বরিশালে মনোনয়পত্র দাখিলের আগেই অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা
১২ মে ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৩, ১২:০২ এএম
মনোয়নপত্র দাখিলের তিন দিন বাকি থাকলেও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়রসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা পুরো ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী প্রতিক বরাদ্দের আগে কোন প্রার্থীর প্রকাশ্য ও গোপনে প্রচারণার সুযোগ না থাকলেও সে বিধি ভেঙে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রচারণার মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীরা। এছাড়া নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রকাশ্যে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সাফল্য, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে রিটার্ণিং অফিসারে দপ্তরে তলব করে কারণ দর্শানোর জবাব গ্রহণসহ নগরীর কিছু ব্যানার অপসারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
১৬ মে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন অতিক্রমের পরে ১৮ মে তা বাছাই করা হবে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। এরপরে প্রতিক বরাদ্দ শেষে প্রচারণা শুরু করার কথা ২৭ মে থেকে। কিন্তু বরিশাল মহানগরীতে সিটি নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিলের চূড়ান্ত সীমার একমাস আগেই। এমনকি রিটার্ণিং কর্মকর্তা নিয়োগের আগেই এ নগরীতে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন মেয়র প্রার্থীরা।
কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতাসহ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তাগণ তেমন সচেতন না হওয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তবে শেষ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকে সতর্ক করতে গিয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণসহ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে গণসংযোগ করার বিষয়টি রিটার্ণিং কর্মকর্তা ওয়াকিবাহল নন বলেও জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর অভিযোগের জবাবে জানিয়েছেন।
তবে এরপরেও এ নগরবাসী ২০১৮’র চেয়ে একটি ভাল নির্বাচন আশা করছেন এবার। এ নগর পরিষদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল, বিএনপি কোন অবস্থাতেই অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত নগরীতে তেমন কোন পুলিশী তৎপরতাও লক্ষ্যণীয় নয়। ২০১৮’এর নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তৎকালীন পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা যথেষ্ঠ প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারী গ্রেফতারসহ একজন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ক্ষমতার সব ধরণের অপব্যবহারের নজির স্থাপন করেছিলেন কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা। এবার পরিস্থিতি এখনো সে পর্যায়ে না থাকায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।
তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার নিকটজন বলে দাবি করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। তিনি ইভিএম বাদ দিয়ে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করলেও আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীরা এখনো এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল পূর্ব শেষ জুমার দিনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস নগরীর রূপাতলী হাউজিং মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় এবং উপস্থিত মুসল্লীদের সাথে কুশল বিনিময়সহ দোয়া কামনা করেন। সন্ধ্যার পরে তিনি নির্বাচণী কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম শুক্রবার চরমোনাই জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ নগরীর আমীর কুটির মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে সবার সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। সন্ধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন তিনি। আবুল খায়েরের স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ নগরীর বিভিন্ন এরাকায় গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে এখনো মহানগর আওয়ামী লীগের তেমন কোন নেতা-কর্মীগণ প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দল নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অঙ্গিকার করে যা কিছু করণীয় সবই করার কথা জানিয়েছেন। তবে সংগঠনের মহানগর সম্পাদক ও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এক ভার্চুয়াল সভায় দলীয় প্রার্থী ও আপন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানালেও দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের পরে আর বরিশালে আসেননি। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটিতেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নাম নেই। এমনকি ইতোমধ্যে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়কের হাতে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি’ও হয়েছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায়ও দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বাধা বিপত্তির অভিযোগ উঠেছে।
সার্বিক বিবেচনায় বরিশাল মহানগরীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটের অন্যতম প্রতিপক্ষ এখনো মহানগর এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী। এমনকি ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীকেও ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতদের উৎসাহে ও পছন্দের প্রার্থী’ বলেও প্রচারণা রয়েছে নগরীতে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান