গত বছর সউদী আরবের কর্মকর্তা এবং মুখপাত্ররা ঘোষণা করেছেন যে, তাদের দেশ বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু, একটি গতিশীল ভূ-রাজনৈতিক শক্তি, এবং মধ্যপ্রাচ্যের অবিসংবাদিত নেতা। অনেকে বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রকে মোহাম্মদ বিন সালমানের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সউদী আরব। সাম্প্রতিক একটি গ্যালাপ জরিপে দেখা গেছে যে, ১৩টি সংখ্যাগরিষ্ঠ-মুসলিম দেশে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় সউদী আরব এবং এর ছায়াশাসক মোহাম¥দ বিন সালমান।

সউদী আরব দেশটি ইরানের চেয়েও বহুগুণ জনপ্রিয়। শুধুমাত্র তুরস্ক ও ফিলিস্তিনে দেশটির জনপ্রিয়তা কিছুটা কম, যদিও এই দেশে সউদীরা ইরানীদের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আরব ব্যারোমিটারের মতে, জর্ডানে জনপ্রিয়তায় সউদী আরব তুরস্কের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রায় অর্ধেক তিউনিশিয়ান সউদী আরবের পাশাপাশি ফ্রান্স ও তুরস্ককেও অনুকূলভাবে দেখে। ইরাকিরা চীন ছাড়া যেকোনো দেশের চেয়ে সউদী আরবকে বেশি পছন্দ করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের পরেই মোহাম্মদ বিন সালমান তাদের প্রিয় নেতা।

সউদী আরব তেলের রাজস্বে ভাসছে এবং বিশ্ব ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য বিনিয়োগের উৎস হয়ে উঠেছে। ২০২২ সাল জুড়ে বিশ্ব নেতারা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দরজায় অস্ত্র চুক্তি এবং মুদ্রার অদলবদল থেকে শুরু করে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পর্যন্ত সবকিছুর সন্ধানে ধর্না দিয়ে আসছেন। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ভক্তরা বলছেন যে, করোনা লকডাউনের সমাপ্তি এবং বৈশ্বিক জ¦ালানী বাজারকে ধাক্কা দেয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের সঠিক সময়ে সঠিক অবস্থানে থাকার ভূ-রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সউদী আরবকে মুসলিম বিশে^ এতোটা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। সূত্র: ফরেন পলিসি।