পুলিশের পদোন্নতিতে এখনও বৈষম্য ! সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট সিন্ডিকেটের সাতকাহন ভাইরাল
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম
সেই ২০০৮ সাল থেকে হেডকােয়াটার। একটি বাররের জন্য পদায়ন হয়নি কােথাও। কারন তিনি আওয়ামীলীগ বিরােধী হিসেবে ছিলেন চিহ্নিত। ওই সময়ে মেধাবী অনকে র্উধ্বতন কর্মর্কতা জীবনের মূল্যবান কর্মঘন্টা পার করছেন 'ঢাল নাই, তলােয়ার নাই, নিধিরাম র্সদার'' এর মতাে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রথম থেকে ওএসডি আর ছাড় হয়নি। সেই সাথে ক্যারয়িারে বিভিন্ন ধরনের তকমা'র মালা গেঁথে রেখেছিল পতিত স্বৈরশাসক আ'লীগ সরকার। কলিজা বিদীর্ণ হয়েছে, মনে দু:খের পাহাড় জমছে। কিন্তু কিছুই করার নেই, মনের শান্তনা দু:খ যাদের জীবন গড়া, তাদের আবার দু:খ কি ? কিন্তু অন্ধকার চিরস্থায়ী নয়, তাই নবমুক্তি ঘটলো গণ অভূৎখানে ৫ আগস্ট। শুরু হলো রাষ্ট্র সংস্কারের আওয়াজ। এর মানে অবহেলিতদের দিন ফিরছে, দুর হবে বৈষম্যের মরিচা। এবার অধিকার ফিরে পাওয়ার পালা। ঘটলো তেমনি, কিন্তু পুলিশ সুপার ( সংযুক্ত) মো: আবদুল্লাহ আল মামুনের ক্ষেত্রে ঘটলো ব্যতিক্রম। গত মাসে ৭৩ জনকে এসপি ও এডিশনাল ডিআইজি থেকে ডিআইজি করা হয়েছে। সেই তালিকায় বাদ পড়ে যান তিনি। অথচ এদের মধ্যে অনকে তার ব্যাচমেট ও জুনিয়র। এ অবস্থাকে পুলিশী পদোন্নতিতে বৈষম্যের স্পষ্টতা লক্ষনীয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (অফিসিয়াল গ্রুপ ) এর এম এ এফ ফাহিম একটি পোষ্টে লিখেন, "পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে পোস্টিং নিয়ে পুনরায় সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট ! সেখানে তিনি বলেন, গত সরকারের আমলের মতো আবারও একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হতে চলছে পুলিশের পোষ্টিং। ১৭ তম বিসিএস ব্যাচের সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজি মো: ফারুক হোসেন মুলত নির্ধারণ করছেন কার পোষ্টিং কোথায় হবে। বর্তমান আইজিপি অদৃশ্য কারনে পুরোপুরি তার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন জনাব ফারুকের নিজ জেলা বগুড়ায় এবং তিনি বাইরে প্রচার করে বেড়ান যে, লন্ডনে তার ভালো যোগাযোগ। পদোন্নতির পর তিনি ডিএমপি'র অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে জয়েন করলেও সারাদেশে পুলিশের কার কোথায় পোষ্টিং হবে পদোন্নতি জন্য কার নাম প্রস্তাব করা হবে এবং সবকিছুই মূলত তিনিই করছেন। শোনা যায়, জনাব ফারুকের সাথে যুক্ত হয়েছেন নিয়মিত বিএনপি অফিসে বসেন এমন একজন সাবেক ডিআইজি, হাওয়া ভবনের সাবেক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বকুল, যিনি সে সময়েও পুলিশের পোষ্টিং বাণিজ্যের জন্য খ্যাত ছিলেন এবং বিএনপির আমলের রমনা থানার প্রভাবশালী ওসি মাহবুব (পরবর্তীতে চাকুরীচ্যুত)। এছাড়া ওসি /জেলা এসপি প্রভূতি পদে পোষ্টিং পাওয়ার জন্য অফিসারগণ এই সিন্ডকেটের দ্বারস্থ হচ্ছে। থানার ওসি পোষ্টিংয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের কথাও শোনা যাচ্ছে। আইজিপ-কে এ বিষয়টি জানানো হলো অদৃশ্য কারনে তিনি কর্ণপাত না করে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের কাজে না লাগিয়ে জনাব ফারুকের করা তালিকা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করছেন। এর ফলে চরম দুর্নীতিবাজ ও পতিত স্বৈরাচার সরকারের সহযোগী কোনো কোনো কর্মকর্তা ভালো জায়গায় পোষ্টিং পেয়ে যাচ্ছেন, জেলার এসপি হচ্ছেন। এর ফলে দীর্ঘদিনের বঞ্চিত অপেক্ষাকৃত ভালো কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হচ্ছে। এতে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। ডিএমপির বিভিন্ন পদায়নে ২১ তম বিসিএসসের কর্মকর্তা ডিসি সদর তাহেরুল হক চৌহান বড় ভূমিকা রাখছেন। ডিআইজি ফারুক ও সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ তার সাথে সমন্বয় করেন।" প্রদত্ত এই পোষ্টি দ্রুত ভাইরাল হয়, সেই সাথে পোষ্টি অনেকের নজর কাড়ে ও শংকাও তৈরী হয় পুলিশের পোষ্টি বাণিজ্য কি অর্থের জোরে হচ্ছে না জনপ্রত্যাশা মাথায় রেখে। এদিকে পদোন্নতি বঞ্চিত পুলিশ সুপার মো: আবদুল্লাহ আল মামুন গত ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবের একটি লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন তার পদোন্নতি বঞ্চনার কথা। সেখানে বলেন তিনি ১৫ তম বিসিএসসের একজন কর্মকর্তা। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে অদ্যাবধি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ রিজার্ভ পদে সংযুক্ত তিনি। বিগত সরকার সময় তাকে পদোন্নতি বঞ্চিত করে সামাজিক পারিবারিকও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে তাকে। অথচ গত ১৮ আগস্ট ডিআইজি (গ্রেড-৩) পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম নেই। তিনি গোপনীয় অনুবেদন ফর্ম এবং গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা২০২০ এর ৩.৭ অনুযায়ী রিজার্ভ পদে সংযুক্তকালীন তার গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য না হওয়ায় সেকারেন এসিআর দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান পূর্বক বিসিএস ((পুলিশ) ক্যাডারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) (গ্রেড-৩) পদে পদোন্নতি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন ওই কর্মকর্তা। পদোন্নতি বঞ্চিত এই কর্মকর্তার ব্যাচমেটের একজন বর্তমানে যোগদান করেছেন সিলেট রেঞ্চের ডিআইজি, ও অপরজন এসএমপি কমিশনার হিসেবে। ওই কর্মকর্তা গত ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় সদরের সহকারী পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেব কর্মরত ছিলেন সিলেটে। এছাড়া পদোন্নতি বঞ্চিতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ইমাউল হক পিপিএম। দীর্ঘ একযুগ থেকে পদোন্নতি বঞ্চিত তিনি। সেই পদোন্নতির মুলে ছিল বৈষম্য।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এন্দ্রিকের রেকর্ডের ম্যাচে উজ্জল এমবাপেও,জিতল রিয়াল
দুর্দান্ত জয়ে লিভারপুলের শুভসূচনা
প্রতিপক্ষের জালে অপ্রতিরোধ্য বায়ার্নের ৯ গোল !
ফের ছিটকে গেলেন ফের্মিন লোপেস
মতলবের মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশের অকালঃ জেলেরা ধারদেনা আর ঋণ পরিশোধে হতাশ
উপদেষ্টারা এমন কথা বা কাজ করবেন না যাতে জনগণ হতাশ হয় : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান
এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ সদস্য
নতুন বাংলাদেশ: বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানাই
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সচিব হলেন মো. সাইফুল্লাহ পান্না
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে চায় ইসরাইল
ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নিহত ৪০
ফ্রান্সে ধর্ষণের ঘটনায় হাজারো মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভ
মিজোরামে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে তেল-নিত্যপণ্য, বাড়ছে উদ্বেগ
ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে সরব ইরান, ক্ষুব্ধ মোদি সরকার
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতিশি মারলেনা
ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও ইসরাইলকে বয়কটের আহ্বান এরদোগানের
গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সালেহ ওএসডি