আরো তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন
০৯ মে ২০২৩, ১০:৪১ পিএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম
হেজাফতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে আরও ৩ মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি হাবিবুল গনি এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।
মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট আবু রায়হান। সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত বুধবার রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা ৫ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে রুল চূড়ান্ত ঘোষণা করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো: আমিনুল ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
মামুনুল হকের আইনজীবী বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের ৪ মামলা ও হাটহাজারীর এক মামলায় হাইকোর্ট মামুনুল হকের জামিন বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন। হাইকোর্ট রুল চূড়ান্ত ঘোষণা করে এই ৫ মামলায় তাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। এ কারণে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলা হয়। একই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। ওই নারী দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানান তিনি। তখন হেফাজত নেতাকর্মীরা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নেন। ওই ঘটনার ২৭ দিন পর তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। এ প্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত
এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা
নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন
বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
‘প্রতি বছরই সম্পদের হিসাব দিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের’
গোয়ালন্দে চরমপন্থি দলের সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
দিসানায়েক : দিনমজুরের ছেলে থেকে শ্রলীঙ্কার প্রেসিডেন্ট
ভারতে মহাসংকটে ভোডাফোন-আইডিয়ার ভবিষ্যৎ
পর্তুগালে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বেজা বিএনপির সভা
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু’ বলায় গরম পানিতে ঝলসে দেওয়া হলো কিশোরীকে
বিএনপির সমাবেশে হামলা-ভাঙচুরের দুই বছর পর আ.লীগের ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ছিলেন তার ভাবি শরীফা আক্তার
চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি কমেছে জার্মানিতে
ইসরাইলি বর্বরতা থামছে না, গাজায় আরও ৪০ জনকে হত্যা
নতুন মামলায় সাবেক আইজিপি মামুন দুটি এবং আনিসুল একটিতে গ্রেপ্তার
কমলার সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না ট্রাম্প
নার্সিং কাউন্সিলের নতুন রেজিস্ট্রার হালিমা আক্তার
নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা