২৫ দিনেও ধরতে পারেনি সেই ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার
১৪ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুনের ঘটনায় দুই নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ২৫ দিন পার হলেও এখনো অভিযুক্ত ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও মেম্বার অজিত বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর এদের ধরতে পুরস্কারও ঘোষনা করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারনে দীর্ঘ ২৫ দিনেও জড়িত প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
মধুখালী থানার ওসি মিরাজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে মামলাগুলো হওয়ায় তখন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সন্দেহের তালিকায় ছিলেন না। পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখে ইউপি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। আসাদুজ্জামান অত্যন্ত চতুর ব্যক্তি। তা ছাড়া ওই এলাকা মোবাইল প্রতারণার জন্য বিখ্যাত, সে কারণে তিনি মোবাইল টেকনোলজির ক্ষেত্রে দক্ষ। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুই জনপ্রতিনিধি আগুন লাগানোর জন্য শ্রমিকদের দায়ী করে স্বীকারোক্তি আদায় করতে কিল-ঘুষি ও চড়থাপ্পড় মারেন। শাহ আসাদুজ্জামান ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১২ সালে প্রথমবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হন। ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খোরশেদ আলমকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পুনরায় ইউপি চেয়ারম্যান হন। শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনার তিনটি ভিডিও ক্লিপ গত ২৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবং হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সফলতার মুখ আমরা দেখতে পারিনি। আমাদের বিশ্বাস, তিনি দেশেই আছেন। তার কোনো পাসপোর্ট নেই। তা ছাড়া তিনি আত্মগোপন অবস্থায় কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করছেন না। আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের জন্য দেশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
২০২৩ সালে দুই দফা ইউএনওর ওপর হামলার মামলা ও টিসিবির কার্ড আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত হন ডুমাইন ইউপির চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান। তবে দুবারই তিনি উচ্চ আদালতের মাধ্যমে পদ ফিরে পান। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল। এসব মামলার কোনোটিরই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়নি পুলিশ।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে পঞ্চপল্লী মন্দিরের প্রতিমার শাড়িতে আগুন দেওয়া এবং সন্দেহের বশে পাশের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক নির্মাণে নিয়োজিত চার নির্মাণশ্রমিককে একটি কক্ষে আটকে পিটুনি দেওয়া হলে আশরাফুল ও আসাদুল নামের দুই সহোদর মারা যান। নির্মাণশ্রমিকদের পিটুনিতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান, সদস্য অজিত বিশ্বাস ও অমৃত কুমার বসু নামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পায় তদন্ত কমিটি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক শংকর বালা। প্রথম দুটি মামলায় সব অজ্ঞাত আসামি হলেও পুলিশের মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানের নাম নেই।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান