বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, খুনি হাসিনা নিজে ধর্মে বিশ্বাসী ছিল না। এরা আল্লাহর নির্দেশ মানে না। মসজিদে খুৎবা কি হবে তা’লিখে দিতো এরা। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখাকে তারা সহ্য করতে পারেনি। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পুলিশকে জুতা পরিয়ে ঢুকিয়ে মুসল্লিদের পিটিয়েছে। তিনি বলেন, হাসিনা সরকার আল্লামা শাইখুল হাদিসকে (রহ.) কারাগারে বন্দি করে নির্যাতন চালিয়েছে। খুনি হাসিনা দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছিল। রাজনীতিকে কুলষিত করে দেশের বিচার বিভাগ, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি সামাজিক ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুূপের ওপর দাঁড় করিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। আজ রোববার নয়াপল্টনস্থ একটি হোটেলে হাব ওলামা ও হাব সদস্যদের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দে সাথে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস এসব কথা বলেন।
হাব ওলামা সংগঠনের নেতা মাওলানা হাবিবুল্লাহ মো. কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা জুনাইদ গুলজারের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব কারানির্যাতিত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেব বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, জামাতে ইসলামির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ডা.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপি মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি বাদেলুর রহমান খান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা শামীম সাঈদী, বায়রার সাবেক শীর্ষ নেতা কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল, হাবের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হাবের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, হাবের সাবেক সহসভাপতি ফরিদ আহমদ মজুমদার, মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী ও আক্তারুজ্জামান।
বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ জীবনে একবাইর হজে যেতে গিয়ে অনেক সময় নানাভাবে বঞ্চিত হন। টাকা দিয়েও হজের টিকিট পাওয়া যায় না। তিনি হজ এজেন্সির মালিকদের পরকালের কথা স্মরণ করে আল্লাহর মেহমান হাজীদের সেবা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বারোপ করেন। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব কারানির্যাতিত নেতা মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মজলুমের আর্তনাদে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে বিজয় এসেছে। বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। আপনি দায়িত্বের ক্ষেত্রে জুলুম অবিচারের অপরাধে অভিযুক্ত হলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। কাজের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের জুলুম নির্যাতন কত প্রকার বলে শেষ করা যাবে না। আমি ডিজিটাল নির্যাতনের শিকার। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যা এবং শাপলা চত্বরের হত্যাকা-ের বিচার করতে হবে। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আল্লাহর মেহমানদের খেদমতে কাউকে ঠকানো যাবে না। হাবকে হাজীদের কল্যাণে মনিটরিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেবার মানুষিকতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, হাবকে প্রশ্ন বিদ্ধ করা যাবে না। যারা হাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী হজ এজেন্সির মালিকবৃন্দ ঃ এদিকে, বৈষম্য বিরোধী হজ এজেন্সির মালিকবৃন্দের উদ্যোগে শনিবার রাতে ফকিরাপুলস্থ একটি হোটেলে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমসহ তার পরিচালিত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করে মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাব সভাপতি হাবের ভোটাধিকার থেকে প্রায় দুইশ হজ এজেন্সির মালিককে বঞ্চিত করেছেন। তিনি বৈধ সভাপতি নন। হাব সদস্যদের শোষণ করা হচ্ছে। ভারতের হজ কোটা সর্বনিন্ম ৫০ জন। তিনি বৈষম্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। গত হজে আড়াইশ কোটা নির্ধারণ করা হয়। বিমান ভাড়া নির্ধারণেও বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমাতে হবে। হাব থেকে শাহাদাত হোসাইন তসলিমকে পদত্যাগ করতে হবে। হাবের সাবেক সহসভাপতি এস এম ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবের সাবেক মহাসচিব এম এ রশিদ শাহ স¤্রাট, বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকে ড আব্দুল্লাহ আল নাসেন, হাবের সাবেক সহসভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, বায়রা সচেতন ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, আটাবের সাবেক নেতা আব্দুল হামিদ, গোলাম মাহমুদ, নাজিম উদ্দিন, ক্বারী গোলাম মোস্তফা,আবু দাউদ। এম এ রশিদ শাহ স¤্রাট বলেন, লেজুর ভিত্তিক দুর্নীতিগ্রস্ত হাব চাই না। হাবের বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত করতে হবে। বর্তমান হাবের কমিটি ব্যর্থ এই কমিটি মানি না।