প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আত্ম-মানবতার সেবায় বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রমি গ্রুপ। এসময়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যতম প্রধান দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর হাতে টিএসসিতে ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দিলেন প্রমি গ্রুপের কয়েকজন ত্রাণ সমন্বয়ক।

বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে সমন্বিত ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মানবিক এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে দেশের নামি দামি শিল্প প্রতিষ্ঠান, গ্রুপ অব কোম্পানি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য সেবা মূলক সংগঠন ছাড়াও দেশের আপামর জনগণ নিজ নিজ উদ্যোগে বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। সাধ্যমতো তারা নগদ টাকা ও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছে।

এসময় বন্যার্তদের মাঝে সুষ্ঠু ভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য গত ৩০ শে আগস্ট প্রমি গ্রুপ তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের শায়েক আহমাদউল্লাহ'র হাতে শুকনো খাবারের প্যাকেট তুলে দেন।
যে কোন দুর্যোগ মূহুর্তে
প্রমি গ্রুপ বন্যার্ত এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি দেশ বিদেশে কোটি কোটি মানুষের হ্রদয় জয় করেছে।

গত কয়েকদিন যাবত এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নোয়াখালী লক্ষীপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে । স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত ১১ টি জেলায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রমি গ্রুপের ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও নোয়াখালী লক্ষীপুরের দুর্গম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিতে নোয়াখালী সেনা-ক্যাম্পে প্রমি গ্রুপের কয়েক হাজার খাবার প্যাকেট উপহার দেওয়া হয়।
জানা যায়,গত ২৯ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে প্রমি গ্রুপের এক-ঝাঁক তরুণ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াখালীর মাইজদি, কবিরহাট,চৌমুহনী, সোনাইমুড়ী, চাটখিল এলাকার কয়েক হাজার মানুষের মাঝে শুকনো খাবার প্যাকেট পৌঁছে দেয়।
প্রমি গ্রুপের ত্রাণ সমন্বয় মেহেদী হাসান তনয় বলেন, কুমিল্লার বুড়িচং-মুরাদনগর সহ বন্যায় প্লাবিত বিভিন্ন থানা এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো শুরু করেছেন তারা। স্থানীয়রা জানান,প্রমি গ্রুপের চেয়ারম্যান একজন উদার মনের মানবিক মানুষ।

যে কোন দুর্যোগে তিনি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান। করণাকালীন সময়ে তিনি উত্তরা এলাকার কয়েক হাজার গরীব অসহায় পরিবারের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, এলাকার স্থানীয় ২শতাধীক ভুমিহীন জনগোষ্ঠীকে তিনি নিজ খরচে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।এলাকার অনেক স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসায় ও এতিমখানা তার অনুদানে চলে। এলাকার কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে খাবার সহযোগিতার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা নগদ অনুদান দেওয়ার কারণে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় "মানবতার ফেরিওয়ালা" হিসেবে তিনি জনমনে স্থান করে নিয়েছেন।
গত বছরও তিনি বন্যায় ভেসে যাওয়া সিলেট ও সুনামগঞ্জ বাসীকে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছেন।
বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ কৃত

এসব প্যাকেটে রয়েছে চিঁড়া মুড়ি,বিস্কুট,চানাচুর জুস,লবণ,নাপা ট্যাবলেট,টেস্টি স্যালাইন,খাবার-পানি, গুড়া দুধ,মোমবাতি, দিয়াশলাই সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ একটানা ছয় বার সিআইপি পদক পেয়েছে প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

উত্তরখানের কৃতি সন্তান মানবতার ফেরিওয়ালা গরীবের বন্ধু নামে পরিচিত মুখ সফল ব্যবসায়ী প্রমি গ্রুপের চেয়ারম্যান এনামুল হাসান খান (সিআইপি) ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একটানা ছয় বার সিআইপি পদক পাওয়ার কারণে উত্তরখানসহ বৃহত্তর উত্তরা এলাকার ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, উত্তরখান মৈয়নারটেক অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। শত শত বেকার যুবক প্রমি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুবাদে এলাকায় বেকারত্ব কমেছে। যার ফলে কমেছে এলাকায় চুরি ছিনতাই ও ডাকাতিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ।
দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রেক্ষিতে গত বছর তিনি মাঝারি শিল্প উৎপাদনে সিআইপি ( শিল্প) ২০২১ সম্মাননা পদক ও পেয়েছেন।
এছাড়াও বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গত ২৭ জুন ২০২১ ইং তারিখ রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯ গ্রহণ করেন তিনি।

রপ্তানি বানিজ্যে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরুপ জাতীয় রপ্তানি গোল্ড ট্রফি ও অর্জন করেন প্রমি গ্রুপের চেয়ারম্যান।
সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রমি এগ্রো ফুডস লিঃ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জাতীয় রপ্তানি গোল্ড ট্রফি (স্বর্ণপদক) পেয়েছেন।
এছাড়াও গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ঢাকা জেলায়" উৎপাদন "খাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর পরিশোধকারী শ্রেষ্ঠ করদাতা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হন প্রমি এগ্রো ফুডস লিঃ। প্রমি গ্রুপের ত্রাণ সমন্বয়ক ইমরান খান মামুন বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে পানি সম্পূর্ণ না সরা পর্যন্ত তাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।