ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বই সংশোধন হচ্ছে
০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সকল বইয়ের ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পবিত্র রমজান মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সংশোধনীগুলোর সফট কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা তা হাতে পাবে ছুটি শেষে ঈদের পর।
এদিকে আগামী বছর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাশাপাশি মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত বই লেখার কাজ শুরু হয়নি। চলতি বছরের নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলো দেরিতে হাতে পাওয়া এবং তাড়াহুড়া করে ছাপানোর কারণে ভুল-অসংগতি ছিল।
গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন বছরে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই ভাগ হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অভিন্ন বই পড়তে হবে। আর একেবারে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিভাগ বিভাজন হবে।
ইতোমধ্যে চালু হওয়া তিন শ্রেণির বইয়ে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যদিও নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরই পাঠ্যপুস্তকের ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি। আগামী বছর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাশাপাশি মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত বই লেখার কাজ শুরু হয়নি।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, পরিমার্জন করে বইগুলো সংশোধনের কাজটি শেষ পর্যায়ে। এখন সাজানো গোছানোর কাজ চলছে। তাঁরা ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩টি এবং সপ্তম শ্রেণির ১৩ টি মোট ২৬টি বই সংশোধন করেছেন। এগুলোতে এ বছরের জন্য বানান ভুলসহ তথ্যগত যেসব ভুল সংশোধন করা দরকার তা করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। সংশোধনীর সফট কপি পাঠানো হবে। বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে মাউশির সংযোগ আছে, তাই মাউশির মাধ্যমে সংশোধনীগুলো পাঠানো হবে। তবে আগামী বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি বই আরও পরিমার্জন (সংযোজন-বিয়োজন) করে দেওয়া হবে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এই সংশোধনীর জন্য এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের (ট্রাই আউট) জন্য সারা দেশের প্রায় ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনসিটিবির কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর ২০, ২১ ও ২২ মার্চ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ নিয়ে কর্মশালা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে ২৭ থেকে ৩১ মার্চ পরিমার্জনের কাজটি করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, চলতি বছর নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে যেসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল তা লেখার কাজ খুব কম সময়ে করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবিও সেটি শেষ মুহূর্তে হাতে পেয়েছে। সেসময়ই বেশ কিছু লেখা ও ছবির বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু লেখার দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা জানিয়েছিলেন, সেগুলো সংশোধন করতে গেলে ১ জানুয়ারি বই দেয়া সম্ভব হবে না। ফলে অনেক ভুল-ভ্রান্তি নিয়েই শিক্ষার্থীদের হাতে তা তুলে দেয়া হয়। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়