পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থানরত নাগরিক এবং পরিবহন যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় সোচ্চার থাকবে র্যাব-১। তাদের গৃহীত পদক্ষেপ ও কার্যাবলী বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংএ আজ এসব কথা বলেন র্যাব-১ উত্তরা এর অধিনায়ক জাহিদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বিআরটি ফ্লাইওভার বাস স্ট্যান্ড এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরমুখী মানুষের জন্য র্যাবের টহল দল ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
র্যাব অধিনায়ক জাহিদ বলেন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি
বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন , তাদের এই তৎপরতায় ঢাকা মহানগর থেকে যারা ঈদে বাড়ি যাবেন তাদের জন্য।
তাদের নিরাপত্তা এমন ভাবে নিশ্চিত করা হবে যাতে তারা সুস্থ্য ও সুন্দরভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
এছাড়া ঢাকাতে যারা রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা এবং অন্যান্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাড়ার প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা কর্মীরা রয়েছেন।
জানা যায়, তাদের টহল দলগুলো শুধু চেকপোস্ট গুলোতে নয়, বিপদজনক এলাকা গুলোতেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তাদের সাথে দেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনী সদস্যরা সহযোগিতায় আছেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরাও উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। তিনি বলেন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা কাজে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে এবং এই কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তথ্য প্রবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত তথ্য পাওয়া যাবে, ততো দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। এই সহযোগিতা যদি সকলের পক্ষ থেকে থাকে, তবে আমরা ঈদের জনগণের জান মালের নিরাপত্তা সুন্দরভাবে নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ইতি পূর্বে র্যাব-১ এবং যৌথ বাহিনী উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায় অনেক গুলো অপারেশন পরিচালনা করেছে। এতে পঞ্চাশের বেশি ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে এবং বিভিন্ন বস্তি ও সেক্টরে অভিযান চালানোর কারণে ছিনতাইকারীর উপদ্রব কিছুটা কমেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য তারা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করেছে, প্রথমত :চৌকস বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তা, দ্বিতীয়ত:বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স ও জনসমাগম স্থলে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে তৃতীয়ত, চেকপোস্টগুলোতে সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে।
এ সময় তিনি আরও জানান, ঈদে ঢাকার অনেক মানুষ ছুটিতে দেশের বাড়ি যাবেন , ফলে ঢাকার অনেক বাড়ি ঘর খালি থাকবে। এই সময় নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কোন সমস্যা বা ঘটনা ঘটলে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য আলাদা নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে।
এসময় ব্রিফিং শেষে, র্যাব-১ এর অধিনায়কের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্যরা আব্দুল্লাপুর উত্তরবঙ্গের শ্যামলী পরিবহন, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ পরিবহন ও ন্যাশনাল ট্রাভেলস পরিবহনসহ কয়েকটি এসি /নন-এসি বিলাসবহুল গাড়ীর টিকিট কাউন্টার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, যদি কোনো যাত্রী প্রতারিত হন বা সমস্যায় পড়েন,তারা যেন দ্রুত র্যাব-১ এর সাথে যোগাযোগ করেন।
সবশেষে তিনি বলেন, ঈদযাত্রার সময় যে কোনো পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলা করার জন্য তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে।