স্ত্রী শাশুড়ি শ্যালিকা গ্রেফতার

পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে মিললো নিখোঁজ প্রবাসীর লাশ

Daily Inqilab চট্টগ্রাম ব্যুরো

১৪ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:২২ পিএম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নিখোঁজের ১২দিন পর পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে এক প্রবাসীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে খুন করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার মাটি খুঁড়ে লাশটি তোলা হয়। পুলিশের সন্দেহ এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকা জড়িত। উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা এলাকার একটি টিলাকৃতির পাহাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। খুনের শিকার মনছুর আলীর (২৭) বাড়ি উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পূর্ব পহরচান্দা গ্রামের সেকান্দর পাড়ায়। তার শ্বশুড়বাড়িও একই গ্রামে।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, দুবাই প্রবাসী মনছুর গত ২৮ ফেব্রæয়ারি দেশে আসেন। ২ মার্চ সন্ধ্যায় তাকে চার-পাঁচজন লোক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে মনছুরের বোন মামলা দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ মনছুরের সঙ্গে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধের তথ্য পায়। নিখোঁজের আগে টেলিফোনের কথোপথনের সূত্র ধরে মনছুরের স্ত্রী রিনা আক্তার, শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও ১৬ বছর বয়েসী কিশোরী শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর তাদের দেওয়া তথ্যে মনছুরের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দূরে পাহাড়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে তাদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় মনছুরের লাশ পাওয়া যায়। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ জানায়, সুরতহাল প্রতিবেদনে মনছুরের শরীরে বেশকিছু জখমের চিহ্ন আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মাথার ডানপাশে বড় ধরনের কাটা চিহ্ন, দুই কান, নাক ও থুতনি শরীর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মনছুরের সঙ্গে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরোধ চলছিল। আর্থিক লেনদেন, অনৈতিক সম্পর্ক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে তাকে খুন করা হতে পারে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মনছুরের স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কেউ ঘটনায় জড়িত কি না সেটা বের করে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ওসি আতিকুর রহমান।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
সিন্ডিকেটের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজচাষীদের মাথায় হাত
বছরজুড়ে সড়কে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা
বর্ষপণ্য আসবাবপত্রের মূল্য আকাশচুম্বি
চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই :কুষ্টিয়ায় জামায়াতের আমির
আরও

আরও পড়ুন

টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির

টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০