মাহমুদুর রহমানের জামিন ইস্যুতে দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
দেশপ্রেমিক কলম সৈনিক সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমানের জামিন ইস্যুতে আইন উপদেষ্টার দ্বিমুখী নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোয় সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন।
মাহমুদুর রহমান জামিন না পাওয়ায় আইন উপদেষ্টার দ্বিমুখী নীতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকে। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে অসংখ্য মানুষ জামিন এবং মামলা থেকে মুক্ত হলেও মাহমুদুর রহমানের মত একজন গুণী ব্যক্তি কেন জামিন পেলেন না?- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্ব মহলে।
যদিও আজ সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার একই মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আগে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
গতকাল রোববার একই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
হয়রানিমূলক মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাজা হয়। আজ সাংবাদিক শফিক রেহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে তিনি সাজা পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত মাসে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পান প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন ১৪ আগস্ট এ আদেশ দেন। অব্যাহতি পাওয়ার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।
এদিকে, দেশপ্রেমিক সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান আদালতকে সম্মান করে হাজিরা দেয়ার পরও তাকে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশে মাহমুদুর রহমানের মতো ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একজন অগ্রণী সেনাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। নিকৃষ্ট এই মামলায় তাঁকে নিঃশর্ত খালাস দিয়ে অতি দ্রুত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশপ্রেমিক জনতা।
ফেসবুকে মুহাম্মাদ রিহাদ লিখেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার মেনে নিতে পারছি না৷ আজ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী বলে আন্দোলনের ক্রেডিট নিচ্ছে, মাহমুদুর রহমানের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তারা তখন শিশু ছিলো৷সেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বীজ রোপনকারীর তারই আন্দোলনের ফসল এই সরকারের সময় গ্রেফতার হওয়া দেশ ও জনগণের জন্য লজ্জার৷
মোঃ গালিব লিখেছেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একসাথে তিনটা পাওয়ারফুল মিনিস্ট্রি নিয়ে বসে আছেন কি কাজ করেন সারাদিন ব্যস্ত থাকেন শুনি কিন্তু আউটপুট দেখিনা, ওনার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে অসংখ্য মানুষ জামিন এবং মামলা থেকে মুক্ত হয়েছেন তাহলে মাহমুদুর রহমান কি দোষ করলেন? জনগণ এর জবাব চাই মিস্টার নজরুল।
আহসান রহমান লিখেছেন, একটি বিচার বিভাগীয় বেঞ্চ গঠন করে সেখান থেকে সকলকে পলিটিক্যাল কনসিডারেশনের মামলা গুলো থেকে অব্যাহতি দ্রুত নিষ্পত্তি জামিন জেল মুক্তিকরণ করা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল কিন্তু জনগণের আশায় গুড়ে বালি! না সঠিকভাবে আহতদের চিকিৎসা হচ্ছে না নিহতরা পাচ্ছে প্রপার রিকগনিশন না আওয়ামী বিচারকদের দেয়া রায় থেকে মুক্ত হতে পারছে সম্মানিত ব্যক্তিরা। নজরুল ভাই হঠাৎ করে অতি ধার্মিক এবং অতি আওয়ামী বিরোধী হয়ে পোস্ট বানিয়ে নিলেন কিন্তু ডেলিভারেন্স জিরো
।
আমিনুল ইসলাম হিরন আইন উপদেষ্টার সমালোচনা করে লিখেছেন, ড. আসিফ নজরুলরা জাতিকে কি দেখাচ্ছেন। সাংবাদিক রোজিনার মামলা প্রত্যাহার আর সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান সাহেবের মামলা এখনো সচল। এক ফ্যাসিবাদ বিদায় করে আরেক ফ্যাসিবাদ নিয়ে আসা হয়নি তো?
জয়নাল আবেদীন লিখেছেন, ড. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক এই মামলার মাধ্যমে প্রকাশ পায় আমাদের বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা। তিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যেভাবে সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয়। তার নিঃশর্ত মুক্তি হতে হবে, কারণ ন্যায়বিচারই সমাজের মূল ভিত্তি। জাতি তার অবদানকে চিরকাল স্মরণ রাখবে, এবং আমাদের উচিত তাকে সমর্থন জানানো। আশা করি, সত্য ও ন্যায়ের জয় হবে।
খান মুহাম্মদ প্রশ্ন ছুঁড়ি দিয়ে লিখেছেন, আমার ১টি প্রশ্ন- দেশে এসে ড মাহমুদুর রহমানকে যদি মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠাতে পারে ইউনূস সরকার তাহলে সাকিব দেশে আসলে কেন কারাগারে দিবে না?
মোফাজ্জল হায়দার লিখেছেন, যে সরকার আইনকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল সেই আইনে বিপ্লবী সরকার কখনই একজন সম্মানিত সাংবাদিককে জেলে পাঠানো সম্পূর্ণ বেআইনী। মামলাটিই যেখানে ভূয়া।
রোবি নামে একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী লিখেছেন, আসিফ নজরুল আপনাকে শতধিক। আপনার চেয়েও শতগুণ বেশি ঈমানদার খাঁটি দেশপ্রেমিক সাহসী মানুষ মাহমুদুর রহমান এমন স্বাধীন একটা দেশে অসুস্থ মা কে দেখতে এসে কেন উনি জেলে? আসিফ নজরুল একদিন আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা করতাম।কিন্তু আজ ঘৃণা করি।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়