ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ফ্যাসিস্ট হাসিনা না পালালে তার হাড্ডি মাংস পাওয়া যেত না : মান্না

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, পালিয়ে গেছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা । কারণ তার পালানো ছাড়া আর কোন পথ ছিল না। উনি যদি না পালাতেন তাহলে তার হাড্ডি মাংস পাওয়া যেত না বাংলাদেশে। যারা বলে শেখ হাসিনা আবার দেশে ফিরে আসবেন, আমি তো বলি পারলে আসেন। সেদিন একটি চ্যানেলে দেখলাম উনি টুপ করে ঢুকে পড়বেন, তার আগে বলেছিলেন টুস করে ফেলে দেবেন। পারবেন না।

 

 

মান্না বলেন, বিদেশের মাটিতে পৃথিবীর কেউ তাকে জায়গা দেয়নি। সবাই তাকে জানে সে একটা লুটেরা, খুনি, ফ্যাসিস্ট এবং তার দল বাংলাদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের খুলনা মহানগর ও জেলার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে আমাদেরকে গঠন করতে হয়েছে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনগণ ড. ইউনূসের সরকারকে সমর্থন করেছিল, এখনো সমর্থন করে। আমরা যে কোনো নির্বাচিত সরকারের কাছে একটি ভালো দেশ চাই, বাঁচতে চাই, জনগণের জন্য কল্যাণ করে সেই রকম দেশ চাই। আমরা একটা সরকার চাই যে সরকার কল্যাণকর রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করবে। আমরা সেটা এই সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন) কাছে প্রত্যাশা করছি না। এই সরকার এতগুলো কাজ একসাথে করতে পারবে না।

 

 

তিনি আরও বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভোট ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা। ভোট ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। মানুষের অধিকার নষ্ট করেছেন। মানুষ ভোট দিতে গিয়ে দেখেছে ভোট আগেই হয়ে গেছে। মানুষ ভোট দিতে গিয়ে দেখেছে পুলিশ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সে তাকে ভোট দিতে দেয়নি। মানুষ দিনের ভোট দেখেছে আগের রাতে শেষ হয়ে গেছে। এই ডাকাতরা আমাদের দেশের সমস্ত অর্জন নস্যাৎ করে দিয়েছে। আমরা বলেছি ভোট দিতে। ভোট হবে এমন যেই ভোট মানুষ ইচ্ছামতো দিতে পারবে। ওই ভোট গণনা হবে, সেই গণনার পরে যেই রেজাল্ট পাওয়া যাবে, সেই রেজাল্ট অনুযায়ী জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। মানুষের ইচ্ছার ভিত্তিতে সরকার গঠিত হবে। সেই রকম সরকার যদি হয়, সেই সরকারের কাছে আমরা কতগুলো নিয়ম বেঁধে দেব। সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

 

 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটা বিজয়ের মাস। এই বিজয় এখন বিভিন্নভাবে মহিমান্বিত। সেই স্বাধীনতার পর আগস্ট এবং জুলাই মাস বাংলাদেশের ইতিহাসে কেবল না পৃথিবীর ইতিহাসে এক অন্যন্য আন্দোলন হয়েছে, অভ্যুত্থান হয়েছে। প্রায় অসম্ভব বলে বিবেচিত শেখ হাসিনার নৃশংস ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করা গেছে। সেই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, সেই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন ২০ দিনে দেড় হাজার, আর ১৫ বছরের ৩ হাজারেরও বেশি সঠিক কেউ বলতে পারে না। তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই শহীদরা যে জীবন দিয়েছিলেন, এদের সবার লক্ষ্য ছিল একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার। নতুন বাংলাদেশ কি রকম? ওই পুরোনো বাংলাদেশের কথা ভাবেন, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সোনার বাংলা।

 

 

তিনি বলেন, যারা এই দেশটা গড়বে তারা দেশ গড়ার চাইতে নিজেদের গড়বার চিন্তা করেছে বেশি। তারা জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে নিজের কল্যাণ নিজের পরিবারের কল্যাণ তারা দলবাজি করতে চেয়েছে। গত ১৫ বছরের ইতিহাস প্রত্যেকের মনে আছে। শেখ হাসিনা বলতেন উন্নয়নের রাজনীতি চাই। আমি বাংলাদেশকে যে উন্নয়ন দিয়েছি, সেই উন্নয়ন আর কেউ দিতে পারিনি। আমি বাংলাদেশকে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি কি উন্নয়নের রাজনীতি। সেই উন্নয়নের নামে মাত্র ছয়


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের

শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের

সিরিয়া সীমান্তে কুর্দিদের নিয়ে তুরস্কের উদ্বেগ বৈধ : যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়া সীমান্তে কুর্দিদের নিয়ে তুরস্কের উদ্বেগ বৈধ : যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ

বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ

এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে

এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে

ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর

ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর

দুর্গের মতো পুলিশের ঘেরাটোপে ট্রাম্পের অভিষেকের প্রস্তুতি

দুর্গের মতো পুলিশের ঘেরাটোপে ট্রাম্পের অভিষেকের প্রস্তুতি

প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাবেন এক হাজার ফিলিস্তিনি

প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাবেন এক হাজার ফিলিস্তিনি

প্রশ্ন: চিন্তা কি অপরাধ?

প্রশ্ন: চিন্তা কি অপরাধ?