতে হবে: রাশেদ খাঁন
কুমিল্লা নগর আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার গ্রেফতার
ঝিনাইদহে ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু
সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিহত ১ আহত ১০
চকরিয়াতে পৃথক ঘটনায় ৩ জন নিহত, আহত ৫
কালীগঞ্জে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুনামেন্ট উদ্বোধন
ঈশ্বরগঞ্জে সার ও ভাউচারের গড়মিলে ২ ডিলারকে জরিমানা
বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা আলেমদের হাতেই নিরাপদ: এ এম এম বাহাউদ্দীন
দ্রুত নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব: রেজাউল করিম
মসজিদের ইমাম নিয়োগেও করতে হচ্ছে মানববন্ধন, ১৮ বছরেও হয়নি নিয়োগ