আলোচনা সভায় মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ

রাসূল (সা.) বিশ্বজগতের জন্য রহমত স্বরূপ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম


আজ বুধবার বাদ যোহর পল্টনস্থ বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, জগত সমূহের ¯্রষ্টা ও প্রতি পালক আল্লাহ সুসংবাদদাতা রূপে সকল নবী রাসূলকে প্রেরণ করেছেন কেনো না কোনো সম্প্রদায় বা কওমের প্রতি। তাঁরা শুধু তাঁদের কওমের কাছে আল্লাহ’র বাণী পৌঁছে দিয়েছেন যে, “এক আল্লাহ ব্যতীত দ্বিতীয় কোনো উপাস্য নেই অতএব তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করো এবং আল্লাহ’র সঙ্গে কাউকে শরীক করো না”। একমাত্র শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে আল্লাহ প্রেরণ করেছেন জগতবাসীর প্রতি রহমত স্বরূপ করে। এ জন্য তিনি নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায় বা কওমের নবী নন তিনি বিশ্ব নবী। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য সর্বশেষ পথ প্রদর্শক। অমুসলিম মনীষীগণ নবী স্বীকার না করলেও হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বলে স্বীকার করতে কুণ্ঠা বোধ করেন না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পূর্বের নবী রাসূলগণের মতো হযরত মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন ধর্ম প্রচারক নন। সততা, মানবতা ও ভ্রতৃত্বের অস্ত্র দিয়ে তিনি মদিনা বাসীকে প্রথম জয় করেছেন এবং মদিনাকে রাজধানী করে ৬২২ খৃষ্ঠাব্দে বিশ্বে সর্ব প্রথম একটি মুসলিম রাষ্ট্র গঠন করেন। তিনি সেই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি, প্রধান সেনাপতি ও প্রধান বিচারপতি। আইনহীন আরব সমাজে তিনি প্রথম আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার প্রবর্তন করেন যা বিশ^ মুসলিম অনুসরণ করছেন। ৬২৪ খৃষ্টাব্দে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উদ্যোগে ও পরামর্শে মুসলিম, খৃষ্ঠান, ইহুদী পৌত্তলিক, নাস্তিকদের স্ব স্ব নাগরিক অধিকার এবং ধর্ম পালনে অভিন্ন স্বাধীনতা প্রদান করে প্রণীত হয় মদিনা চুক্তি বা সনদ যাতে সকল ধর্মের ও মতের মদিনার নেতৃবৃন্দ সন্তুষ্টি চিত্তে স্বাক্ষর করেন। সুশাসন, গনতন্ত্র, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার ইত্যাদির মতো নীতি ও আদর্শকে সমুন্নত করে প্রণীত মদিনা সনদ বিশে^র প্রথম লিখিত রাষ্ট্রীয় সংবিধান বলে অভিহিত।

মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক ও মুক্তিদাতা হযরত মুহাম্মদ (সা.) একক হাতে পরস্পর যুদ্ধ বিগ্রহ ও রক্তপাতে পরস্পরা লিপ্ত থাকা আরব ভূখন্ডের শত শত দুধর্ষ যাযাবর বেদুঈন গোত্র গুলোকে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ করে তাদেরকে একটি সভ্য জাতিতে পরিণত করেছেন যারা পরবর্তী চার দশকের মধ্যে রোমান সা¤্রাজ্যের চেয়ে আয়তনে বড় মুসলিম সা¤্রজ্য গড়ে তুলেন যা বিশ^ ইতিহাসের এক বিস্ময়কর ঘটনা। পার্টি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটি সদস্য আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহা সচিব আকবর হোসেন পাঠান, সাংগঠনিক সম্পদাক হান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গণি, আব্দুল আলিম, ছাত্র নেতা মো. নূর এ আলম ও মো. আবু কায়সার।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মানুষ আমি দেবতা নই, আমারও ভুল হয়: নরেন্দ্র মোদি

মানুষ আমি দেবতা নই, আমারও ভুল হয়: নরেন্দ্র মোদি

হাসিনার স্বৈরাচারী কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন করায় অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি দেন টিউলিপ

হাসিনার স্বৈরাচারী কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন করায় অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি দেন টিউলিপ

শূন্যরেখায় বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

শূন্যরেখায় বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

বাংলাদেশের ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা পরদিনের সংবাদপত্রে যেভাবে এসেছিলো

বাংলাদেশের ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা পরদিনের সংবাদপত্রে যেভাবে এসেছিলো

সিংগাইরের তহরা হত্যা মামলা : শিক্ষক লালমুদ্দিনের ব্লাকমেইলের শিকার ছাত্রী আইরিন আক্তার

সিংগাইরের তহরা হত্যা মামলা : শিক্ষক লালমুদ্দিনের ব্লাকমেইলের শিকার ছাত্রী আইরিন আক্তার

১৫ জানুয়ারি বিদায়ী ভাষণ দেবেন জো বাইডেন

১৫ জানুয়ারি বিদায়ী ভাষণ দেবেন জো বাইডেন

’৭১ প্রশ্নে জামায়াতে নতুন আলোচনা, আসতে পারে সিদ্ধান্ত

’৭১ প্রশ্নে জামায়াতে নতুন আলোচনা, আসতে পারে সিদ্ধান্ত

ঘণকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে

ঘণকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়

চীন সফরে রেচেল রিভস , যুক্তরাজ্যের উন্নতির প্রতিশ্রুতি

চীন সফরে রেচেল রিভস , যুক্তরাজ্যের উন্নতির প্রতিশ্রুতি

দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াতের আমির

দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াতের আমির

'মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কী'

'মুরুব্বী মুরুব্বী কামডা করল কী'

বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়

বায়ুদূষণের শীর্ষে কলকাতা, ঢাকা দ্বিতীয়

তথ্য গোপন মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও নেই কোনও শাস্তি

তথ্য গোপন মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও নেই কোনও শাস্তি

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী কারেন বিদ্রোহীরা, প্রশাসন গঠনে চ্যালেঞ্জ

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে নিহতের সংখ্যা ১১, সংকট আরও বাড়ছে

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২, একাধিক নিখোঁজ

গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত

গাজায় টেলিকম সেবা বন্ধের আশঙ্কা , জ্বালানি সংকটে জরুরি সেবা বিপর্যস্ত

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সিরিয়ায় আসাদ অনুগত কর্মকর্তার জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর