ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পশ্চিমাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী রাগান্বিত : মির্জা ফখরুল
১৫ মে ২০২৩, ১১:৫০ পিএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমাদের প্রতি রাগান্বিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্্রতী) পশ্চিমাদের প্রতি এত রেগেছেন কেন? সম্ভবত নিরাপত্তা বোধ করছেন না। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে গুলশানে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এতদিন পর প্রধানমন্ত্রী স্যাংশন নিয়ে কথা বলছেন কেন সে বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, উনি কেন এতদিন পর স্যাংসানের উপর বিষোদগার করছেন? তিনি ভাল করে জানেন। যারা স্যাংশন দেয় তারা কিসের উপর স্যাংশন দেয়। কিছুদিন আগে রাশিয়ার জাহাজ স্যাংশনের কারণে ঢুকতে পারেনি, বাংলাদেশ ফেরত দিয়েছে। উনি বলেছেন স্যাংশন যারা দেয় তাদের কাছ থেকে কিছু কিনবেন না। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কি কেনে তা মোটামুটি আমরা সবাই জানি, বুঝতে পারি। তিনি সম্ভবত পশ্চিমাদের প্রতি রাগান্বিত হয়ে আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রিদেশীয় সফর ব্যর্থ এবং ফলাফল জিরো প্লাস মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবৈধ ও স্বঘোষিত একটা সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি খুব সুন্দর কথা বলেন এবং তার কথাগুলোর মধ্যে জাহির করেই কথা বলেন সব সময়। জাতিকে তিনি একটি ধারণা দিতে চান যে, এখানে তার কোন বিকল্প নেতৃত্ব নেই। এবারের সফরে সেভাবেই তিনি একটি ধারণা দিতে চান যে সফরটা সফল হয়েছে। কিন্তু আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে যতদূর জানতে পেরেছি যে, এখানে সফরটির ফলাফল একেবারে জিরো প্লাস।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে আগেই ব্যবসা-বাণিজ্যের কিছু বিষয় ঠিক হয়ে ছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রে তিনি যে গিয়েছিলেন মূলত বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৫০ বছরের সম্পর্ক সেই সম্পর্কের উপর একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে। যেটা খুব হালকা বিষয়। এধরণের একটা সেমিনারে গিয়ে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন! আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো হয়েছে প্রতিটি চুক্তিই অত্যন্ত কঠিন শর্তযুক্ত রয়েছে। সেখানে তিনি যেটা দাবি করেছেন যে, বিশ্বব্যাংক বলেছে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রশংসা করেছেন, আমাদের কাছে যে রিপোর্টটা আছে, যেটা পত্র-পত্রিকায় এসেছে, তিনি ওই কথা বলার পর, প্রকাশ হওয়ার পর আইএমএফের মূখপাত্র একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা কোথাও আছে বলে আমি দেখিনি। উনি যেটা বলেছেন যে সেটা আইএমএফ বলেছে, বিবৃতিতে আইএমএফ সেটা বলেনি। এখান থেকে যেটা বোঝা যায়, উনার যুক্তরাষ্ট্রের যে সফর সেটা অর্জন কি? জনগণ সেটা বিবেচনা করবেন। আর যুক্তরাজ্যে উনি গিয়েছিলেন নতুন যে রাজা তার অনুষ্ঠানে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে সেদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, রাজার দেখা হয়েছে এটা স্বাভাবিক। এটাতে বিশেষ কোন অর্জন হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।
রিজার্ভ সংকটের কারণে সামনে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানি করে তারা ডলারের কারণে আমদানি করতে পারছে না। প্রধান কারণ হচ্ছে- রিজার্ভের পরিমাণ যা, তা দিয়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে পদ্মা সেতুর যখন ঋণ পরিশোধ করতে হবে তখন সামনে আরো মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের জন্য আগামী বছর থেকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে আসবে না আসবে সে সম্পর্কে অর্থনীতিবিদরা ধারনা রাখেন। তারা খুব ভালো করেই জানেন যে বর্তমানে বাংলাদেশ একটা চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে এবং রিজার্ভের পরিমাণ এতো নিচে নেমে এসেছে যে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি একটা সময়ের ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী ময়ূর সিংহাসনে বসে আছেন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ময়ূর সিংহাসনে বসি না, আমরা জনগণের কাতারে জনগণের চেয়ারে বসি। আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক দশকে বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতির খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই। তাদের লোকেরা দুর্নীতি করেছে। এখন সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে।
পশ্চিমাদের নিয়মিত প্রোটোকলের বাইরে কোন প্রটোকল না দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে সরকার, তাই পশ্চিমাদের উপর রাগান্মিত তিনি। আমরা আশা করবো কোন দেশের সঙ্গে যেন বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক নষ্ট না হয়।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার অংশ নেন।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়