হত্যার বিচার এবং শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধের দাবি নর্থসাউথের শিক্ষকদের
৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার এবং শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে মানববন্ধন করেন তারা।
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে চলমান আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এই কর্মসূচি আয়োজন করেন। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের সব বিভাগের প্রায় ৫০ জন শিক্ষক অংশ নেন। তাদের হাতে নিরস্ত্র ছাত্র হত্যার বিচার চাই, দমন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, নিরস্ত্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, মানসিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে ও শিক্ষার্থীদের পাশে শিক্ষক লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, আমরা আজ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য দাঁড়িয়েছি। তারা আহত হচ্ছে, গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা জানাতে চাই, আমরা তাদের পাশে আছি, আমরাও তাদের অভিভাবক। আমাদের ওপর শিক্ষার্থীরা ভরসা করে। তাদের প্রয়োজনের সময় পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। কারফিউ চলুক বা না চলুক, ছাত্রদের পথে ঘাটে ধরা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ ও হয়রানি করা হচ্ছে। এরকম ভয়ভীতি দেখানো চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। আমরা এসবের অবসান চাই।
ইংরেজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মুশাররাত শর্মি হোসেন বলেন, আমরা একটি নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের নিশ্চয়তা চাই, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা নির্বিঘ্নে অ্যাকাডেমিক কাজ করতে পারে। ক্যাম্পাসের সামনে থেকে প্রিজনভ্যানে করে যদি শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে কীভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার সাহস পাবে?
আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাকিব রহমান বলেছেন, আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের একটি সাংবিধানিক অধিকার এবং এই অধিকার আদায়ে রাষ্ট্র বাধা দিতে পারে না।
স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, একজন শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব শুধু ক্লাসরুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, শুধু তাকে চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা না। বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিক বিবেচনাবোধসম্পন্ন একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও বটে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে, তাদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যাখ্যা
বিতর্কিত চিন্ময় কাণ্ড: আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন ৬৩ আইনজীবী
শরীয়তপুরে ১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি আদালত ভবন
শুভেন্দুর হুঙ্কার : ‘বাংলাদেশকে জবাব দিতে পাঁচ-সাতটি ড্রোনই যথেষ্ট’
ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন বঞ্চিত বিধবার
মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে ভারতীয় রুপির সর্বনিম্ন রেকর্ড
দোয়ারাবাজারে অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ!
তালেবান শাসনকে বৈধতা না দেওয়ার আহ্বান নোবেলজয়ী মালালার
ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের
ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড লঞ্চ
ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধিত করা সম্ভব
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না : হাইকোর্ট
বিদ্যুৎ প্লান্টের পাঁচ লাখ টাকার লোহা তামা স্টিল সামগ্রী চুরির দায়ে ৫০ জনের নামে মামলা
নেত্রকোনা গত ১ বছরে ২৩২টি অস্বাভাবিক মৃত্যু
মেহেরপুর শহরে অবৈধ গাড়ির দৌরাত্ম ফুটপথ দখল, সরু সড়ক, যানজট লেগেই থাকে
অ্যাপলের ডাইভার্সিটি নীতি , বৈচিত্র্য রক্ষার লড়াইয়ে বোর্ডের বার্তা
ঢাবি,ভিকি,এনএসইউ ওয়েটিং লিস্টে থাকে,বান্নাহ খাওয়া মাল খায় না'
দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা কর্নেল অলির
আশুলিয়া থানা জমিয়তের কমিটি গঠন
বাংলাদেশের সীমান্তে ১৬০ জায়গায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী