ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেহ দান নাকি দাফন সিদ্ধান্ত আজ  ষ প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শোকষ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানাতে ১০টা থেকে দুপুর ১টা লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে

প্রথম জানাজা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাদ জোহর

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম

বাংলাদেশের এক সাহসী সন্তান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও  ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দাফন করা হবে নাকি তার দেহ দান করা হবে সে বিষয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকাল গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আলতাফুন্নেসা।তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। একই সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মান জানানো হবে। এদিন দুপুর দুইটায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শুক্রবার সকাল ১০টায় ডা. জাফরুল্লাহর লাশ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুমার নামাজের পর দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছোট বোন আলেয়া চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. নাজিমুদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ভাসানি অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু উপস্থিত ছিলেন।গত মঙ্গলবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মৃত্যুর পর তার লাশ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে।মুক্তিযুদ্ধের এই কিংবদন্তীর মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজন, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মো, আবদুল হামিদ, নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শোক জানিয়েছেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। শোক জানিয়েছেন, বিকল্পধারার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্রাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যানমমোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপিপন্থী ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানিসহ আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানি ও সাধারণ সম্পাদ মাইনুল হাসান সোহেল। জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার। দেশ স্বাধীনের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে এর মাধ্যমে তিনি আজীবন মানুষের সেবা করে গেছেন। অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করে যাওয়া এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিলেন এক সরব কন্ঠ।

তিনি সাহসের সঙ্গে সরকাারি ও বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করেছেন সময়ে সময়ে। দিয়েছেন মূল্যবান পরামর্শ। এতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সব মানুষের কাছে প্রিয় এক মানুষ হিসেবে। ১৯৪১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ও পৈত্রিক নিবাস। বড় হয়েছেন ঢাকায়। পিতামাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। পড়াশোনা করেছেন বকশীবাজার স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেলে। ছাত্র ইউনিয়নের মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করেছিলেন সংবাদ সম্মেলন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও ১৯৬৭ সালে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে জেনারেল ও ভাস্কুলার সার্জারিতে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন। বৃটেনে প্রথম বাংলাদেশি সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিডিএমএ)’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ডা. এমএ মবিনকে নিয়ে আগরতলার বিশ্রামগঞ্জের মেলাঘরে হাবুল ব্যানার্জির আনারস বাগানে গড়ে তোলেন প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল- ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’। হাসপাতালটির কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডা. সিতারা বেগম বীরপ্রতীক। সেসময় প্রশিক্ষিত নার্স না থাকায় নারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সে হাসপাতালের দুই স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও তার বোন সাঈদা কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল।ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারী। স্বাধীন দেশে তিনি হতে পারতেন দেশসেরা সার্জন। কিন্তু লড়াকু মানুষ ডা. জাফরুল্লাহ স্বাধীন দেশে নিজেকে নিয়োজিত করেন গণমানুষের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের করেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মী।

প্রথম উদ্যোগ নেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের। জনকল্যাণধর্মী চিকিৎসানীতির মাধ্যমে দেশে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নীতি প্রণয়ন, জাতীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে অগ্রসর শিক্ষা নীতি প্রণয়ন ও নারী উন্নয়নে রাখেন যুগান্তকারী ভূমিকা। সরকার ও রাষ্ট্রের, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন বুকচিতিয়ে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, অনিশ্চিত হতো তখনই বিবদমান পক্ষের মাঝখানে সমঝোতার সেতুর ভূমিকা নিতেন এই বীর যোদ্ধা। রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকে একজন ব্যক্তিমানুষের পক্ষে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যতটুকু কাজ করা সম্ভব তার পুরোটাই করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া এই বীর সেনানী সময়ে সময়ে অপমান অবজ্ঞারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাতে থেমে যায়নি তার বিবেকের কণ্ঠ। কঠিন পণ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ঘাড়ে বসে ব্যবসা করার চেষ্টা করবে - মুশফিকুর রহমান

আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ঘাড়ে বসে ব্যবসা করার চেষ্টা করবে - মুশফিকুর রহমান

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

কেপিএম আবাসিক থেকে অজগর উদ্ধার কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত

চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

চার্টার্ড নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ

শাল্লায় কালনী নদীতে যুবক নিখোঁজ

ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ

ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মহাসড়ক অবরোধ

রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

রেকর্ড রান তাড়ায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী শুরু

সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

সালথায় সেতুর রেলিং-পাটাতন ভেঙে বেহাল দশা : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল

আত্মহত্যা না কি খুন? ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু

আত্মহত্যা না কি খুন? ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু

বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি

বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ

বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ

শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু

শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু

শরীয়তপুর পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কেরই বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে

শরীয়তপুর পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কেরই বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে

এবার বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, বাতিল ফ্যাক্ট চেক ইউনিট

এবার বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, বাতিল ফ্যাক্ট চেক ইউনিট

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম