ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞায় খুশি না হয়ে নিজেদের শক্তিতেই সরকারকে সরাতে হবে: মির্জা ফখরুল

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২১ মে ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম | আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম

 

 

 

বিদেশী নিষেধাজ্ঞার খবরে খুশি না হয়ে নিজেদের শক্তিতেই সরকার সরাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ে আমরা হাজার বার বলছি, গোটা দুনিয়া বলছে যে, বর্তমান শাসকগোষ্ঠি আকুন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে আছে। তারা (সরকার) অস্বীকার করে যে তারা দুর্নীতি করে না। এখন দেখেন, খবর এসেছেন যে, সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেনো? দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করা এবং জনগণের বিশ্বাস ক্ষুন্ন করায়। এতে অনেকেই খুশি হবেন, আজিজের (সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ) নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আমি মনে করি এটা আরেকটা বিভ্রান্ত করা। এরকম বিভ্রান্ত হচ্ছি আমরা সবসময়, যখন র‌্যাবের বিরুদ্ধে হয়েছে, পুলিশের নয় জন কর্মকর্তা যারা র‌্যাবে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা হয়েছিলো। এতে করে কি তাদের (সরকার) সেই ভয়ংকর যাত্রা বন্ধ হয়েছে? বন্ধ হয়নি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে এই আলোচনা সভায়র আয়োজন করা হয়।

এতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজের শক্তি নিয়েই এদেরকে পরাজিত করতে হবে। আমার নিজের ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, অন্য কেউ ঘর সামলিয়ে দেবে না।

সরকার যে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে তার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছেন, ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন সেনাবাহিনীকে, বিচার বিভাগকে, প্রশাসনকে এবং আজকে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন, ভয়ের রাজত্ব তৈরি করেছেন। আজকে গণমাধ্যম মন খুলে, প্রাণ খুলে রিপোর্ট লেখতে পারেন না, প্রতিটি শব্দ লেখতে চিন্তা করতে হয় এরজন্য জেলে যেতে হবে কিনা? এরজন্য মামলা খেতে হবে কিনা? এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা। এজন্য জনগণকে আরো ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নেমে সোচ্চার হতে হবে। রাস্তায় নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, আমরা অন্য কোনো পথ চিনি না। আমাদেরকে প্রকাশ্যে সামনে এসেই লড়াইটা করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় ভুল ব্যাখ্যা করা হয় যে আমরা নাকি উখাত করতে চাই। আমরা উখাতের কথা বলিনি, উখাত করতে যাবো কেনো? আমরা ভোটের অধিকার চাই, ভোটের মধ্য দিয়ে তোমাদেরকে পরাজিত করব। সেই ভোটের অধিকার অর্জন করার জন্য আমাদের সবাইকে আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমি একটা নিউজ দেখছিলাম আল-জাজিরাতে । মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম ১৫ বছর আগে মালয়েশিয়ার মাহাথীর মোহাম্মদের সরকারে উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাহাথীর মোহাম্মদের সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে তিনি ছেড়েই দিলেন। তারপরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-টামলা আরোপ করে তাকে একেবারে কারাগারে পাঠিয়ে দিলেন। দীর্ঘকাল তিনি কারাগারে ছিলেন। তখন থেকেই তিনি কাজ শুরু করেছেন, তিনি তার স্ত্রী, তার কন্যা নতুন পার্টি তৈরি করেছিলেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে তিনি আজকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। অর্থ্যাৎ জনগণের আস্থাটা পুরোপুরি অর্জন করেছেন। এই যে ধৈর্য্য, শুধু একটা আবেগের মধ্যে না গিয়ে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে এগুনো, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

মালয়েশিয়ার আনোয়ার ইব্রাহিমের উদাহরণ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন আমরা না চাইলে কোনো কিছু দেবে না আমাদের। অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ আরও হতে হবে, আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনে জোট করেছি, বিভিন্ন জোট, আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা সকল রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলেছি, একই সঙ্গে কাজ করেছি। আন্দোলনের প্রক্রিয়া বলতে কি? এই জোট আরও শক্তিশালী হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তিটাকে পরাজিত করে গণতান্ত্রিক শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করব এই বিশ্বাস আমাদের আছে।

দেশে কোন নির্বাচন নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যখন সরকার যখন বলে তারা গণতন্ত্রকে সুসংহত করছে, গণতন্ত্রকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিচ্ছে। তখন বিএনপি সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কি বলব? মানুষ কি সব আহম্মক হয়ে গেছে? আপনারা প্রথম দিকে যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করেছেন, সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আপনারা পার্লামেন্টারি গভমেন্ট থেকে সরে গিয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অব গভমেন্ট করেছিলেন, আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন এটা ছিলো আপনাদের উদ্দেশ্য। আজকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে বাকশালী শাসন চালু করতে তারা বহুদূর এগিয়ে গেছেন। এবারে করেছেন তারা সুকৌশলে। যেটা গণতন্ত্রের লেবাস, ছদ্মবেশি আল-খেল্লায়, এই নিয়ে তারা নির্বাচন করে। বলছে যে, আমরা তো নির্বাচন করছি, বিরোধী দল নির্বাচনে না আসলে আমরা কি করব? এমন নির্বাচন করছে যে, যে নির্বাচনে দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই অংশগ্রহন করতে চায় না। ৬৩টা নির্বাচন বর্জন, একটা দলকে তারা কোনো রকমে রেখেছে ভাগ-বাটোয়ারা দিয়ে আসনবন্টন করে তাদেরকে রেখেছে। তারাও বলেছে তখনও বলেছে, এখনো বলছে, দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। জিএম কাদের সাহেব আগেই বলেছেন, এখানে নির্বাচন হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ যা চাইবে সেটাই হবে।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন চাই। আমরা চাই, মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার যে ক্ষমতা সেটা তারা প্রয়োগ করতে পারুক আর এটাতে যাকে তারা ক্ষমতায় নিয়ে যাবে আমরা মেনে নেবো।

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগের এতো ভয় কেনো প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের ভয় এজন্যে যে তারা গত ১৫/১৬ বছরে যে অপকর্মগুলো করেছে, সেই অপকর্মগুলো সারা দেশে তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও তাদের সমর্থন খুঁজে পাবে না। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তারা নিজেরা নিজেরা কিভাবে লড়াই করছে, কিভাবে ভোট নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভোটের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করছে? তারপরও ভোট কেন্দ্রে ভোটার আসছে না। এই নির্বাচনে মানুষ অংশ নিচ্ছে না। কারণ তারা বুঝে গেছে যে, এই নির্বাচনে তো কোনো লাভ নেই, কোনো প্রতিযোগিতা নেই, কোনো পরিবর্তন আসবে না, বরং এই নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠি ক্ষমতাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করবে। সেই নির্বাচনে গিয়ে কি লাভ?”

২০১৭ সালের ২১ মে শফিউল আলম প্রধান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার প্রতিষ্ঠিত জাগপার দুই অংশ আলাদা আলাদাভাবে স্মরণ সভা করে। জাতীয় প্রেসক্লাবে শফিউল আলম প্রধানের ছেলে রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরীসহ উলামা দল, কৃষক দল, জাগপার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় চায় না: ইসলামী আন্দোলন
কুতুবউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল হিসেবে সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছেন
বাম চোখের পরিবর্তে ডান চোখে অপারেশন, চিকিৎসক গ্রেফতার
গুলশান থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত ছেলে’ গ্রেফতার
বায়ুদূষণে আজ সবার শীর্ষে ঢাকা
আরও

আরও পড়ুন

ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন

ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন

গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা

ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা

‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’

‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’

অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ

অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ

জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম

জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম

মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ

মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ

গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম

গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম

মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী

মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী

নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?

যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস

যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস

মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক

বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক

প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম

প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম

অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন

অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন

ময়মনসিংহে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত

পাঠ্যবইয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ভুল তারিখ সংশোধন, জড়িতদের শোকজ

পাঠ্যবইয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ভুল তারিখ সংশোধন, জড়িতদের শোকজ

টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা

স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে: আশরাফুল

স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে: আশরাফুল