বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করবে ইউজিসি-ইউনেস্কো

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম

 

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্যাতনের শিকার এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি ও ইউনেস্কো। এ বিষয়ে ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। প্রকল্প বাস্তবায়নে শীগ্রই একটি ফেমওয়ার্ক প্রণয়ন এবং চুক্তি স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ এর সঙ্গে ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইউজিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ ইউজিসি ও ইউনেস্কোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। সভায় চার-সদস্যের ইউনেস্কো বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ড. সুজান ভাইজ।

সভায় ড. সুজান ভাইজ বলেন, সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারনে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তাদের এই মুহূর্তে অনেক বেশি সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য অংশীজনের সামাজিক ও মনোদৈহিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি করা হবে। এছাড়া, উদ্বেগ নিরসন, সমস্যা সমাধানের উপায় বের করা, বিশ্লেষণ দক্ষতা ও সফট স্কিলস বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি একটি চমৎকার প্রস্তাব। সময়োপযোগী এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউজিসি পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে। এই প্রকল্প দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের দমন-পীড়নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ইউনেস্কোর প্রস্তাব বাস্তবায়নে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।

প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বহু শিক্ষার্থী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনার জন্য এটি সহায়ক হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

প্রস্তাবিত এ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চাহিদা নিরুপণের মাধ্যমে পরবর্তীতে ১৭৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি সম্প্রসারণ করা হবে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সিংগাইরের তহরা হত্যা মামলা : শিক্ষক লালমুদ্দিনের ব্লাকমেইলের শিকার ছাত্রী আইরিন আক্তার

সিংগাইরের তহরা হত্যা মামলা : শিক্ষক লালমুদ্দিনের ব্লাকমেইলের শিকার ছাত্রী আইরিন আক্তার

১৫ জানুয়ারি বিদায়ী ভাষণ দেবেন জো বাইডেন

১৫ জানুয়ারি বিদায়ী ভাষণ দেবেন জো বাইডেন

’৭১ প্রশ্নে জামায়াতে নতুন আলোচনা, আসতে পারে সিদ্ধান্ত

’৭১ প্রশ্নে জামায়াতে নতুন আলোচনা, আসতে পারে সিদ্ধান্ত

ঘণকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে

ঘণকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়

চীন সফরে রেচেল রিভস , যুক্তরাজ্যের উন্নতির প্রতিশ্রুতি

চীন সফরে রেচেল রিভস , যুক্তরাজ্যের উন্নতির প্রতিশ্রুতি

দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াতের আমির

দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াতের আমির

'মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কী'

'মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কী'

বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়

বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়

তথ্য গোপন মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও নেই কোনও শাস্তি

তথ্য গোপন মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও নেই কোনও শাস্তি

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ

গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত

গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ

ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ

ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা

ইয়েমেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র-বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলা

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১, মানবিক বিপর্যয় চরমে

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত আরও ২১, মানবিক বিপর্যয় চরমে

ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক

ফেনীর মহিপালে এক শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক