নদীর বুকে চলে চাষাবাদ
০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৩২ এএম
ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব খুলনাঞ্চলের
২৫টি নদী মরে গেছে, ১০ নদী মৃতপ্রায়
নদী মরে যাওয়ায় খুলনাঞ্চলের ৩০টি নৌ রুটের মধ্যে ২৪টি বন্ধ হয়ে গেছে
পানি হচ্ছে নদীর প্রাণ। সেই পানির জন্য হাহাকার করছে দেশের প্রতিটি নদী। অথচ কেউ শুনছে না নদীর কান্না। নদীকে জীবন্তসত্ত¡া ঘোষণা করে নদীর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। দখলে-দূষণে মরছে নদী। অপর দিকে ভারতের ফারাক্কা ও গজল ডোবায় বাঁধ দিয়ে এবং উজানে তৈরি করা ৪০টি ড্যাম ও ব্যারাজ পানির গতি পরিবর্তন করে এদেশের নদীগুলোকে কার্যত হত্যা করা হয়েছে। ভারত এখন নতুন করে আবারও ফারাক্কার উজানে আরও দুটি খাল খনন করে পানি অন্যত্র নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এতে তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের অনেক নদী একেবারেই পানিশূন্য হয়ে পড়ারর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহার ছাড়া নানা ধরনের শিল্প বর্জ্যরে দূষণে নদীর প্রাণ বৈচিত্রও এখন হুমকির মুখে। পাশাপাশি নদীর পাড় দখল করে, কিংবা নদীর বুকেই চলছে অবৈধ নির্মাণ। নদী মরে যাওয়ায় নদী কেন্দ্রিক জীবন জীবিকাও মারাত্মক হুমকির মুখে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় হুমকিতে মৎস্যসম্পদ। সেই সাথে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের উপর।
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ, অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাÐ আর দখল রাজত্ব নদীকে তিলে তিলে মারছে। নদীর সঙ্গে মরছে নদীর ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশও। কৃষিপ্রধান উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ দেখা দিয়েছে, সেচ চাহিদা মেটাতে হচ্ছে মাটির নিচের পানি তুলে। তাতে বিপদ আরও বাড়ছে। ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, মাটির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটছে। নদীভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। নদীর মাছ হয়ে উঠছে অমূল্য পণ্য। নদীতে মাছ ধরা, নৌকায় নদী পারাপার করা জেলে-মাঝিদের জীবনধারা বাস্তব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
সারাদেশের নদ-নদীর বর্তমান মরণ দশা নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন কয়েকটি পর্বে ছাপা হচ্ছে। আজ খুলনা ও ঝিনাইদহ অঞ্চলের নদীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরী রিপোর্ট ছাপা হলো।
খুলনা থেকে ডিএম রেজা জানান, ফারাক্কা বাঁধ এবং অন্যান্য নদীর উৎসমুখে বাঁধ নির্মাণ করে ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে এদেশের নদীগুলো দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। ষাটের দশকে বৃহত্তর খুলনায় ছোট বড় ৭৮ টি নদী ছিল। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ডে এ তথ্য রয়েছে। অথচ মরণ বাঁধ ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে ২০২২ সালের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ইতোমধ্যে ২৫ টি নদী মরে গেছে। ১০ টি নদী চর পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার পথে। ¯্রােত কমে অনেকটা নিথর হয়ে গছে আরও ১০টি নদী। অর্থাৎ শতকরা ৫০ ভাগ নদীই মানচিত্র থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। বৃহত্তম খুলনার নদ-নদীগুলো গঙ্গানদীর তথা হিমালয়ের পার্বত্য জলপ্রবাহ পায় মাথাভাঙ্গা গড়াই ইছামতী ও মধুমতী বলেশ্বরের মাধ্যমে। কিন্তু এই নদী গুলোর পানি প্রবাহ ফারাক্কা বাঁধের কারণে আগের মত নেই। বরং শাখা ও উপ-নদীগুলোকে পানি সরবরাহে বদলে এরা নিজেরাই এখন অনেক স্থানের মত প্রায় মৃত ও ¯্রােতহীন অর্থৎ অস্তিত্ব সমস্যায় উপনীত। এগুলোর মাধ্যমে গঙ্গা নদীর মিষ্টি পানি খুলনা অঞ্চলের নদ-নদীগুলো আর তেমন পায় না। এই কারণে খুলনাঞ্চলের নদ-নদীগুলো এখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে দিনকে দিন। এক সময়ের জীবন্ত নদীগুলো মরা খাল হযে এখন কাঁদছে।
ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ন্যায্য পানির হিস্যা না দেয়ায় পানি প্রবাহ কমে পদ্মা ও গড়াই এর শাখা নদী মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, আপার ভৈরব, কুমার, মধুমতি, ফটকি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা ও অভিন্ন নদী ইছামতি ও কোদলাসহ অর্ধ শত নদনদীর সিংহভাগ সরু খালে পরিণত হয়। প্রবাহহীন এসব নদীর তলদেশ দ্রæত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সাগর অভিমুখি এসব নদীতে পানি কম থাকায় জোয়ারের সময় লবন পানি প্রবেশ করছে। এতে স্বাভাবিক কৃষি ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। নৌ বাণিজ্য নির্ভর খুলনার অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হানে বিভিন্ন নদনদীর নাব্য সংকট। নদ নদী মরে যাওয়ায় খুলনাঞ্চলের ৩০ টি নৌ রুটের মধ্যে মাত্র ৬ টি এ মুহুর্তে সচল রয়েছে, বাকী ২৪ টিই বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবোচরের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নৌযানগুলো চলাচল করছে। খুলনার রূপসা ও ভৈরবের বিভিন্ন স্থানে চর পড়েছে। ফলে খুলনা কেন্দ্রিক নৌ বাণিজ্যও সংকটে পড়েছে।
খুলনাঞ্চলের এককালের প্রমত্তা ভদ্রা নদী ভরাট হয়ে প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। ওই নদীর অবশিষ্ট কোন অংশ নেই যা দখলে নেই। ভদ্রা নদীর একাংশ সাগরের সাথে মিশেছে, অপর অংশটি ডুমুরিয়ার শোলগাতিয়ার বুড়ি ভদ্রায় গিয়ে মিশেছে। এছাড়া ডুমুরিয়া বাজারের কাছে ভদ্রা নদীর সংযোগ থেকে শৈলমারি নদীতে মিশেছে সালতা নদীটি। নব্বই দশকের পর থেকে ভদ্রা নদীটি ভরাট হতে থাকে। ভদ্রা নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। নদী ভরাটের সাথে সাথে দখলদাররাও গ্রাস করে নেয়। ভদ্রার বুকে যে যার মত স্থাপনা গড়ে তুলেছে। নদীর বুকে সমতল ভ‚মিতে গড়ে উঠেছে রাইস মিল, স-মিল, বাজার, বহুতল ভবনসহ নানা অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া ভরাট নদীর বুকে সরকার আশ্রায়ণ প্রকল্পও গড়ে তুলেছে। পানি নিষ্কাশনের পথ আটকিয়ে যত্রতত্রভাবে বেড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে দখলদাররা। যে কারণে ভারি বর্ষা নামলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। তেরখাদা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী এখন সরু খাল। অথচ এ নদীতে এক সময় লঞ্চ চলাচল করত। ভৈরব নদী সরু হতে শুরু করেছে দৌলতপুর পার হতেই। ফুলতলা পর্যন্ত যেতে নদীটি অর্ধেক হয়ে গেছে নাব্য সংকটে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এক সময় খুলনাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নদীগুলো ছিল শিবসা, পেসা, বলেশ্বর, পগুর, আড়পাঙ্গাসিয়া, খোলপেটুয়া, আগুনমুখা, ভদ্রা, আঠারোবাকী, আলাইপুর, গাসিয়াখালী, দড়াটানা, ইছামতী, খোলপটুয়া, রায়মঙ্গল, নমুদ সমুদ্র সোনাগাঙ্গ, ভাঙ্গরাকুঙ্গ, মালঞ্চ, সাতক্ষীরা, সুতেরখালী, মারজাতী, হারিণভাঙ্গা, মহাগঙ্গ, গলাঙ্গী, হরিপুর, সোনাই বুধহাটার গাঙ্গ, ঢাকি, গলাঘেমিয়া, উজীরপুর, কাটাখাল, গুচিয়াখালী, খাল আকরার, খাল মংলা, সোলপায়ারা আগুরমুখ মহুরী মোদলাম হাডুয়াভাঙ্গা পানগুছি, মেয়ার গাং, কাজিবাছা, কাকশিয়ালি, বলেশ্বর মরাভোলা। পশুর, ভৈরব ও রূপসা ছাড়া নদীগুলোর সিংগভাগ ভরাট হয়ে গেছে। রূপসা ও ভৈরব নদীও পলিজমে দূরবস্থায় রয়েছে। মোংলাবন্দর কেন্দ্রিক পশুর নদী হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং করে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে, উপক‚লীয় নদনদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় সমগ্র উপক‚লজুড়ে পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। ভাটায় পানি নেমে জোয়ারে লবনাক্ত পানি ঢুকছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ড. দিলীপ কুমার দত্ত জানান, পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় উপক‚লীয় স্বাদু পানির এলাকা ৪৫ ভাগ থেকে কমে ৩৬ ভাগ, মৃদু লবণাক্ততার এলাকা ৫০ ভাগ থেকে কমে ৪৭ ভাগে নেমে এসেছে। অপরদিকে আগামীতে তীব্র লবণাক্ততার এলাকা ৫ ভাগ থেকে বেড়ে ১৭ ভাগে উন্নীত হবে। ভ‚গর্ভস্ত পানির স্তরও নিচে নেমে যাচ্ছে। নদ নদীর বেঁচে থাকার সাথে মাটির অভ্যন্তরে পানির স্তরের সজীবতার সম্পর্ক রয়েছে সরাসরি।
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ছায়াবৃক্ষের প্রধান নির্বাহী মাহবুব আলম জানান, নদ নদী মরে যাওয়ায় জীবন ও পরিবেশ চরম হুমকির মুখে রয়েছে। খুলনা উপক‚লের ৫ লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি নদীর সাথে জীবিকার বন্ধনে বাঁধা। তারা মাছ, কাঁকড়া, পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া নৌকা ট্রলার চালানোসহ নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যও করে থাকে। নদীই তাদের প্রাণ। এখন আর নদীতে পাল তোলা নৌকা চলে না। লঞ্চের সাইরেন শোনা যায় না। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নদ নদীগুলোর অবস্থা মোটামুটি ভাল ছিল। ক্রমান্বয়ে নদনদীগুলো মরে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঝিনাইদহ থেকে মোস্তফা মাজেদ জানান, ফারাক্কার বিরুপ প্রভাব ও দখলদারিত্বের কারণে ঝিনাইদহের নদ-নদীগুলো মানচিত্র থেকে বিলীন হতে বসেছে। ইতিমধ্যে মহেশপুরের কোদলা ও শৈলকুপার ডাকুয়া নদী দখল করে পুকুর ও অবকাঠামো তৈরী করা হয়েছে। মহেশপুরের কোদলা নদী বিলীন হয়ে গেছে। নদী দখল করে পুকুর খনন করা হয়েছে। কালীগঞ্জের চিত্রা নদীর পাড়ে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার বেগবতি, বুড়ি ভৈরব ও কালীগঙ্গা নদীর পাড় দখল করে বাড়ি ও মার্কেট তৈরী করা হয়েছে। এক কথায় দূষণ আর দখলে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের প্রমত্তা নদীগুলো ধুকছে। তীব্র পানি সংকটের মুখে জীববৈচিত্র হুমকীর মুখে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে ঝিনাইদহে তালিকাভুক্ত নদ-নদী আছে ১২টি। কিন্তু বাস্তবে নদ-নদীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। এগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা, কুমার, চিত্রা, কপোতাক্ষ, গড়াই, বেগবতি, কোদলা, কুমার, কালীগঙ্গা, বেতনা, ইছামতি, ভৈরব, সঞ্চয় বা ফটকি, ডাকুয়া ও বুড়ি ভৈরব নামে নদী। এ সব নদীর মোট আয়তন হচ্ছে এক হাজার ৬৪১ হেক্টর। এছাড়া সদর উপজেলায় নদীসহ ২৭টি পুকুর, বিল, বাওড় ও দোহা, কালীগঞ্জে ৮টি, শৈলকুপায় ৪টি, কোটচাঁদপুরে ১০টি, মহেশপুরে ৩০টি ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৪টি নদীসহ ২৭টি পুকুর, বিল, বাওড় ও দোহা রয়েছে। ফারাক্কার ভয়াবহ প্রভাব ও খননের অভাবে এ সব নদ-নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে। এক সময় নদীগুলোর বুক চিরে স্টিমার, লঞ্চ ও ট্রলার চলতো। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ জনপদ। ভিনদেশের মানুষ এসে ব্যাবসা করতেন। শৈলকুপার লাঙ্গলবাধ, সদর উপজেলার কাতলামারী, বৈডাঙ্গা ও হরিণাকুন্ডুর ভবানীপুর বাজার এখনো পুরনো সেই স্মৃতি বহন করে। এসব বাজারে বৃটিশ ও পাকিস্তানী আমল থেকে আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্ধশত বছর পর এসে নদীগুলোতে এখন আর যৌবন নেই। নেই নদীর সেই জোয়ার ভাটা। পাওয়া যায়না দেশীয় প্রজাতির মাছ। শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই পানিশুন্য হয়ে পড়ে। প্রায় সব নদীর বুকে ধান, পাট, সরিষাসহ নানা ফসলের চাষ হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুকুর, খাল, বিল, বাওড় ও দোহাগুলো শুকিয়ে খা খা করে। যারা বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন, তারা নিয়মিত পানি দিচ্ছেন। এদিকে নদী পাড়ের জায়গা দখল করতে দখলদাররা মার্কেট ও বাড়ি তৈরী করলেও দেখার কেউ নেই। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড তালিকা করে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও বার বার নদ-নদীর জায়গা দখল করা হয়। এদিকে ঝিনাইদহের নদীগুলো দখলমুক্ত ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঝিনাইদহবাসী বারবার র্যালি, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করলেও কোন কাজে আসে না। এ বিষয়ে নবগঙ্গা রক্ষা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মাসুদ আহম্মেদ সনজু বলেন, আমরা নদীগুলোর নব্যতা ফিরিয়ে আনতে খনন ও দখলমুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছি। ঝিনাইদহবাসি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, ছোট নদী ও খাল খনন প্রকল্পের আওতায় আমরা ঝিনাইদহের চিত্রা, নবগঙ্গা, বেগবতি, কালীগঙ্গা ও কোদলা নদী খননের কর্মসুচি নিয়েছি। এ প্রকল্পের সেকেন্ড ফেইজ চালু হলে ধরে নেয়া যায় চিত্রা ও নবগঙ্গা নদী খনন হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা