গরমে নির্ঘুম রাত
১৪ মে ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৫ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ দেখতে সিনেমা হলের সামনে টিকেট কাটার লাইন নয়; ঈদের সময়ে ঢাকার কর্মজীবী মানুষের গ্রামে যেতে বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার লাইনও নয়; কিন্তু গতকাল রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পেট্রোল পাম্পে মানুষ দেখেছে দীর্ঘ লাইন। সারি সারি ক্যান রাখা হয়েছে। পাশে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ। বাসায় এবং অফিসে জেনারেটর চালানোর জন্য ডিজেল সংগ্রহে পেট্রোল পাম্পে এসেছেন। প্রচ- গরমে লোডশেডিংয়ে জেনারেটর দিয়ে ফ্যান চালানোর জন্যই তারা দাহদাহের মধ্যে লাইনে দুই থেকে তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ডিজেল নিয়ে ঘরে ফিরছেন। শতভাগ বিদ্যুতের দেশে বিদ্যুতের অভাবে মানুষের এই দশা। যাদের বাসায় ও বিল্ডিংয়ে জেনারেটর রয়েছে তারা তারা ডিজেল ব্যবহার করে ফ্যান-এয়ারকন্ডিশন চালিয়ে ঘুমাতে পারছেন। কিন্তু তাদের ডেনারেটর ব্যবস্থা নেই তারা দুর্বিসহ সময় পার করছেন। লোডশেডিংয়ে দিনে প্রচন্ড তাপদাহে ঘামছেন; গরমে রাতও কাটাচ্ছেন নির্ঘূম।
ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা, দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ‘ব্রেকিং নিউজ’ এবং সরকারের ব্যপক প্রচারণায় বঙ্গোপসাগর পাড়ের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। ‘মোখা’ নিয়ে এতো বেশি প্রচারণা ছিল যে এই বুঝি ‘সিডর’ ‘আইল্যা’ ‘আম্ফান’ এর মতো প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় সবকিছু ভাসিয়ে-উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টারে লোক নিয়ে যাওয়া এবং কক্সবাজারের সবগুলো হোটেল আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করায় এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। সরকারের এতো প্রচারণার মধ্যে কক্সবাজারে কিছু মানুষ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ দেখতে সী বিচে উৎসবে মেতে উঠলেও সাগর পাড়ের মানুষ কার্যত ভয়েই নির্ঘূম রাত কাটিয়েছেন। ‘মোখা’ সাগরপাড়ের মানুষের ঘুম কেড়ে নিলেও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে নির্ঘূম রাত কাটাতে হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষকে। গ্রীষ্মের প্রচ- দাবদাহে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া মধ্যরাতের লোডশেডিংয়ে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত রাজধানী ঢাকার মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। রাজধানী ঢাকায় দিনরাত মিলিয়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরো খারাপ। কোনো কোনো জেলা ও গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না মানুষ।
রাজধানী ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পেট্রোল পাম্পগুলোতে বড় বড় লাইন জেনারেটর চালানোর লক্ষ্যে ডিজেল কিনতে মানুষ প্রেট্রোল পাম্পের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখ যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল একই দৃশ্য। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মধ্যে প্রচ- গরম থেকে বাঁচতে জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোই একমাত্র ভরসা। উত্তরা, বসুন্ধরা, ধানম-ি, মালিবাগ, মগবাজার, যাত্রবাড়ি, মতিঝিল, মীরপুর এলাকায় দেখা গেছে ডিজেল পাম্পগুলোতে শত শত ডিজেল ক্যান লাইন করে রাখা রয়েছে। মানুষ সেগুলোতে ডিজেল নিয়ে জেনারেটর চালাবেন। মতিঝিলের একটি পাম্পে ডিজেল নিতে আসা রহিম উদ্দিন নামের একজন জানালেন, হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারের কাজ করেন। তার বিল্ডিংয়ে প্রতিদিন গড়ে তাদের ৫ থেকে ৭ ঘন্টা জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। সিদ্দিক নামের একজন বললেন, বিদ্যুতের দাম চলতি বছরে দুই দফায় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। টাকা খরচ করে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম নামের একজন বলেন, আমি অফিসে ছোটখাটো চাকরি করি। অফিসে জেনারেটরের কারণে ফ্যান চালানো হয়; কিন্তু বাসায় জেনারেটর নেই। সারারাত গরমে বিছানায় এপাশ ওপাস করি। ঘুম আসে না গরমে।
ভয়াবহ লোডশেডিং থেকে মানুষ পরিত্রাণ পাবে সেটা বুঝতে পারছে না। যদিও গতকাল বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘দুই দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহের উন্নতি হবে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ দিন। আশা করছি এ সময়ের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। মোখার কারণে গভীর সমুদ্রে থাকা এলএনজি টার্মিনাল দুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যেই একটি দুই দিনের মধ্যেই চালু হবে। পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অন্যটি চালু করতে সময় লাগবে। একারণেই গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তবে প্রতিমন্ত্রীর এমন আশ্বাসবাণী বিশ্বাস করছেন না ভুক্তোভোগী মানুষ। কারণ এ সরকারের কোনো কথা ও কাজে মানুষ মিল খুঁজে পায় না।
অনুসন্ধান করে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সেক্টরে গত ১৫ বছরে অনেক ভেল্কিবাজী হয়েছে। রেন্টাল, কুইক রেন্টারের নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সে লুটপাট নিয়ে কেউ যাতে আদালতে মামলা করতে না পারে সে জন্য জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি দিয়ে বিল পাস করা হয়েছে। এ নিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা হাজারো অভিযোগ তুলেছেন এবং রেন্টাল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২১ মার্চ দেশকে শতভাব বিদ্যুতায়ণের দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তুু ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ প্রবাদের মতো বিদ্যুতায়নের অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতের দেশের কোটি কোটি মানুষকে প্রতিদিন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। দেশে ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে সারাদেশে এলাকা ভিক্তিক দিনে এক ঘন্টা করে লোডশেডিং ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে একাধিক বার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দেশে আর লোডশেডিং থাকবে না’ পরে ‘নভেম্বর মাসে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছি’ ইত্যাদি বক্তব্য দিলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
রাজধানীর কদমতলীয় থানাএলাকার শনির আখড়ার বাসিন্দা ঢাকা বারের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রমজান মাসের পর থেকেই লোড শেডিং বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টার দিকে, দুপুর ২টার দিকে, সন্ধ্যার দিকে, মধ্যরাত ১২টা-১টার দিকে আবার ভোর ৩টা-৪টার দিকে নিয়মিত লোড শেডিং হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে সেই লোডশেডিং ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। কখন বিদ্যুৎ যায় আর কখন আসে বলা দুস্কর। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মধ্যরাতে একাধিকবার লোড শেডিংয়ের কারণে প্রায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। যাত্রাবাড়ি, পুরান ঢাকার ওয়ারি, বাংলাবাজার, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে একই চিত্র পাওয়া গেল। সবাই বলছেন, লোডশেডিং রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। প্রচ- গরমে রাতের লোডশেডিং কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডলারের অভাবে সময়মতো কয়লা আমদানি করতে না পারায় ২৩ এপ্রিল রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত শনিবার থেকে দেশজুড়ে লোডশেডিং বেড়ে গেছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে শনিবার থেকে গ্যাস সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। ঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মুখপাত্র বলেন, যেহেতু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ কম হচ্ছে, তাই মঙ্গলবার পর্যন্ত লোডশেডিং থাকবে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় সারা দেশে ১,২৫৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে, যেটা বেড়ে ভোর ৫টার দিকে দাঁড়িয়েছে ১,৮২৫ মেগাওয়াটে।
পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না যাওয়া পর্যন্ত সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাড়ে ৯ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে সারা দেশে প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় লোডশেডিং করতে হবে।
দেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের আগ পর্যন্ত ১৬ হাজার থেকে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। ঢাকার বাইরে সারা দেশেই লোডশেডিং করা হচ্ছিল। গত শনিবার সকাল থেকেও দেশজুড়ে লোডশেডিং চলছে। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে দুটি সংস্থা নিয়োজিত। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ মেগাওয়াট। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) জানিয়েছে, তাদেরও ঘাটতি প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াটের। ফলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং করা ছাড়া তাদের কোনো বিকল্প নেই।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের অভাবে কয়লা আমদানি করা বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আমদানি করা হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। প্রতিদিন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১১ থেকে ১২ হাজার টনের বেশি কয়লা প্রয়োজন হয় এই কেন্দ্রে। বর্তমানে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুত রয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ দিনের। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে যৌথ মালিকানা বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিএমসি। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরেশেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমদানির বিল বকেয়ার কারণে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, সবসময় ৬ মাসের বাকিতে কেনার চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু আমি ৬ মাস পরেও পেমেন্ট করতে পারছি না। যেমন জানুয়ারিতে যে কয়লার পেমেন্ট করার কথা সে পেমেন্ট এখনো করা যায়নি। বকেয়া বিল পরিশোধ করা না গেলে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন বা সিএমসি আর টাকা দেবে না।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো প্রায় অসম্ভব হয় পড়বে। সাধারণ মানুষ যেমন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়বে এর পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজগুলোতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যমান লোডশেডিং পরিস্থিতি আগামী দুই দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুতে প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাবটা থাকবে। কিছু কিছু জায়গায় লোডশেডিং থাকবে, তবে খুব বেশি না। খুব অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যেটা হয়েছিল, কিছুটা হয়ত আমাদের সমস্যা দেখা গিয়েছিল শনিবার রাত থেকে। এ সমস্যাটা আমরা কাভার করতে পারবো। আমার মনে হয় আগামী দুই দিনের মধ্যে আমরা একটা ভালো অবস্থায় যেতে পারব। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম