ইফার বই মেলায় অংশ নিতে বিধিবর্হিভূত ৫ প্রকাশনীর অপচেষ্টা

মেলা কমিটির আহবায়ক কিছুই জানেন না ঃ আজ বিকেলে লটারি !

ইফার বই মেলায় অংশ নিতে বিধিবর্হিভূত ৫ প্রকাশনীর অপচেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইসলামী বই মেলা নিয়ে চক্রান্তকারী এখনো তৎপর। পুরান ঢাকার একটি মতাদর্শের অনুসারীরা নানা অপৎতপরতার দরুণ ইফার উদ্যোগে মাসব্যাপী বই মেলা নির্ধারিত সময়ের এক মাস পরেও শুরু করা সম্ভব হয়নি। হাতে গোনা কয়েকটি প্রকাশনীর মালিকরা একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে বই মেলার লটারির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ফলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেইটে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ইসলামী বই মেলা নিয়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। এতে ইফার বই মেলা কমিটির আহবায়ক রাশিদা আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা চরম বিব্রত হন। বায়তুল মোকাররমের দ্বিতীয় তলায় সভাকক্ষে ইফার বই মেলা কমিটির সভায় মেলার স্টল বরাদ্দের লক্ষ্যে ইফার কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করলে একটি মতাদর্শের একটি প্রকাশনীর প্রতিনিধির নেতৃত্বে ইফার রুমে ঢুকে মেলার স্থান পরিবর্তন করে পূর্ব দিকে এবং কথিত সমিতির নামে ২১টি স্টল বিনা লটারিতে বরাদ্দের দাবিতে হুমকি ধমকি দিয়ে সভা প- করে দেয়। এতে মার্কেট বিভাগের তৎকালীন উপ-পরিচালক আবু সাঈদ, রাশিদা আক্তার, প্রকৌশলীসহ অন্যান্যরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বই মেলার স্টল বরাদ্দের লটারি না করেই সভা মূলতবি করে চলে যান।
ফলে বই মেলায় অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ পুস্তক প্রকাশনীর মালিক প্রতিনিধিরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হন। ইফার মেলা কমিটি স্টল বরাদ্দের লক্ষ্যে ১ হাজার টাকা করে ২০২টি ফরম বিক্রি করে। ১৮৭টি প্রকাশনীর মালিক বিধি মোতাবেক বই মেলায় স্টল বরাদ্দের লক্ষ্যে আবেদন জমা দেয়। এমদাদিয়া বুক হাউজের প্রতিনিধি জাহিদ, মাহমুদ পাবলিকেশন্সের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ হোসাইন সেলিম, ফরিদ বুক ডিপোর’ প্রতিনিধি উজ্জল জানান, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইফার আয়োজিত ইসলামী বই মেলা বানচালের উদ্দেশ্যে হঠাৎ জাতীয় মসজিদের পূর্ব দিকে মেলা বসানোর অযৌক্তি দাবি নিয়ে মেলা কমিটির মিটিংয়ে গিয়ে টেবিল চাপড়িয়ে কর্মকর্তাদের হুমকি ধমকি দিয়ে স্টল বরাদ্দের লটারির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছিল। দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর ধরে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থেই ইফার বই মেলা চলে এসেছে। এর প্রতিবাদে বই প্রকাশকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট এবং পূর্ব সাহানে বই মেলার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বিকেলে উভয় দিকের বই মেলার স্টল বরাদ্দের লটারি হবার কথা। গতকাল একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এসব চক্রান্তকারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের আর কোনো দিন দলীয় পরিচায় না দেয়ার জন্য সাশিয়ে দেয়। ইফার বিধিবর্হিভূতভাবে গত ১৬ অক্টোবর ফরম ও পে-অর্ডার জমা দেয়ার মেয়াদ এক মাস পার হবার পরে হুমকি ধমকি দিয়ে আব্দুল হকের কাছ থেকে ৫টি ফরম জোরপূর্বক নিয়ে পে-অর্ডার জমা দেয়ার অপচেষ্টা করছে এবং আহসান প্রকাশনী ও মক্কা পাবলিকেশনের নামে দু’টি পে-অর্ডার জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সাধারণ পুস্তক প্রকাশনীর মালিকরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। মেয়াদ শেষের এক মাস পরে কিভাবে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ফরম নিয়েছে এবং পে-অর্ডার জমা দিয়ে আজ বিকেল সাড়ে চার টায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ইসলামী বই মেলার স্টল বরাদ্দের লটারিতে অংশ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইফার বই মেলা কমিটির আহবায়ক রাশিদা আক্তার আজ বৃহস্পতিবার ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানি না। আহবায়ক ইফার রাশিদা আক্তার বলেন, বিধিবর্হিভূতভাবে গতকাল জোর পূর্বক ফরম নিয়ে পে-অর্ডার করে লটারিতে অংশ নিতে চাইলে আমি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। তিনি বলেন, আমি বায়তুল মোকাররমে যাচ্ছি। মিটিংয়ে ব্যবস্থা নিবো। কোনো চক্রান্তকারীরা অনিয়মের চেষ্টা করলে তাদের ঠাঁই দেয়া হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিভাগ : মহানগর