ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত অসাম্প্রদায়িকতা;একটি মুলোর আত্মকাহিনী

Daily Inqilab তরিকুল সরদার

২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম

 

 

আমি চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো এমন হবে যেখানে একজন শিক্ষার্থী গরুর গোশত যেমন খেতে পারবে অনুরূপভাবে যে কচ্ছপ খেতে চায় সে তা খাবে, যে শুকর খেতে চায় সে তা স্বাধীনভাবে খেতে পারবে। একজন অন্যজনের খাদ্যাভাসে বাঁধা প্রদান করবে না। কেউ তার পছন্দের খাবার খেতে ইতস্তত বোধ করবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে অথচ আমি তো দেখেছি বাংলাদেশের সবথেকে বেশি সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে পৃথকীকরনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে সূক্ষভাবে এটাই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে, তোমরা মুসলিম আর তুমি সনাতনী,তুমি খ্রিস্টান, তুমি বৌদ্ধ, তুমি নৃগোষ্ঠী। তোমরা মেজরিটি আর তুমি,তুমি,তুমি মাইনরিটি।

যেখানে দেখেছি কেন্দ্রীয়ভাবে,বিভাগের অসাধারণ আয়োজনে পালিত হয় সনাতনী ভাই-বোনদের ধর্মীয় আচার যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থী এসেছে সেখানে। হয়তো উদযাপন করেছে নয়তো উদযাপন দেখতে এসেছে আমিও তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলাম।

দেখেছি ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে সনাতনী সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের সরস্বতী পূজায় সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। যেখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগুলোর পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা যতটুকু সম্ভব আর্থিকভাবে অবদান রাখেন। কিন্তু কখনও দেখিনি বিভাগুলো থেকে 'ঈদ ই মিলাদুন্নবি' কিংবা রমজানের একটি ইফতার ঘটা করে পালন করতে। কেননা যখন আপনি জগন্নাথ হলের পূজায় অংশগ্রহণ করেছেন তখন আপনি অসাম্প্রদায়িক কিন্তু মিলাদুন্নবি সম্মিলিতভাবে পালন করা যাবে না কেননা এটা সাম্প্রদায়িক কার্যক্রম।

দেখেছি প্রতিমূর্তি বানিয়ে ইসকনের নামটা টাইলসে বাধিয়ে রাখতে পক্ষান্তরে দেখেছি ধর্মীয় শিক্ষা পাঠ করার অপরাধে বটবৃক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীদের। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শোকজের মুখোমুখি হতে হয়েছে ধর্মপ্রেমী মুসলিম শিক্ষার্থীদের।

আমি কখনই প্রশাসনকে দেখিনি পাহাড়ে বসবাসকারী আমার নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থী বন্ধুদের কোন একটা উৎসবকে মহা সমারোহে পালনের সামান্যতম উদ্যোগ নিতে।
আমার সৌভাগ্য হয়েছে দেখার এখানে কিভাবে ধর্ম আর সংস্কৃতিকে একে অন্যের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।

দেখেছি জুলাই বিপ্লবে সারা জাগানো বাংলা গানগুলোকে অযত্নে ফেলে রেখে কেবল কাওয়ালীময় ক্যাম্পাস। আবার দেখেছি কাওয়ালীকে কেবল মুসলিমদের ধর্মীয় সংগীত বানিয়ে ফেলা,অর্থাৎ সংস্কৃতিকে ধর্মীয়করন।
আমাদের পাশ্ববর্তী দেশে যেখানে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেখানে কিন্তু মহা আহ্লাদে এটাকে সংস্কৃতি হিসেবেই গ্রহণ করেছেন তারা।

আমার স্নাতক পর্বে সৌভাগ্য হয়েছে একাডেমিক কার্যক্রমে মঙ্গলকাব্য,পদ্মপুরান,মহাভারত,রামায়ন পাঠ করার,টেক্সটগুলো নিয়ে কাজ করার। সৌভাগ্য হয়েছে গ্রীক মিথোলজি কিংবা রোমানদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার। কিন্তু সুযোগ হয়নি আরব্য রজনী কিংবা ফোরাতের তৃষ্ণার্ত মহাবীরকে জানার,প্রতিরূপায়ন করার।

ফলশ্রুতিতে একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হয়েছে বাকি সব ধর্মের সংস্কৃতি থাকলেও মুসলিমদের বোধ হয় কোন সংস্কৃতি নেই। বোধ হয় শেখ সাদী, জালালউদ্দিন রুমী, ফেরদৌসী,ফরিদউদ্দিন আত্তার,হাফিজ, ইকবাল,মীর মোশাররফ হোসেন সারা জীবন যা লিখেছেন তা নিছকই তুচ্ছ বিষয়।

আমরা প্রাচীন গ্রিক,রোম, এলিজাবেথান যুগের লেখকদের ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও কখনও খুঁজিনি খান জাহান আলী,গাজী-কালু,শাহ জালাল,শাহ পরানের ইতিহাস। কখনও একটা দৃশ্যেরও প্রতিরূপায়ন করতে দেখিনি, দৃশ্যায়ন দূরে থাক পাঠই তো করতে দেখিনি। দেখিনি বুদ্ধ কিংবা যীশু খ্রিস্টের ঘটনাগুলো নিয়ে কোন লেখনী কিংবা অভিনয়। এমনকি আমার দেশের বিখ্যাত মরমী ও আধ্যাত্মিক কবি লালন-হাছনদের নিয়ে কথা বলার মতোও কেউকে দেখিনি।

দেশকে যেখানে জাতি,ধর্ম,বর্ন নির্বিশেষে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে পারতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা প্রতিষ্ঠান। প্রশাসন সেটি তো কখনও করেননি বরং দ্বৈত নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভাজিত করা হয়েছে বহু বহু যুগ ধরে যা হয়তো অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে পদ্মার পলিদ্বীপে।

নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করে আসা অথর্ব প্রশাসন এমন উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে রেখেছেন যেন পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র তারাই সাম্প্রদায়িকতার শ্রেষ্ঠ প্রশাসক। উপরন্তু তারাই সর্বাগ্রে অসাম্প্রদায়িকতার বাণী আওড়িয়ে থাকে। এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম।

তারা নিজেদের এমনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যেন এই পৃথিবীর যা কিছু মহান সকলি তাদের দান। তারা সর্বোত্তম বিদ্যাপীঠের গুণকীর্তনের এমন খোলস পরে থাকেন যেন এই ভূখন্ডে যা কিছু সুন্দর যা কিছু অনিন্দ্য শিক্ষা তা কেবল তাদের মাধ্যমেই রচিত হয়েছে এবং বঙ্গদেশে তারা ব্যতীত অসাম্প্রদায়িকতার দ্বিতীয় কোন শিক্ষালয় নেই।

 

চলতি বছরের ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নিউ এইজ পত্রিকার সাবেক ঢাবি রিপোর্টার ওবায়দুর রহমান সোহান। পোস্টটিতে তিনি লিখেছেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করা হয় এবং সেটা রাষ্ট্রীয় মদদেই করা হয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি । সেটা তাদের সংখ্যালঘু রাজনীতির পুঁজি হিসেবেই বলা চলে। জগন্নাথ হল। যেখানে মুসলিম ছাড়া সব ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের আবাসিক হল। বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এই চর্চা দেখতে পাওয়া যায় না। যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৈদ্য, খ্রিস্টান, আদিবাসী ছাত্ররা শুধুমাত্র একটি হলে অবস্থান করে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের সূত্রপাত এখান থেকেই ঘটে।'

দীর্ঘ ওই পোস্টটিতে তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে লিখেছেন, "যেখানে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সব ধর্মের অনুসারী ছাত্ররা একসাথে বসবাস করছে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন আলাদা বা একক হল থাকতে হবে? অন্যান্য হলে থাকলে বা থাকার সুযোগ করে দিলে কি সমস্যা হয়? তারা বলে যে, যেই ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্না হয় সেই ক্যান্টিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা খেতে পারে না। এখানে এই কথার যৌক্তিকতা হারিয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল গুলোতেইতো হচ্ছে। তাহলে তাদের সমস্যা হবার কথা। তাহলে হচ্ছে না কেন? তবে কি বলতে পারি এই কথাটা শুভঙ্করের ফাঁকি? বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্ম, বর্ন, নির্বিশেষে সমান অধিকার পাবার কথা।

তাহলে কেন একজন মুসলমান শিক্ষার্থী তার অধিকার থাকা সত্ত্বেও জগন্নাথ হলে থাকতে পারবে না? শুধু সে মুসলিম তাই? তাহলে অসাম্প্রদায়িক বিশ্ববিদ্যালয় হয় কিভাবে? বা একজন হিন্দু ছেলে চাইলে কেন তার অন্য ধর্মের বন্ধুদের হলে থাকতে পারবে না? শুধুমাত্র মুসলিম নয় বলে? এখানে কি সাম্প্রদায়িকতা দেখতে পাচ্ছেন না? দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে হচ্ছে কিভাবে তাহলে? একটা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে একজন নাগরিকের মৌলিক হরণ করতে পারে?'

সোহান আরও লিখেছেন, '২০২৪ সালে এসে কেন এক ধর্মের মানুষের থেকে অন্য মানুষকে আলাদা রাখার মানে কি দাড়ায়? এসব সিস্টেম কি বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্টের সাথে সাংঘর্ষিক না? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়। অক্সফোর্ডে কি কোথায় এই ধরনের চিত্র খুঁজে পাবেন? নাকি বিশ্বের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয় দেখতে পান? ধর্মের মাধ্যমে বিভাজনআর কতকাল চলবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে?'

বারংবার প্রশ্ন ছুড়ে সোহান লিখেছেন, 'তারা বলে যে, এখানে উপাসনালয় আছে, অন্য কোনো হলে নাই। রাষ্ট্রকে বিশ্ববিদ্যালয় কবে এই উদাহরণ দেখাবে যে পাশাপাশি পূজা এবং মসজিদে নামাজ পড়া যায়? নাকি উপাসনালয়ের আসেপাশে মুসলিম আবাস নিষিদ্ধ?
হ্যা, এটা সত্য যে জগন্নাথ হলের একটা ঐতিহ্য আছে। তাই বলে কি সেটা চিরকাল একই রকম থাকবে? মুসলিম শিক্ষার্থীরা কি সেই ঐতিহ্যবাহী হলে থাকার সুযোগ পাবেনা? ঐতিহ্যের নামে এই ট্যাবু আর কতদিন চলবে?

আরেকটি বৈষম্যের বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই। সঙ্গত বা কৃত্রিম কারনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চরমমাত্রায় আবাসন সঙ্কট রয়েছে ৷ জগন্নাথ হল ছাড়া সব হলের রুমে শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করে।

জগন্নাথ হলে সব মিলিয়ে ২৫০০-৩০০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৫ টি ভবনের কি প্রয়োজন রয়েছে? যেখানে সন্তোষচর্য ভট্টাচার্য ভবনটি এগারো তলা বিশিষ্ট, যেখানে প্রায় ২০০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অনায়সেই থাকতে পারে। তারপরে নর্থ বিল্ডিং, সাউথ বিল্ডিং, অক্টোবর বিল্ডিং (প্রায় ৫-৬ বছর ধরে শুনছি কর্তৃপক্ষ এই ভবনগুলো ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অনায়াসেই সেখানে বছরের পর বছর অবস্থান করছে) এবং নব্য নির্মিত হচ্ছে ১১ তলা বিশিষ্ট রবীন্দ্র ভবন। কথা হচ্ছে এত ভবন মাত্র তিন হাজার জন শিক্ষার্থীর জন্য ? যেখানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটা সিটের জন্য বছরের পর বছর সংগ্রাম করে যায় এবং থার্ড ইয়ার অথবা ভাগ্য ভালো থাকলে সেকেন্ড ইয়ারে একটা সিট পায়, তাও ডাবলিং করে থাকতে হয়, সেখানে কোন যুক্তিতে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য এতগুলো ভবন দরকার? কেন অন্যান্য হল থেকে শিক্ষার্থীদের জগন্নাথ হলে এলোটমেন্ট দিয়ে সিট সঙ্কট দূর করছে না? একটা বিশ্ববিদ্যালয় এত বড় বৈষম্য কিভাবে করতে পারে? বা রাষ্ট্রের কোনো আদালতে কেন বিষয়টি নিয়ে রিট করা হচ্ছে না? এর বড় বৈষম্য একটা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে শতবছর ধরে চলতে পারে?

জগন্নাথ হলে মুসলিম ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা মসজিদ এবং অনুরূপভাবে অন্যান্য হলে উপাসনালয় হলে কি সমস্যা হয়? এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি ধর্মীয় সহিষ্ণুতার শিক্ষা শিক্ষার্থীরা না পায় তাহলে তারা কর্ম ক্ষেত্রে গিয়ে বা দেশ পরিচালনার কাজে গিয়ে কিভাবে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির বিবেক এবং পথ প্রদর্শক। এখানেই যদি বিবেক বৈষম্য শিখে যায় তাহলে বিবেক চলবে কিসের উপরে নির্ভর করে?'

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সব হলের সম্মিলিত প্রতিবাদ দেখা গেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি জগন্নাথ হলের অনেক শিক্ষার্থীই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেও বিরাট একটি অংশ ছিল নিশ্চুপ নির্বিকার। হলটি থেকে যারা আন্দোলনে গিয়ে রক্ত ঝরিয়েছেন,আহত হয়েছেন তারা সবসময়ই ছিলেন প্রতিবাদী। পক্ষান্তরে বিশাল একটি অংশ ছিলো ফ্যাসিস্টের দালাল আবার অনেকেই এমন আচরণ করেছেন যেন সাপ ও মরে আবার লাঠিও না ভাঙ্গে। সম্প্রতি এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, হলটিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন দোষরদের নতুন করে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে তথাকথিত সুশীলেরা।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের অত্যাচারের জন্য প্রত্যেক হলে হলে তাদের নামে মামলা হলেও জগন্নাথ হলকে দেখা যায়নি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ইস্যুতে যেন আতে ঘাঁ লেগেছে তথাকথিত কিছু সুশীল ভাব ধরে থাকা উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন প্রেমি শিক্ষার্থীদের।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পূর্বাচলে বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু : তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের নগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন
আরও

আরও পড়ুন

যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬ চিনিকল চালু হওয়ায় ভারতের দম্ভ খতম!

কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬ চিনিকল চালু হওয়ায় ভারতের দম্ভ খতম!

নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর

নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর

৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা

আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা

নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা

নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা

খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো

খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো

কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু

কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু

বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১

কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম  দুর্ভোগে পথচারীরা

কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম  দুর্ভোগে পথচারীরা

মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা

মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা

বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার

যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার

আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন

আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়

গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়