ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে ৫ আগষ্ট-২৪ খুনি হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিসহাসিনার দোসর জার্মান আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা শেখ বাদল আহম্মেদ @ জার্মান বাদল এখনো দাবিয়ে বেড়াচ্ছে উত্তরা- টঙ্গী ও গুলশান এলাকায়।
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর ঐ সময় লাঠি চার্জ এবং আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা শেখ বাদল অদৃশ্য কারণে এখনো রয়েছে অধরা।
বাদলের নামে রয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানায় একাধিক মামলা। এছাড়াও মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণার মামলা। হাজী মুহাঃ মহসিন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ বাদল আহমেদ জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে তার এলাকায় নৌকা প্রতিক নিয়ে ভেনার পোস্টার বানিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। প্রতারক এই বাদল জার্মানি পাসপোর্ট ব্যবহার করার কারণে ঔ সময় মনোনয়ন পায়নি।
আওয়ামী লীগের পদধারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শেখ বাদল ওরফে জার্মান বাদল এখনো গ্রেফতার না হওয়ার বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাত্র-জনতার মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, জার্মান আওয়ামী লীগের ২ বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাবশালী পতিতা ব্যাবসায়ি শেখ বাদল আহম্মেদ জার্মানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই দেশের সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।
সারাদেশ শয়তান ধরার কর্মসূচি অব্যাহত থাকলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনা খাস দোসর শেখ বাদল এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাদল এতটাই প্রভাবশালী এখনো সে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে নিরীহ ব্যাবসায়ীদেরকে হয়রানি করছে।সুত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাদল উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা বানেয়াট ও হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠাতেন।
জুলাই-২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় মোটা অংকের টাকা খরচ করে উত্তরায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বাদল নিজে উপস্থিত থেকে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সে তার ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনি দিয়ে ও নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে একাধিক সুত্র থেকে জানা যায়।
ফ্যাসিস হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অর্থ জোগানদাতা স্বর্ণ চোরাচালানকারী বাদল শেখের রয়েছে অবৈধ মদের ব্যবসা। ঐ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে উত্তরা ও টঙ্গীতে মাদকের সাম্রাজ্য তৈরি করে। তিনি তার মাদক সাম্রাজ্য ও অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে খুনি হাসিনা ও তার ছেলে জয়কে ম্যানেজ করে চলতো। খুনি হাসিনা জার্মান সফরে গেলে বাদলের বাসাতেই হতো সকল অবৈধ ব্যবসার চুক্তি।
নির্দয় নিষ্ঠুর হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আর্শীবাদ পেয়ে বাদল অবৈধ ভাবে অর্জন করছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হওয়ার সুবাদে বাদল শেখ সবার কাছে জার্মান বাদল নামে বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছে। একাধিক মামলার আসামি বাদল শেখ টঙ্গী স্টেশন রোডে জমি কিনে গড়ে তুলেছেন ১০ তলা ভবন, যার বর্তমান বাজার মূল্য অর্ধশত কোটি টাকা। বাদলের তৈরী করা হাতির ঝিলের বহুতলা ভবনের বর্তমান বাজার মূল্য শতকোটি টাকা। এছাড়াও নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে নামে বে-নামে রয়েছে বাদলের হাজার কোটি টাকার সম্পদ।
জুলাই-২৪ সরকারী চাকুরীতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ছাত্র-জনতাকে আহত করেন। একাধিক মামলার আসামি ও অবৈধ হুন্ডির ব্যবসায়ী বাদলকে গ্রেফতার করতে গত,২১/১০/২০২৪ইং তারিখ তার উত্তরার ৫ নং সেক্টরের বাড়িতে যৌথবাহিনি ও উওরা পশ্চিম থানার পুলিশ অভিযান চালায়। ঔ সময় সে কৌশলে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা বিদেশি ডলার ও অবৈধ মদসহ গ্রেফতার হয়। খুনি হাসিনার ছেলে জয়ের ব্যাবসায়ীক পার্টনার হওয়ায় আওয়ামী লীগ আমলে তার ছিলো অনেক ক্ষমতা।
ঔ সময় সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ মদের বার লাইসেন্স সহ গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টর ৪ নং রোডে তার রয়েছে আলিশান বাড়ি। এছাড়াও হাতিরঝিলে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল বহুতলা ভবন। স্থানীয়রা তার অবৈধ সম্পদের হিসাব নিতে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।