জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ারের বাড়িতে বিএনপি নেতা মাজেদ বাবু

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা

১১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থ যোগানদাতার অভিযোগ এনে গত ৩০ জুলাই ঢাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) বিএনপির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ২৫ জনের একটি দল গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পাঁচদিন তাকে গুম করে রাখা হয় আয়না ঘরে। সেখানে রেখে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে ৫ আগস্ট সকালে নাশকতার মামলায় তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। মুক্তির পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বুধবার দুপুরে নিজ এলাকা ঈশ্বরগঞ্জে আসেন তিনি। এসময় কোটা আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ারের বাড়িতে যান। করেন শহীদ শাহরিয়ারের কবর জিয়ারত। খোঁজ খবর নেন তার পরিবারের। পাশে থাকার আশ্বাস দেন ওই নেতা।

উল্লেখ্য - নিহত শাহরিয়ার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়াশাসন গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। শাহরিয়ার এস এস সিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এবার সে ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষার্থী ছিলো। পরীক্ষা বন্ধ থাকায় গত ১০জুলাই মা মমতাজ বেগমের কথায় বাড়ি থেকে ঢাকার কুড়িল এলাকার বাসায় গিয়েছিলো শাহরিয়ার। পরে সেখান থেকে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর খালার বাসায় যায়। ১৮ জুলাই দুপুরে খালার বাসা থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে শাহরিয়ার। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দুইদিন আইসিইউতে থাকার পর গত ২০ জুলাই দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

বিভাগ : মহানগর