রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন সাইদুর রহমান সজল

অনলাইন ডেস্ক

১৪ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি কালচারাল ইউনিভার্সিটি রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যলয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন নির্মাতা সাইদুর রহমান সজল। বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানীর উত্তরা ১২নং সেক্টরের শাহ্ মখদুম এভিনিউতে অবস্থিত। ২০১৬ সালে স্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ১৪ জন।

জানা যায়, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ২০২০ সালের ১৭ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি প্রিয়াঙ্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সজল। তার নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্রে মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকা- ও ভিশন-মিশন তুলে ধরেছেন। এছাড়াও তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গতিশীলতা সৃষ্টিতে এবং জনমনে দেশপ্রেম ও সমাজকল্যাণের চেতনা উজ্জীবিত করতে বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

জানা যায়, সাইদুর রহমান সজল দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

নির্মাতা সাইদুর রহমান সজল ১৫ মিনিট ব্যাপ্তির একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম “জীবন থেকে পাওয়া”। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রেম, মমতায় মানুষ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সমাজ সংসার জীবনে ভালোবাসাহীন মানুষ বাঁচতে পারে না। প্রেমের কাছে মৃত্যুও তুচ্ছ। এ জগত সংসারে কোন কিছু জোর করে হয় না। ভালোবাসা প্রেম দিয়েই জয় করতে হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা কখনো কখনো বুঝতে পারিনা তাই সময়ের প্রয়োজনে কিংবা ইচ্ছা-অনিচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতায় আত্মার চাওয়া-পাওয়াকে দূরে ঠেলে দিয়ে স্বার্থের প্রয়োজনটাকে আমরা বেশী গুরুত্ব দেই। একাধিক সুত্রে জানা যায়, যখনই দেশে কোন সংকটময় দুর্যোগ আসে মেধা মনন দুহাতে সেবায় ঝাপিয়ে পরেন তিনি অনিমেষে। তিনি বলেন, "যদি ডাক শুনে কেউ না আসে আমি চলি একলা" মানুষের জন্য মানুষ রবো এ আমার পথচলা"। লোক মুখে জানা যায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সাইদুর রহমান সজল সব সময় গণমানুষের মুক্তির পথ খুঁজে ফিরেন এটা নাকি ওনার স্বভাবজাত প্রভৃতি। তার লেখনিতে বরাবরই উঠে আসে সন্ত্রাস দুর্নীতির কথা, সন্ত্রাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সব সময়ই ছিলেন প্রতিবাদী একজন মানুষ। সন্ত্রাসের শেকর চিহ্নিতকরণে তরুণ সমাজের মানসিকতা সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে তিনি নির্মাণ করেন "আগুন ট্রেন" নামে একটি ছবি। এসময় তিনি আরো বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চাহীন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজে একটা ক্রান্তিকাল ছিল।ঠিক সেই সময় মানবিক মূল্যবোধের অক্ষয় ছড়িয়ে পড়ে আমাদের সামাজিক জীবনে, কিছু মানুষ স্বার্থপরতায় অন্ধ হয়ে যায়। ঘুষ দুর্নীতিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল দিয়ে বেশী মুনাফার লোভি মানসিকতার সৃষ্টি হয়।দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে তিনি রাজনীতিবীদ ও ব্যবসায়ী সমাজকে আহ্বান জানান।

জানা যায়,অনাকাঙ্ক্ষিত এক দূর্যোগ করণা মহামারী যখন গ্রাস করেছিল বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনচলা, তখন ও তিনি প্রাণঘাতি ভাইরাস প্রতিরোধে সোচ্চার এবং জাগ্রত ছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ছোট বেলা থেকে সাইদুর রহমান সজল হৃদয় উজার করে সব সময় পিতা /মাতার সেবা করতেন। এছাড়াও তিনি তার প্রিয়তমা অসুস্থ স্ত্রীকে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত দেশ বিদেশে চিকিৎসাসহ বিরামহীন সেবা দিয়ে সুস্থ করে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসার এমন উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল।

রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যান নির্মাতা সাইদুর রহমান সজল, সাদা মনের এই মানুষটি মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বৃহত্তর উত্তরাসহ সারাদেশে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে জনমনে স্থান করে নিয়েছেন।

বিভাগ : মহানগর