মেট্রোরেল বন্ধের ষড়যন্ত্র ছাড় দেবে না যাত্রীরা, নেটিজেনদের হুংকার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০ এএম | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম

জ্যামের শহরে রাজধানী বাসীর স্বস্তির যাত্রা মেট্রোরেলে। চালু হবার পর থেকেই অন্যান্য যানবাহন খাতের মতো বিভিন্ন আন্দোলনের অংশ হয়েছে বিশেষ এই পরিষেবাও। এবার দাবি আদায় না হলে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ডিএমটিসিএল এর স্থায়ী কর্মীরা।
মেট্রোরেল চালুর পর থেকেই এসব কর্মীরা ভালোভাবেই যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনও পরিবারকে সময় না দিয়ে তাদেরকে দেখা গেছে কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু এবার তারাই মেট্রোরেল সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় হতাশ নেটিজেনরা। কারও কারও মধ্যে ক্ষেপা মনোভাবও লক্ষ্য করা গেছে। নাজমুস সাকিব নামের একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আপনারা দুই দিন পরপর কিসের নাটক করছেন এসব? মেট্রো বন্ধ করে দেখেন, আমরাও বসে থাকবো না।’ নেটিজেনদের অনেকেই আবার মনে করছেন এটি হাসিনার নতুন চালবাজি। স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বসে আছে মেট্রোরেলের বিভিন্ন পদে। তাদের নিয়োগও হয়েছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়। আর এজন্যই ওদের এত এত দুঃসাহস, কোন কিছু হলেই করতে হবে আন্দোলন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হবে, জনসাধারণকে ভোগান্তিতে ফেলতে হবে। ফারজানা মিতু নামের একজন লিখেছেন, ‘মেট্রোরেলের কর্মীরা এত সাহস পায় কি করে? স্বৈরাচার হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তা-কর্মীদের আগে পরিবর্তন করা উচিৎ। মেট্রোরেল নিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলায় হাসিনার মূল উদ্দেশ্য।’ মূলত চাকরিবিধি চূড়ান্ত করতে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন মেট্রোরেল ডিএমটিসিএল এর স্থায়ী কর্মীরা।
মেট্রোরেল চালুর পর থেকেই একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে যাত্রী পরিবহণে। তবে ডিএমটিসিএল কর্মীদের এ আন্দোলন যেনো সেই সব অর্জনে কালিমা লেপন করে দিলো। এই আন্দোলন দমন করতে ব্যর্থ হলে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীকেও ছাড় না দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাদের মতে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো কি করছে? ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মী-কর্মকর্তারা কিভাবে তাদের পদে বহাল আছে সে প্রশ্নও রাখেন তারা। রাকিব খান নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি করছে? কিসের এত আন্দোলন? এসব স্বৈরাচার হাসিনার দোসর। একটাকেও ছাড় দেয়া হবে না। আর আপনারা যদি ব্যবস্থা না নেন তাদের বিরুদ্ধে, আবারও আমরা ছাত্র-জনতা মাঠে নেমে পড়বো।’
দেশটা এখন যেনো মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। সামান্য কিছুতেই করতে হবে আন্দোলন। জনগণকে ফেলতে হবে ভোগান্তিতে। এসবের পিছনে স্বৈরাচার হাসিনার হাত রয়েছে, তিনিই এসব করাচ্ছেন বলেই মনে করেন নেটিজেনরা।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ফেনীতে ইনকিলাব সাংবাদিককে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি জামাই ফারুক গ্রেপ্তার

গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগে এনে ইমামকে গণপিটুনি, কারাগারে মৃত্যু

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ছাড়া সচিবালয়ে যানবাহন প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত

ইফার প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই

ইউআইইউ বন্ধের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান : জরিমানা আদায়

হামদর্দের গাজার জনগণের প্রতি মানবিক সহায়তা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

বনশ্রীর মেরাদিয়ায় কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না

দিল্লি আর আওয়ামী দোসরদের দৌরাত্ম্য চলবে না : রাশেদ প্রধান

নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, ভাবনাসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন

মিয়ানমার সীমান্ত সংক্রান্ত পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন : বাংলাফ্যাক্ট

দেশের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ঋণমান সংস্থা ফিচকে জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ দগ্ধ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু

দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার : তথ্য উপদেষ্টা

সউদী নুসুকে কাঙ্খিত হজ ভিসা হচ্ছে না

কোম্পানির মুনাফার জায়গা গো-খাদ্য হতে পারে না : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই : উমামা ফাতেমা

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ : ১২ দলীয় জোট