সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিচ্ছে : আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল
১০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৬ পিএম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি আন্দোলনে ন্যায়সঙ্গতভাবে সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে যখন রাস্তায় দাঁড়াই, আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না।
শনিবার সারা দেশে আমাদের কর্মসূচি ছিল, বেশিরভাগ স্থানে পুলিশ বাধা দিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার বাধা দিয়েছে। এমনকি তারা আমাদের ভাইস-চেয়ারম্যান, যিনি বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন- আলতাফ হোসেনের গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এভাবে অসংখ্য জায়গায় তারা আক্রমণ করেছে, আহত করেছে। প্রত্যেকটা জায়গায় তারা নিজেরাই আক্রমণ করছে কোনো উসকানি ছাড়াই।
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করেছি অনেক আগেই। সেই অনুযায়ী কর্মসূচি চলছে। ঢাকাতে পুলিশ কমিশনার বললেন ঢাকার বাইরে সভা করা যাবে না। কেন? কোন আইনে আছে যে, আপনি আমাকে বাইরে সভা করতে দেবেন না? এটা মগের মুল্লুক নাকি? আমরা লক্ষ্য করছি, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশটাকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিনা উসকানিতে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে আক্রমণ করে, আঘাত করে তারা একটা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যেসব কর্মসূচি নিয়েছি সবগুলো শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। সংবিধান বলছে আমাকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। প্রতিবাদ করার অধিকার দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, সরকার কি রাষ্ট্র? আমি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমি অবশ্যই আমার কথা বলব। গণতন্ত্র হচ্ছে, আমি তোমার সঙ্গে একমত না হতে পারি কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব। এদের (আওয়ামী লীগ) কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে, কেবল আমিই কথা বলব, আমার কথা মতো সব কিছু চলতে হবে এবং ক্রীতদাস হয়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সেটা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। নেই বলেই এখানে কারো অধিকার নেই। এমন একটি সরকার; জোর করে ক্ষমতা দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে বসে আছে যারা জনগণের কোনো তোয়াক্কা করে না। জনগণ তাদের কাছে কোনো সমস্যাই না, সুতরাং সেখানে নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান-ইহুদি কেউ নিরাপদ না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সুলতানা জেসমিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি অপরাধী নন কিন্তু একজন যুগ্ম সচিবের কথায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এটা কোনো সভ্য, গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। একজন নাগরিক ও সরকারি অফিসের কর্মচারী, তাকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন এবং সম্পূর্ণ বেআইনি। সুলতানা জেসমিন নিহত হয়েছেন তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার কারণে। এ ব্যাপারে অন্তত আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানসহ মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা