চট্টগ্রামবন্দর-বিমানবন্দর বন্ধ বিদ্যুৎ-পানি-যানবাহন ভোগান্তি
১৩ মে ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি-বার্থ-মুরিং থেকে ২০টি বড় জাহাজ সাগরে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বন্দরের জেটি ও বর্হিনোঙ্গরে পণ্য ওঠাানামা ও খালাস কাজ বন্ধ। চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে ভারী যানবাহনের ভিড়-জটলা নেই। ৮ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পর বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেটিতে অবস্থানরত মাদার ভেসেলগুলোকে বর্হিনোঙ্গরে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বন্দরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর উজানের দিকে এবং দক্ষিণে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। বন্দরে জেটিতে অপারেশনাল ইক্যুইপমেন্ট বেঁধে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
মোখার প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব বিমান ওঠানামা গতকাল ভোর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শনিবারের সব ফ্লাইটের শিডিউল বাতিল ঘোষণা করা হয়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। রানওয়েসহ সংশ্লিষ্ট স্থানে যেসব ইক্যুইপমেন্ট আছে, সেগুলো সুরক্ষিত করা হয়েছে।
মানুষের জানামাল রক্ষায় মহানগরী ও জেলায় এক হাজার ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জনকে রাখা যাবে। চাল-বিস্কুটসহ শুকনো খাবার মজুদ রেখেছে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশনের ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় এক লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ পরবর্তী তাৎক্ষণিক তৎপরতার জন্য আট হাজার ৮৮০জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। উপকূলের বাসিন্দাদের অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধসের সর্তকতা জারির পর নগরীর পাহাড়গুলোর পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া অব্যাহত রয়েছে। ২৮৪টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এছাড়া চমেক হাসপাতালে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে নগরীতে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে, গ্রাহকদের অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা ৫টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চট্টগ্রামজুড়ে তীব্র গ্যাস সঙ্কটে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাসের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে তৈরি হয় গাড়ির দীর্ঘ সারি। গ্যাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। গ্যাস সঙ্কটে নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা কমে যায়। গতকাল সকাল থেকে নগরীর বাসাবাড়ি ও হোটেল-রেস্তোঁরায়ও চুলা জ্বলেনি। তবে দুপুরের পর কিছু এলাকায় গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য সীমিত আকারে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। সেই সাথে পানির সঙ্কট চরমে উঠেছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানান, মোখার প্রভাব এড়াতে মহেশখালীর দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুক্রবার রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে পাইপলাইনে গ্যাস সঞ্চালন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ জন্য গ্যাস সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। সঙ্কট কখন কমবে, তা অনিশ্চিত। গ্যাসের অভাবে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সঙ্কটও বেড়েছে। নগরীতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের অজুহাতে লাফিয়ে বেড়েছে শাকসবজি, মাছ, ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম