ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার রুম থেকে রিভলবার উদ্ধার
১৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০১ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০১ পিএম
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় ৬ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগমুক্ত করলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল ইসলামের রুম থেকে একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের ৪৪০ নং রুম থেকে এই অস্ত্র পাওয়া যায়। তার রুম ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা এটা উদ্ধার করেন। শামীম ছাড়াও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের রুম থেকেও একটি রিভলবার উদ্ধারের গুঞ্জন শোনা যায়। তবে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুটি নয়, বরং ১টি পিস্তল পাওয়ার কথা স্বীকার করে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড.জাকির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ১টি পিস্তল আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যেটা হলের ৪৪০ নং রুম থেকে পাওয়া গেছে। তবে ওই রুমটিতে কে বা কারা থাকতো তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না; রেকর্ড দেখে বলতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দিনভর সংঘর্ষের পর দিবাগত রাতেই উত্তেজনা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ৫টি হলে। গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ৫টি হল থেকে ছাত্রলীগ নেত্রীদের বের করে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের চাপে পড়ে হল অফিসের এক প্যাডে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে হল প্রভোস্ট।
পরে আজ বুধবার ভোর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদের হলগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদদীন হলে ছাত্রলীগ নেতাদের রুমে ভাঙচুর করে তাদের হল ছাড়া করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতও ভয়ে পালায়। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলেও নেতাদের রুম ভাঙচুর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজয় একাত্তর হল ও বঙ্গবন্ধু হলও দখলে নেয় শিক্ষার্থীরা। মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলও ভোর থেকে শিক্ষার্থীদের দখলে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে রাতেই হল ছাড়া হয় ছাত্রলীগ। যারা লুকিয়ে ছিল তারাও ভোর হতেই হল ছেড়ে দেয়।
দু'একটা হলে তেমন উত্তেজনা না দেখা গেলেও সকাল পর্যন্ত প্রায় সকল হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করছে। ছাত্রলীগ নেতাদের বাইক পোড়াচ্ছে। রুমের আসবাবপত্র সব হল থেকে বের করে দিয়েছে।
হলে হলে ছাত্রলীগ বিতাড়নের ঘটনার সূত্রপাত ঘটে মঙ্গলবার রাতে নারী শিক্ষার্থীদের হল রোকেয়া হল থেকে। এই হলের ৯জন নেত্রীকে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়া করে রাজনীতি মুক্ত হল ঘোষণা করে। প্রভোস্টের সাইনসহ হল অফিস থেকে অফিশিয়ালি এই ঘোষণা দিতে বাধ্য করে শিক্ষার্থীরা। ঘটনার ধারাবাহিকতায় রাতেই মেয়েদের অন্য ৪টি হলেও ছাত্রলীগ নেতাদের বের করে রাজনীতি মুক্ত হল ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। ভোর থেকে শুরু হয় ছাত্রদের হল থেকে ছাত্রলীগ তাড়ানোর অভিযান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল শিক্ষার্থীদের দখলে রয়েছে। ভোর থেকেই অনেক ছাত্রলীগ নেতাকে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পালাতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে যে আনন্দ দেখা যাচ্ছে তা যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার আনন্দ।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের বহিষ্কার দাবি
খালেদা জিয়া অনেকটা ভালো আছেন : মির্জা ফখরুল
সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাভাবিক বিকাশ হবেনা- কমিশন প্রধান
সিংগাইরে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালি আছে, বাগান নেই
পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
নতুন খেলোয়াড় চান গুয়ার্দিওলা
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, জব্দ ১৬ সম্পদ
সিলেটসহ দেশের পাথর ও বালু মহাল নিয়ে সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত
দৌলতপুরে নগদের মার্কেটিং অফিসারকে কুপিয়ে জখম
গোলের সুযোগ নষ্ট, হাভার্টজের পরিবারকে হত্যার হুমকি
ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্লট দুর্নীতি : শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
নেছারাবাদে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষন গ্রেফতার-৩
পিরোজপুরে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী পরিষদের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
হামাসের নতুন নেতা কে এই মোহাম্মদ সিনওয়ার?
জম্মু- কাশ্মীরে ভয়াবহ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা
নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী উপজলায় জন সচেতনতামূলক সভা ও গণসংযাগ
দুমকিতে নিষিদ্ধ পলিথিনসহ আটক ১
দাবানলে সব ঘরবাড়ি পুড়লেও অলৌকিকভাবে অক্ষত একটি বাড়ি!