ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসইডিপি প্রকল্প অভিযোগ আমলে নেয়নি দুদক তালিকায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও ভারতীয় বই

২০০ কোটি টাকা লোপাটের আয়োজন

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

১৩ মে ২০২৩, ১১:০৭ পিএম | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রায় ২০০ কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের নামে সম্পন্ন করা হয়েছে লোপাটের আয়োজন। বরাদ্দকৃত অর্থ ‘খরচ’ দেখাতে হবে চলমান অর্থবছরে। না হলে বরাদ্দ ফেরত চলে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের অর্থে বই কেনাকাটায় চলছে তোড়জোড়। কে কত টাকা নেবেনÑ সেই ভাগাভাগিটা হয়ে গেছে আগেই। এখন বাকি কার্যাদেশ প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা। অর্থ লোপাটের এই মহোৎসবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা পদদলিত করেছেন নিজেদেরই তৈরি ‘নীতিমালা’। লুটের অর্থ পুরোটাই সাবাড় করতে নানা শর্তে অনিশ্চিত করে তোলা হয়েছে স্বল্পপুঁজির সরবরাহকারীদের টেন্ডারে অংশগ্রহণ। তবে একটি রিট, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়েরকৃত একটি অভিযোগ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে লুটে অংশগ্রহণকারীদের কপালে।

নীতিমালা পদদলিত করে বাছাই কমিটি : মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস তৈরিতে সরকার ২০১০ সালে একটি পাঠ অভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কর্মসূচির সহায়ক বিবেচনায় ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)র আওতায় ‘স্ট্রেন্দেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস’ শীর্ষক স্কিম ডকুমেন্ট অনুসারে দেশের ১৫ হাজার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচিটি পরিচালিত হচ্ছে। বই ক্রয়ে বেশকিছু নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো : (ক) একজন লেখক বা একটি প্রকাশনা সংস্থা সর্বোচ্চ ৫টি বই প্রস্তাব করতে পারবে। (খ) আগ্রহী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই হালনাগাদ আয়কর সনদ, ট্রেডলাইসেন্স/প্রকাশনা লাইসেন্স থাকতে হবে। লেখকদের ক্ষেত্রে শুধু আয়কর সনদ প্রযোজ্য হবে। (গ) বইয়ের বিষয়, মান স্পেসিফিকেশন, গ্রহণযোগ্যতা ও অযোগ্যতা, নির্বাচন পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ক বিস্তারিত শর্তাবলী/ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যসমুহ বিজ্ঞপ্তির অংশ হিসেবে গণ্য হবে। (জ) নির্বাচিত বইয়ের মূল্য বই তালিকাভুক্তির পর পৃথকভাবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করা হবে। (ঝ) সংশ্লিষ্ট ঘোষিত শর্তাবলী পূরণই তালিকাভুক্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে না। কোনো নির্দিষ্ট বই তালিকাভুক্ত করা কিংবা না করার বিষয়ে কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এর আগে, ২০২১ সালের ২৭ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)’র আওতায় বই ক্রয়ের লক্ষ্যে প্রকাশকদের কাছ থেকে বইয়ের নমুনা আহ্বান করে। প্রকাশকরা নমুনা জমা দিলে বাছাই কমিটি এ থেকে ৯৬টি বইয়ের একটি তালিকা চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির জন্য ২০টি বই, ৭ম শ্রেণির জন্য ২০টি বই, ৮ম শ্রেণির জন ২০টি বই, ৯ম শ্রেণির জন্য ২০টি বই এবং ১০ম শ্রেণির জন্য ১৬টি বই রয়েছে। তবে এ তালিকা প্রস্তুতে চূড়ান্ত রকম দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছেÑ মর্মে প্রকাশকদের মধ্য থেকেই অভিযোগ ওঠে। বই বাছাইয়ের নীতিমালায় উল্লেখ ছিল, স্বাধীনতাবিরোধী কোনো প্রকাশক কিংবা লেখকের বই বাছাই করা যাবে না। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত একজন লেখকের বই তালিকায় স্থান পেয়েছে-মর্মেও অভিযোগ ওঠে প্রকাশকদের মধ্য থেকে।

নামে-বেনামে এক একাধিক বই :
গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রণীত তালিকায় ওসমান গনি মালিকানাধীন ‘আগামী প্রকাশনী’র ৪টি বই, ফরিদ আহমেদ মালিকানাধীন ‘সময় প্রকাশনী’ থেকে ৪টি বই, তারই সহযোগী প্রকাশনী ‘অধুনা’ থেকে ১টি বই, আফজার হোসেন মালিকানাধীন ‘আনিন্দ্য প্রকাশনা’ থেকে ২টি বই, তারই সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আদিত্য প্রকাশন’ থেকে ২টি বই, একেএম নাসির আহমেদ সেলিমের ‘কাকলি প্রকাশন’র ২টি বই, তারই সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘প্রচলন’ থেকে ১টি, ‘আলোর ভূবন’ থেকে ১টি, তার ‘দিব্য প্রকাশনী’ থেকে ৩টি বই, ‘তাম্রলিপি’ থেকে ২টি বই, ‘সিদ্দিকীয়া প্রকাশনী’র ২টি বই, ‘নওরোজ কিতাবিস্তান’ থেকে ২টি, ‘জাগৃতি’র ২টি তালিকায় স্থান পেয়েছে। দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এক প্রকাশকের একাধিক বই তালিকাভুক্তির পেছনে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে। উল্লেখিত প্রকল্পের অর্থ মূল্যের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি। যা পরবর্তীতে ২০০ কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ প্রকল্পটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের জন্য একটি মাইলফলক হতে পারতো। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেটের মধ্যে বিলি-বণ্টন করে ফেলায় সেই সম্ভাবনা তিরোহিত হতে বসেছে। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জোটবদ্ধ হয়ে নামে-বেনামে মানহীন বই সরবরাহের মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গুণগত মানহীন বই তালিকাভুক্ত করলেও মন্ত্রণালয়, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে করা সুনির্দিষ্ট এই অভিযোগ আমলেই নেয়নি দুদক।

মুক্তযুদ্ধবিরোধী ও বিদেশি বই :
ক্রয়যোগ্য বইয়ের মানদ- নিরূপনে একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়। সেই শর্ত অনুযায়ী, বাছাই কমিটি কোনো বিদেশি লেখকের বই বাছাই করতে পারবে না। যাদের অফিস নেই, শো-রুম বা স্টল নেইÑ এমন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের বই কেনা যাবে না। বিদেশি ইংরজী বই কেনা যাবে না। মহামুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কোনো লেখকের বই নির্বাচন করা যাবে না। বাছাই কমিটি এসব নীতিমালার কোনো তোয়াক্কাই করেনি। নওরোজ কিতাবিস্তান প্রকাশিত ভারতের সত্যজিৎ রায়ের ২টি বই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ সত্যজিৎ রায় লেখক হিসেবে ‘চিরায়ত’র সংজ্ঞায় পড়েন না।

এ কমিটি রিপ ভ্যান উইংকেল, অ্যারাইস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, আরকাউন্ড দ্য ওয়ার ইন এইট ডে’র মতো বেশ কিছু বিদেশি বই সরাসরি তালিকাভুক্ত করেছে। তার সঙ্গে কোনো বাংলা অনুবাদ নেই। কিন্তু কমিটি সরাসরি ইংরেজী বই তালিকাভুক্ত করেছেন। যে তিনটি ইংরেজী বই তালিকায় রাখা হয়েছে সেটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কোনো নাম নেই। বইয়ের আকার, পৃষ্ঠা সংখ্যা, কয় রঙের মূদ্রণ, বিষয়বস্তু, বইয়ের বিক্রয় মূল্য-এসব তথ্যও উল্লেখ নেই।
নীতিমালার একটি ছক তৈরি করে দেয়া হয়েছিলো। সেটি লঙ্ঘন করে বাছাই করা হয় বিদেশি বইগুলো।
নীতিমালার ১৭ নম্বরে উল্লেখ রযেছে, মহামুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কোনো লেখকের গ্রন্থ নির্বাচন করা হবে না। তা সত্ত্বেও ‘লেবু মামার সপ্তকা-’ এবং ‘বীরবলের খোশগল্প’ নামক ২টি বই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ বইয়ের লেখককে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

এই নীতিমালার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে তখন চেয়ারম্যান করে একটি ‘বই বাছাই কমিটি’ করা হয়। নিয়মানুসারে প্রকাশকগণ ৫টি করে বই জমা দেয়া শুরু করেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ইন্তেকালের পর তার স্থলাভিষিক্তি হন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুর হুদা। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবু মো: দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, ঢা.বি.র অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক, ঢাবি’র চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন ও ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এসইডিপি’র আওতায় বই বাছাইয়ে একটি কমিটি করা হলেও এটি ছিলো অনেকটাই অলঙ্কারিক। বই বাছাকর্মে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। অধিকাংশ বইয়ের তালিকা এসেছে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সচিবের দফতর এবং স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী বাছাই কমিটির ওপর প্রভাব সৃষ্টি করেন। ফলে পুরো প্রকল্পের সুবিধাটি ভোগ করেন প্রকাশনার জগতের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট সাবেক সিনিয়র সচিব কামাল চৌধুরী। অথচ কাজী নজরুল ইসলামের বই তালিকায় রাখা হয়নি।
বাছ্ইা কমিটির প্রধান মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং সেলিনা হোসেনেই বইও বাদ যায়নি। হুমুয়ান আজাদের লেখা ‘লাল-নীল দীপাবলী’ (আগামী প্রকাশনী)। এটি বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাসের বই অনার্স-মাস্টার্সে পাঠ্য। এটি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত নয়। দ্বিজেন শর্মার লেখা ‘জীবনের শেষ নেই’ বইটিও বাস্তবে শিশুতোষ নয়। এছাড়া বাছাই কমিটির প্রধান মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং সেলিনা হোসেনের বইও বাছাইকৃত বইয়ের তালিকায় রয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট যে, বই বাছাই কমিটির সদস্যগণ ছিলেন সিন্ডিকেট দ্বারা প্রভাবিত।

তবে এ ধরনের কোনো সিন্ডিকেটের কথা অস্বীকার করেন প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব, উন্নয়ন) বেলায়েত হোসেন তালুকদার। এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল শনিবার তাকে একাধিক বার ফোন করা হলেও সাড়া দেননি।
এসইডিপি’র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে কমিটির প্রধান বাংলা একাডেমির মহা-পরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদাকে গতকাল (শনিবার) একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু ফোনে তিনি সাড়া দেননি।

আইনের পথে সংক্ষুব্ধরা :
এদিকে সাধারণ পুস্তক প্রকাশক-বিক্রেতা সমিতির করা রিটে উল্লেখ করা হয়েছে, এসইডিপি প্রকল্পে একটি সিন্ডিকেট নামে-বেনামে একাধিক বই কমিটির কাছে জমা দিয়েছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা’র সভাপতি মো: আরিফ হোসেন ছোটন গত বছর ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালিন সচিব মো: আবু বকর ছিদ্দীককে বিষয়টি অবহিতও করেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়,করোনাকালিন মহামারি সময় বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনার অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে, ঠিক এমনই একটা সময়ে এই প্রকল্প প্রকাশনা শিল্পে যৎসামান্য আলোর রেখা দেখা দিয়েছে। এটি প্রকাশকদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, এ প্রকল্পে মূলধারার প্রকাশক বাদ দিয়ে নামে বেনামে অসংখ্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই তালিকাভুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এভাবে তালিকাভুক্ত হলে প্রকৃত ও মূলধারার প্রকাশকরা তাদের বহুদিনের প্রত্যাশিত প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন। আবেদনে বেনামে জমাকৃত বই তালিকা থেকে বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়। রিট দায়েরের পর কয়েক দফা শুনানিও হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে চলমান এই মামলা উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি টেন্ডারের দিকে যাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। প্রকাশকদের পক্ষে ‘ত্রয়ী প্রকাশনী’র মালিক শাহ আল মামুন রিটের (নং-৪৮৯০/২০২৩) বাদী হয়ে রিটটি করেন। অন্যান্য বাদীর মধ্যে ‘জোনাকী প্রকাশনী’র মালিক মঞ্জুর হোসেন, ‘মনন প্রকাশনী’র মালিক মাধব চন্দ্র দাস, ‘বটেশ্বর বর্ণ প্রকাশনী’র মালিক কায়সার-ই-আলম প্রধান রয়েছেন। অন্যদিকে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং স্কিম ডিরেক্টরকে। আগামী ১৫ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান