৩০০ ফিটের ভাইরাল অভিযান নিয়ে হতাশ নেটিজেনরা, সেনাবাহিনীর কাছে যে প্রত্যাশা
০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
রাজধানীর ৩০০ ফিটে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতভর অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয় ২ লাখ ৭০ হাজার ৮০০ টাকা। মামলা হয়েছে ১১৯টি। এসময় মাদকসহ অবৈধ দ্রব্য পরিবহনের দায়ে, ৪টি গাড়ি জব্দের কথাও জানায় সেনাবাহিনী।
চেকপোস্টে গাড়ি থামানো হলে সেনা কর্মকর্তার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এক ব্যক্তি। এসময় ভদ্রবেশী ওই ব্যক্তিকে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখা যায়। পরে তল্লাশি করে তার গাড়ি থেকে কিছু মাদদকদ্রব্য উদ্ধার করে সেনা সদস্যরা।
৩০০ ফিটের এই অভিযান ও সেনা কর্মকর্তার সাথে বাকবিতণ্ডার দৃশ্য কয়েকটি টেলিভিশনে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। ফলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। বিপুলসংখ্যক অনলাইন দর্শককে এই অভিযান অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখতে দেখা যায়। তারা এই অভিযানকে ঘিরে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ও হতাশা তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০/১০০ গ্রাম গাঁজা এবং দুটি খোলা মদের বোতলে ১০০/২০০ এমএল মদ পাওয়া গিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য এক দুই হাজার টাকা হতে পারে!
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আত্মগোপনে চলে যায় ছাত্র-জনতার চিহ্নিত খুনি ও পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। এখন পর্যন্ত জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় পুলিশের যেসব সদস্য ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল তাদের গ্রেফতারে তেমন কোন সফলতা দেখছেন না সচেতন মহল। সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়ার পর অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন যে, অল্প সময়ে গণহত্যায় জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।
৫ঈ আগস্ট পরবর্তী থানার লুণ্ঠনকৃত অস্ত্রগুলো এখনো সিকি ভাগ উদ্ধার হয়নি অথচ ছোটখাটো অভিযানে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর মত সুসংগঠিত শক্তিশালী বৃহৎ প্রশিক্ষিত বাহিনীকে লাগানো একটি ব্যাপক রাষ্ট্রীয় অপচয় মনে করছেন অনেকে।
এছাড়াও ব্যাংকলুটেরা এবং খাদ্যপণ্য সিন্ডিকেট মাফিয়া ও অনেক কুশিলবেরা এখনো প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ব্যাপারে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী যদি এক্ষেত্রে মনোমনিবেশ করে খুব দ্রুতই এ ধরনের মাফিয়ারা আইনের আওতায় চলে আসবে। এতে সেনাবাহিনীর মর্যাদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের প্রত্যক্ষ উপকার হবে।
নেটিজেনরা বলছেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেও তারা সফল। পুলিশের দ্বারা যা অসাধ্য ছিল তা তারা সাধ্য করে দেখিয়েছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে, তারা ছোটখাটো অপরাধ ও অপরাধীদের দিকে বেশি মনোনিবেশ করেছেন। চিহ্নিত আওয়ামীফ্যাসিবাদের দোসরদের আটকে প্রত্যাশিত সফলতা দেখা যাচ্ছে না। এটা চরম হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।
এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযানে প্রত্যাশিত সফলতা না আসলেও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এমন অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে-পাড়া মহল্লা ও সড়কে এমন অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জুলাই-আগস্ট এর চিহ্নিত খুনি-অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
ফেসবুকে ইউসুফ আলী লিখেছেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে বলবো আপনারা বীরের মতো এগিয়ে যান। দেশের যেখানে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে সব জায়গায় ঝাপিয়ে পড়ুন। বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করুন আল্লাহ আপনাদের সহায়ক হন। সবার আগে ছাত্র-জনতার খুনি ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। তারা সর্বদা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা না গেলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবেনা। আবারও আমাদের বড় ধরনের সংকটে পড়তে হবে।
মোঃ মাহমুদ লিখেছেন, জনগণের নিরাপত্তার জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাক আমরা সাধারন নাগরিক এটা চাই। কিন্তু গুরুত্বের সাথে ছোটখাটো বিষয়গুলো এমন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে বড় অপরাধীরা আড়াল হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিগত প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
আবিদুর রহমান লিখেছেন, আমরা আশা করেছিলাম সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়ার পর অল্প সময়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে। কিন্তু আমরা এক্ষেত্রে তাদের সফলতা নিয়ে খুবই হতাশ। অল্প সংখ্যক আওয়ামী দুষ্কৃতিকারী আটক হলেও এখনো অধিকাংশ চিহ্নিত অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আনুপাতিক হারে সংসদ নির্বাচনের দাবি সংস্কারের নামে কুসংস্কার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
সিলেট সীমান্ত হয়ে ভারতে পালাতে যেয়ে ধরা খেলেন এক আ'লীগ নেতা !
নির্বাচনে জিততে যেভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প
আগামীদিনের রাজনীতি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশের গড়ার রাজনীতি
জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করতে হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরি - ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম
বহু এলাকায় খাদ্যশস্যের সংকট বাড়ছে: জাতিসংঘ
স্যামসাংয়ের নতুন ফ্যান এডিশন: এআই দিয়ে কী কী করা যাবে!
ওসমানী বিমানবন্দর পূর্ণাঙ্গ, বাসা-বাড়ী, প্রতিষ্ঠান সমূহে গ্যাস সংযোগ ও আখাউড়া টু সিলেট ডাবল রেল লাইন নির্মাণের দাবীতে সিলেটে মানববন্ধন
আশুলিয়ায় সিঁড়ি থেকে পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জাতীয় দিবস হিসেবে ‘৭ নভেম্বর’ ফিরিয়ে আনার দাবি বাংলাদেশ এলডিপির
কুষ্টিয়ায় ৩ দিনব্যাপী ইজতেমা
বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদকে নিয়ে যা বললেন মিশা সওদাগর
বিএনপি কর্মী সর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, বিএনপি জনসমর্থন ভিত্তিক রাজনৈতিক দল – বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান
ওয়াকফ নিয়ে গুজব, কর্ণাটক মুসলিমদের ওপর হামলা
ব্র্যাক ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যশোরে নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালা
৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজশাহীতে প্রত্যাশিত বিদ্যুত মিলছেনা
ইসলামের শাসন ছাড়া সুন্দর একটি আদর্শ দেশ গঠন করা সম্ভব নয়
শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসকারী কুশীলবদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে-জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ২০৫, আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা